1. banglapostbd@gmail.com : admin :
  2. jashad1989@gmail.com : Web Editor : Web Editor
  3. admin@purbobangla.net : purbabangla :
ঝালকাঠিতে লঞ্চ মালিকদের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা, ২জনের মরদেহ উদ্ধার, ৫ম দিনের মত উদ্ধার কাজ চলছে - পূর্ব বাংলা
শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:১৬ অপরাহ্ন

ঝালকাঠিতে লঞ্চ মালিকদের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা, ২জনের মরদেহ উদ্ধার, ৫ম দিনের মত উদ্ধার কাজ চলছে

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৪৬৯ বার পড়া হয়েছে

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠিতে ৫ম দিনেরমত উদ্ধার অভিযান চলছে। সকাল থেকেই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সুগন্ধা ও বিষখালি নদীতে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে। মঙ্গলবার সকালে ঝালকাঠির লঞ্চঘাট এলাকার সুগন্ধা নদী থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে উদ্ধার হওয়ার ব্যক্তির বয়স ৩০ বছর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার পরনে ছিল কালো রঙের শার্ট ও প্যান্ট। এবং দুপুর ২টার দিকে শাচিলাপুর নদীর তীর থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে মরদেহটি এক কিশোরের। তার বয়স আনুমানিক ১৪ বছর। এনিয়ে নিহতের সংখ্যা দারালো ৪৪ জনের। অপরদিকে নিখোঁজ যাত্রীর এক স্বজন ঢাকা ডেমরা এলাকার খলিলুর রহমানের পুত্র মনির হোসেন এর ঝালকাঠি সরদ থানায় করা মামলায় লঞ্চের মালিক, চালকসহ আটজন ও অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। মোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজন মনির হোসেন মামলাটি করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝালকাঠি সদর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি অপারেশন) মো. মালেক। তিনি জানান, ঢাকা ডেমরা এলাকার মনির হোসেনের অভিযোগ মামলা হিসেবে নেয়া হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখ, লঞ্চে থাকা দুই মাস্টার রিয়াজ সিকদার ও মো. খলিল, দুই ড্রাইভার মো. মাসুম ও কালাম, সুপারভাইজার মো. আনোয়ার, সুকানী আহসান এবং কেরানী কামরুল। লঞ্চ মালিকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ঝালকাঠি সদর থানায় ২৮০,২৮৫,২৮৭ এবং ৩০৪-ক,১০৯ পেনাল কোর্ট ধারায় মামলা দায়ের করেছেন। এজাহারে বলা হয়, রাতে লঞ্চের ইঞ্জিনে যখন ত্রুটি দেখা দেয়, তখনও লঞ্চের স্টাফরা যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া তুলতে থাকেন। লঞ্চটির নিচতলার পেছনের অংশে থাকা ইঞ্জিন রুমে যখন আগুন ধরে যায় তখন চালক ও স্টাফরা যাত্রীদের বাঁচাতে লঞ্চ তীরে ভেড়ানো বা নোঙ্গর করার চেষ্টাটুকুও করেননি। বরং নিজেরা ঝাঁপিয়ে পড়ে পালিয়েছেন। মামলায় লঞ্চটিতে নিরাপত্তা সামগ্রীর ঘাটতির কথাও উল্লেখ করা হয়। ঝালকাঠিতে লঞ্চ দুর্ঘটনায় ২৫ ডিসেম্বর একই থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের গ্রামপুলিশ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। এ ছাড়া একটি মামলা হয় রাজধানীর মতিঝিলের নৌ আদালতে। সে মামলায় লঞ্চের মালিক হামজালালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, মনির হোসেনের বোন তাছলিমা, বাগনি সুমাইয়া, তানিসা ও সুমনা এবং ভাতিজা জুনায়েত ইসলাম নিখোঁজ রয়েছে। লঞ্চঘাট এলাকায় উপস্থিত ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা জানান, সকালের মরদেহটি পুরুষের এবং তার বয়স হবে ৩০/৩২। দুপুরের মরদেহটি কিশোরের তার বয়স হবে আনুমানিক ১৪ হবে। সন্ধা পযর্ন্ত ফায়র সার্ভিসের কর্মীরা অভিযান চালাবে বলে তিনি জানান। এখনও স্বজনদের আহাজারী এবং নিখোঁজদের খোজে অপেক্ষা করছেন সুগন্ধ্যার তীরে। এদিকে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে ঘটনায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের তালিকা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। বরগুনার জেলা প্রশাসন থেকে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনে পাঠানো তালিকা অনুযায়ী এখনো নিখোঁজ আছেন ৩৩ জন। এদিকে ঝালকাঠি যুব রেড ক্রিসেন্টের তালিকা অনুযায়ী নিখোঁজ রয়েছেন ৫১ জন। আর ঝালকাঠি জেলা পুলিশের তালিকায় নিখোঁজ আছেন ৪১ জন। পুড়ে যাওয়া লঞ্চটিতে কতজন যাত্রী ছিল, তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বলছে, লঞ্চটিতে অন্তত ৪০০ যাত্রী ছিল। তবে লঞ্চ থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের অনেকে দাবি, নৌযানটিতে যাত্রী ছিল ৮০০ থেকে এক হাজারের মতো।

শেয়ার করুন-
এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2021 purbobangla