1. banglapostbd@gmail.com : admin :
  2. jashad1989@gmail.com : Web Editor : Web Editor
  3. admin@purbobangla.net : purbabangla :
৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ - পূর্ব বাংলা
সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৪০ পূর্বাহ্ন

৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ শুক্রবার, ২০ মে, ২০২২
  • ২৬৭ বার পড়া হয়েছে

বছর ঘুরে আবার শুরু হলো সাগরে মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা।ইলিশসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের প্রজননের জন্য বঙ্গোপসাগর ও নদী মোহনায় শুক্রবার ২০ মে থেকে শুরু হওয়া এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ায় সংসার চালানোর চিন্তায় টেকনাফ উপকূলের জেলেদের কপালে ভাঁজ পড়েছে।
টেকনাফ উপকূলের জেলেরা বলেছেন, রোজার মাসে সাগরে মাছ ধরা পড়েনি; ঈদের পর থেকে সাগর উত্তাল থাকায় মাছ ধরা বন্ধ ছিল। এরই মধ্যে সরকারি নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা।
টেকনাফ শাহ পরীর দ্বীপের ডিঙিনৌকা মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল গফুর বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা ৬৫ দিন দরকার আছে কি না, তা বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখা উচিত। এমনিতেই আমাদের রোজগারে টান পড়েছে; তার ওপর সাগরে ৬৫ দিনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় কিভাবে পরিবার চলবে, এ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে আছেন জেলে পরিবারগুলো।
বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহ পরীর দ্বীপে প্রায় অর্ধ লক্ষ মানুষের বাস। বৃহস্পতিবার বিকালে দ্বীপের পশ্চিম সৈকতে গিয়ে দেখা যায়, কয়েক’শ ডিঙি নৌকা বালুচরে নোঙর করে রাখা। জেলেরা চরে ও নৌকায় বসে মাছ ধরার জাল মেরামত করছেন।
শাহ পরীর দ্বীপের পশ্চিত পাড়া সৈকত থেকে উত্তর দিকে হারিয়াখালী, সাবরাং মুণ্ডারডেইল, টেকনাফের মহেশখালিয়াপাড়া, বাহারছড়া, শাপলাপুর, মনখালী সৈকতে লাল, সবুজ, হলুদ, কমলা রঙের আরও কয়েক’শ ডিঙিনৌকা নোঙর করা দেখা গেছে।
সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের সামনের সৈকতে এবং উত্তর দিকের আরও এক কিলোমিটার সৈকতে কয়েক’শ নৌকা ভিড়িয়ে রাখা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা চলকালে জেলেদের চালের পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা দেওয়ারও দাবি দিয়েছেন জেলে নেতারা।
জেলে নেতা আবদুল গফুর বলেন, সাগরে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে গভীর সাগরে যেতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। কিন্তু উপকূলের কাছাকাছি ছোট মাছ ধরার নৌকার ওপর কেন এই বার্তা, তা বোধগম্য নয়। জেলেদের পরিবারের আর্থিক সঙ্কটের কথা বিবেচনা করে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা কমিয়ে ৩০ দিনে করার দাবি জানাচ্ছি। মাছ আহরণ বন্ধ থাকলে সরকারিভাবে বেকার জেলেদের ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়। কিন্তু ডিঙিনৌকার ৫ হাজার জেলে এ সহায়তা থেকে বঞ্চিত।
দ্বীপের মাঝের পাড়া গ্রামের জেলে ৪৫ বছর বয়সী নুর মোহাম্মদ জানান, রোজার মাসে সাগরে কোনো মাছই ধরা পড়েনি। ঈদের পর থেকে সাগর উত্তাল। এ কারণে মাছ ধরা বন্ধ। আবার আজ থেকে শুরু হচ্ছে সরকারি নিষেধাজ্ঞা। এ সময় সংসার চালাব কি করে, ভেবে পাচ্ছি না।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, বঙ্গোপসাগরে ইলিশের প্রজননসহ মৎস্যভাণ্ডার সমৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। নিষেধাজ্ঞার সময় কোনো ট্রলার যেন সাগরে না নামে, সে জন্য মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে উপকূলে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
এছাড়া সাগর উপকূলে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশকে তৎপর থাকতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
শেয়ার করুন-
এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2021 purbobangla