বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সমীপে,
শ্রদ্ধেয় তারেক ভাইজানরে ,
গরম গরম কথার শুরুতে আমার লাখ কোটি সালাম জানিবেন। আশা করি, আল্লাহ মালিকের অপার মহিমায় ভালো থাকিয়া নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে নানান ফর্মূলা তৈরী ও বাস্তবায়ন করিয়া ভালোই আছেন। আমিও গ্রাম বাংলার এক মফস্বল শহরে থাকিয়া দেশের ভবিষ্যতের কথা ভাবিয়া ভাবিয়াই নানান রকম চিন্তা করিয়া ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্ছার মতো খাইয়া না খাইয়া বাঁচিয়া আছি।
গেলবার সাবেক মন্ত্রী সালা উদ্দিন আহমদ সমীপে গরম কথা লিখিবার সময় এইবার আপনার সমীপে লিখিব বলিয়াছিলাম। এই কারণে এইবার আপনাকে লইয়া লিখিতেছি বলিয়া রাগ করিবেন না । বরং শত ব্যস্ততার মধ্যেও গরম কথাটুকু পড়িয়া দেখিবেন ও যাহা প্রয়োজন তাহা করিবেন, ভুল হইলে নিজ গুনে মাফও করিয়া দিবেন।
তারেক ভাইজানরে,
আপনি হইলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার খলিজার টুকরা এইদেশের বড় রাজনৈতিক দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান । ‘তারেক জিয়া’ ও ‘তারেক রহমান’ এই দুই নামেই দেশের মানুষ আপনাকে চিনিয়ে থাকে। আপনার শ্বাশুর ও জেটা শ্বাশুরও দেশখ্যাত লোক । দেশের অন্তর্বর্তী এই সরকার আমলে আপনিই এখন আলোচনার মধ্যমনি । আপনার দলের লোকেরা এখন আপনাকে আগামী দিনের এইদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হিসেবে ডাকঢুল পিটিয়ে প্রচার করিতেছে । যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষক পিনার্কী ভট্রাচার্য বলিতেছে বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় আসিবে না। কিন্তু আপনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করিয়া নোবেল জয়ী দেশের প্রধান উপদেষ্ঠা ড. মুহাম্মদ ইউনুস সুদুর লন্ডনে গিয়া আপনার সাথে দেখা করিয়াছে। বিষয়টি লইয়া চিন্তাশীলরা ভাবিলেও অন্যরা ঘুমে রহিয়াছে।যাক, সেইসব কথা।
তারেক ভাইজানরে,
আপনার দলের ব্যারিষ্টার রুহিন ফারহানা বলিতেছে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে এক জোট হইতে হইবে নইলে পাকিস্তানীরা আবারো এইদেশ লইয়া ছিনিমিনি খেলিবে। বিষয়টি লইয়া রুহিন ফারহানার সাথে আপনার কথা বলা দরকার। চট্টগ্রামের আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও কক্সবাজারের সালাউদ্দিন আহমদের কথা বার্তা মাপামাপা হইলেও কতিপয় কেন্দ্রিয় ও জেলা নেতাদের বেঁফাস কথাবার্তায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হইতেছে । আগামী নির্বাচনে এটার বিরুপ প্রভাব পড়িবে। আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে দলের মূখপাত্র ঘোষনা করিলে কেমন হয় ভাবিয়া দেখিবেন।
তারেক ভাইজানরে,
দলের লোকজনের কাছে প্রার্থী বিষয়ে আপনার চিন্তা চেতনা ও বক্তব্য সঠিক আছে বলিয়া আপনার সমর্থকেরা বলিতেছে। এক আসনে ৩জন প্রার্থীকে সম্ভাব্য রাখিয়া মাঠে নামাইয়া দিন। ৩ জনই দলের জন্য আপাতত কাজ করুক । যথাসময়ে সকল সম্ভাব্য প্রার্থীদেরকে এক জায়গায় বসাইয়া প্রার্থী যিনি হবেন তাহার পক্ষে কাজ করার প্রতিশ্রুতি লইয়া যোগ্য প্রার্থী সিলেক্ট করিবেন। অন্যদের দলের পক্ষে আপনিই নিজেই মূল্যায়ন করিবেন। তবে আওয়ামী লীগও নির্বাচন করিলে প্রার্থী পদে পরিবর্তন আনা জরুরী হইবে এই কথাও মাথায় রাখিবেন। মনে রাখিবেন আওয়ামী লীগকে অবহেলা ও তুচ্ছা তাচ্ছিল্য করা ঠিক হইবে না।বিদেশীরা আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচনকে খালি মাঠে গোল দেয়া মনে করিবে।যেমন আপনাদের বাদ দিয়া নির্বাচন করিয়াও আওয়ামীলীগ ঠিকিতে পারে নাই।
তারেক ভাইজানরে,
কেউ কেউ বলিতেছে ড. মুহাম্মদ ইউনুস কে রাষ্ট্রপতি করিয়া আপনি প্রধানমন্ত্রী হইলে এই মুহূর্তে খুবই ভালো হইবে। আপনার মা খালেদা জিয়াকেও উপ -রাষ্ট্রপতি করা যাইতে পারে । ছোট দলের বড় নেতা যেমন ড. কামাল হোসেন,জামাতের ডাঃ শফিকুর রহমান, কর্ণেল অলি, মাহমুদুল রহমান মান্না, ববি হাজ্জাদ, নুরুল হক নুর, নাহিদ ইসলাম, হাসানাৎ আবদুল্লাহ, ,চরমুনাইর পীর , আসম আবদুর রব, এম.এ মতিনসহ এই জাতীয় লোকদের লইয়া জাতীয় সরকার করা যায় কিনা ভাবুন । ইহাদের সাথে মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালা উদ্দিন আহমদ, ডাঃ জুবাইদা রহমানদের জাতীয় সরকারের মন্ত্রী করিয়া রাষ্ট্র পরিচালনা করিলে জাতী বুঝিতে পারিবে আপনারা এইদেশের জন্য কতটুকু পারিলেন। এই ফর্মূলা কায়েম করিতে কি করা দরকার তাহা ভাবিতে অনেক অভিজ্ঞ রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলিতেছে।
আজ আর না, আপনার মঙ্গল ও সুস্বাস্থ্য কামনায় ইতি আপনারই গ্রাম বাংলা অখ্যাত ঠান্ডা মিয়া গ্রন্থনা ম. আ. হ তারিখ ২৭ অক্টোম্বর ২০২৫
আগামী সংখ্যায় সাবেক মন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী সমীপে ঠান্ডা মিয়ার গরম কথা (৩৫০) সম্প্রচার করা হইবে। গত সংখ্যায় সাবেক মন্ত্রী সালা উদ্দিন আহমদ সমীপে (৩৪৮) গরম কথা সম্প্রচার করা হইয়াছে।