বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মতিন বলেছেন, উপমহাদেশে ইসলামের শ্বাশ্বত আদর্শ প্রচার করেছেন পীর-মাশায়েখ আউলিয়াগণ। তারা ছিলেন ইসলামের মূলধারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত মতাদর্শী। ইসলামের প্রকৃতরূপ সুফিবাদ অনুসারীরা দেড় হাজার বছরের ঐতিহ্যমণ্ডিত ইসলামের অবিকৃত চেতনা লালন করলেও এদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে তারা এখনো অবহেলিত ও চরম বঞ্চনার শিকার। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা ফারুকী (রহ.), পীর খিজির খান, শহীদ হালিম-লিয়াকত-সাইফুল-নঈম উদ্দিন-জিতু মিয়া-সাদেকসহ কোনো সুন্নী ব্যক্তিত্ব, সুন্নী আলেম হত্যাকান্ডের বিচার কেউ করেনি। বিচারের বাণী চিরকাল নিভৃতে কেঁদেছে। বায়তুল মুকাররম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ কোথাও সুন্নি জনতার প্রতিনিধিত্ব নেই। দেশের উপজেলা পর্যায়ে নির্মাণাধীন ৫৬০ টি মডেল মসজিদের অধিকাংশই আজ স্বাধীনতা বিরোধী উগ্রবাদীদের দখলে। এভাবে যেমন বাংলাদেশের সর্বত্রে সংখ্যাগরিষ্ট সুন্নী জনতাকে অগ্রাহ্য করার দূঃসাহস দেখানো হচ্ছে, তাদের ন্যায্য অধিকারকে ভূলুণ্ঠিত করে ভিনদেশী এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী উগ্রপন্থী-দেশদ্রোহী- নবীদ্রোহী স্বাধীনতা বিরোধী চক্রকে চালকের আসনে বসানোর ঘৃণ্য চক্রান্ত চলছে। এ অবস্থায় সুন্নীদের অধিকার আদায়ে বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন। আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশনকে কার্যকরিভাবে স্বাধীন করতে হবে। জাতীয় শিক্ষানীতিতে ধর্মীয় শিক্ষা বাদ দেয়ার ঘৃণ্য ষডযন্ত্র রুখতে হবে। এসব দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ৭ জানুয়ারি ২০২৩ইংরেজি ঢাকার গুলিস্তান চত্বরে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসমাবেশ সফল করতে হবে।
১৭ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ১০ টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু হলে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ ও মজলিশে শূরার সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান এম এ মতিন উপর্যুক্ত কথাগুলো বলেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন, দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ স উ ম আবদুস সামাদ। দপ্তর সচিব মুহাম্মদ আব্দুল হাকিমের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য পীরে তরিকত সৈয়দ মুহাম্মদ মসিহুদ্দৌলা, আলহাজ্ব শাহাবুদ্দিন চৌধুরী, অধ্যক্ষ মুহাম্মদ তৈয়ব আলী, এম সোলায়মান ফরিদ, পীরজাদা গোলামুর রহমান আশরাফ শাহ্, মাওলানা শাহ জালাল আহমদ আখঞ্জী, অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, মাওলানা রফিকুল ইসলাম পাঠোয়ারী সহ বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় সচিবমণ্ডলী, নির্বাহী সদস্য, উপকমিটির সদস্য ও মজলিশে শুরার সদস্যবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ ৭ জানুয়ারি মহাসমাবেশে অংশগ্রহণ করে পীর মাশায়েখ, আলেম উলামা সহ সর্বস্তরের জনতাকে অধিকার আদায়ের সোচ্চার হওয়ার জন্য আহ্বান জানান।