1. banglapostbd@gmail.com : admin :
  2. jashad1989@gmail.com : Web Editor : Web Editor
  3. admin@purbobangla.net : purbabangla :
আনোয়ারায় পাহাড় কেটে ঘর নির্মাণের অভিযোগে জরিমানা, ঘোষিত জরিমানার অংক দশ হাজার নাকি পঞ্চাশ হাজার টাকা এ নিয়ে এলাকায় গুজব  - পূর্ব বাংলা
শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৪০ অপরাহ্ন

আনোয়ারায় পাহাড় কেটে ঘর নির্মাণের অভিযোগে জরিমানা, ঘোষিত জরিমানার অংক দশ হাজার নাকি পঞ্চাশ হাজার টাকা এ নিয়ে এলাকায় গুজব 

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
আনোয়ারা উপজেলায় হাজীগাঁও গ্রামে পাহাড় কেটে ঘর নির্মাণের অভিযোগে জরিমানা করা হয়।   উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীপক ত্রিপুরা ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা জরিমানার ঘোষনা করে রহস্যজনক কারণে ১০, ০০০/ (দশ হাজার) টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ।৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক , চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও পরিবেশ অধিদপ্তর বরাবরে এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়,মৃত মোহাম্মদ সরওয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও মফিজুর রহমানের মেয়ে
সরকারি খাস জায়গায় পাহাড় কেটে ঘর নির্মাণের জন্য মাটি ভরাট করতে থাকে। স্থানীয়রা সরকারি জায়গায় ঘর নির্মাণ না করার জন্য বাঁধা প্রদান করেন।জাহাঙ্গীর আলম বাঁধা না মেনে রাতে আধারে পাকা ঘর নির্মাণ করতে থাকে। এই বিষয়ে গত মাসে ২১ আগষ্ট সায়রা খাতুন বাদী হয়ে আনোয়ারা উপজেলায় নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ পেয়ে আনোয়ারা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীপক ত্রিপুরা ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা জরিমানা করে এবং ২ বছরের জেল দেবে বলে উপস্থিত লোকজনের সামনে বলেন। এই ঘোষনা দিয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) গাড়িতে করে জাহাঙ্গীর আলমকে ভূমি অফিসে নিয়ে যায়।পরিবেশ ও ভূমি ব্যবস্থাপনা আইন লঙ্ঘনে পাহাড় ও টিলা কাটা অবশ্যই দন্ডনীয় অপরাধ ।
অফিসে নিয়ে  ৫০, ০০০ (পঞ্চাশ হাজার)  টাকার স্থলে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়ায় এলাকায় নানান কানাঘুষা চলছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এসিল্যান্ড অফিসকে মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়ে ম্যানেজ করেই আবারও রাতের আধারে পাকা ঘর নির্মাণ করছেন জাহাঙ্গীর আলম। স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, ‘এভাবে পাহাড় কাটে
ঘর নিমার্ণের ঘটনা যদি চলতেই থাকে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে হাজীগাঁও ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটবে।’ প্রশাসনকে এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

এদিকে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ২০১০ মতে পাহাড় বা পাহাড়ি টিলাভূমি যা প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট তা কর্তন বা রূপ পরিবর্তন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই অপরাধে জড়িতদের ২-১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড ও ২-১০ বছর কারাদন্ডের বিধান রয়েছে। অথচ এ আইনকে বৃদ্ধ্ঙ্গাুলি দেখিয়ে জোর পূর্বক পাহাড় কেটে ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে যে কোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

পাহাড় কাটার সত্যতা স্বীকার করে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম বলেন,আমার ঘর বাড়ী না থাকায় আমি আমার পরিবার নিয়ে থাকার জন্য এই ঘর নিমার্ণ করতেছি। জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ী চকরিয়ায়।সে দীর্ঘদিন ধরে শাশুড় বাড়ীতে থাকে। সে পেশায় সিএনজি ড্রাইভার। বছরখানেক আগে বিপুল পরিমান চোলাই মদসহ পুলিশের কাছে ধরা পড়ে।
আমাদের প্রতিনিধিকে জাহাঙ্গীর বলে  এসিল্যান্ড স্যার আমাকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেয় এবং ঘর নিমার্ণ করতে বলেন।

সম্প্রতি এই সরকারি খাস জায়গা সায়েরা খাতুন এর বলে দাবী করছেন। খাস জায়গা দখল-বেদখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীপক ত্রিপুরা মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মোজাহিদুর রহমান বলেন,
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন-
এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2021 purbobangla