আশরাফ, মিরসরাই
মিরসরাইয়ের হাইতকান্দি ইউনিয়নের নাছিমা বেগম(৩০) প্রকাশ ইয়াবা রানী নাছিমাকে রাজশাহী বিভাগীয় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আটককৃত নাছিমা হাইতকান্দি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড কচুয়া এলাকার নুরুল হকের বড় মেয়ে।
রাজশাহী মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের পরিদর্শক পারভিন আক্তারের করা ১৮ই এপ্রিলের এজাহারে জানা যায়, বগুড়া সদর থানার নওদাপাড়া আঞ্চলিক স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে মহাসড়কের পশ্চিম পাশে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালিন ঢাকা থেকে রংপুর গামী একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে ৮শ পিস ইয়াবাসহ নাছিমা আক্তারকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাকে বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর হয়।
রাজশাহী বিভাগীয় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শক মোছাদ্দেক হোসেন জানান, আটককৃত নারী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে সে চট্রগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকা থেকে পাইকারে ইয়াবা ক্রয় করে সেগুলো ঢাকা,সিলেট, রাজশাহী, বগুড়া সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে দেয়। নিজ এলাকায় আপন ভাই ও বোনদের মাধ্যমে মাদক কারবারি করে। সে বর্তমানে চট্টগ্রামের পূর্ব মাদার বাড়ি কামালগেইট আশিকের ভাড়া বাড়িতে থাকে।
স্থানীয় বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায়, নাছিমা বেগমের পুরো পরিবার ইয়াবা ব্যবসায়ের সাথে জড়িত। চট্টগ্রামের সদরঘাট থানায় দীর্ঘদিন যাবত ইয়াবারাজত্ব চালিয়েছে এক সাবেক ওসির সহায়তায়। ওই ওসির বাড়ি মিরসরাই হওয়াতে সহজে দুইজনের মধ্যে সখ্যতা গড়ে উঠে। ওই ওসি নাছিমার মাধ্যমে সদরঘাট ও কতোয়ালি, খুলশি, ডাবলমুরিং সহ চট্রগ্রামের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায় করতো। পরবর্তীতে তাকে বরখাস্ত করা হয় চাকরী থেকে। তিনি বর্তমানে সিলেটে ট্রাফিক বিভাগে নিয়োজিত আছেন। সেখান থেকেও এই মাদক সম্রাঙ্গী নাছিমা ও তার পরিবারকে সহযোগীতা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া জানা যায় সাম্প্রতিক মাদক ব্যবসায়ী পরিবারটি স্থানীয় এক স্কুল শিক্ষকের উপর হামলা করে মারাত্মক আহত করে। পরবর্তীতে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে উল্টো স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলাকরিয়ে হাজত খাটায়। শিক্ষক পরিবারটি বর্তমানে নাছিমার পরিবারের কাছে জিম্মি অবস্থায় আছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী জানান, বগুড়ায় আটককৃত নারী নাছিমা বেগম ও তার পরিবার এলাকায় চিহ্নিত মাদক কারবারি ও উশৃঙ্খল প্রকৃতির পরিবার। এলাকায় মারামারি মাদক ব্যবসায় সহ সকল অপকর্মের সাথে তারা জড়িত। প্রশাসনের উচিত পরিবারটির বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যাবস্থা নেওয়া।
মিরসরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কবির হোসেন জানান, তিনি ছুটিতে আছেন। কর্মক্ষেত্রে যোগ দেয়ার পর খোঁজখবর নিয়ে ওই পরিবারের প্রতি নজরদারি বাড়াবেন ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।