
নতুন ইতিহাস গড়ল চার্চ অব ইংল্যান্ড। ক্যান্টারবেরির নতুন আর্চবিশপ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন প্রাক্তন নার্স সারাহ মুলালি। চার্চ অব ইংল্যান্ডের ১,৪০০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও মহিলা আর্চবিশপের দায়িত্ব পেলেন।
রাজা চার্লসের আনুষ্ঠানিক সম্মতি নিয়ে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কার্যালয় থেকে কেন্টারবেরির আর্চবিশপ হিসেবে মুলালির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। শিশু নির্যাতন আড়াল করার অভিযোগে জাস্টিন ওয়েলবি পদত্যাগ করার পর থেকে চার্চ অব ইংল্যান্ডের প্রধান পদ শূন্য ছিল। মুলালিকে ওই পদে বসানো হয়েছে। যদিও একজন নারীকে প্রধান হিসাবে আফ্রিকার রক্ষণশীল চার্চ কর্তৃপক্ষ মানবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থাকছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘বিবিসি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১১ বছর আগেই আর্চবিশপ পদে মহিলাদের নিয়ে আসার প্রতিবন্ধকতা কেটেছিল। চার্চ অব ইংল্যান্ডের শীর্ষ পদাধিকারীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, রক্ষণশীলতার গণ্ডি ডিঙিয়ে মহিলাদেরও শীর্ষ যাজকপদে নিয়ে আসা হবে। সেই সংস্কার মেনেই ক্যান্টারবেরির ১০৬তম আর্চবিশপ হিসাবে সারাহ মুলালির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ৬৩ বছর বয়সী মুলালি একসময় নার্স ছিলেন। একসময়ে ইংল্যান্ডের প্রধান নার্সিং কর্মকর্তার দায়িত্বও পালন করেছেন। তিনি চার্চগুলোতে একটি উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ সংস্কৃতি তৈরি করার পক্ষে কাজ করছেন, যেখানে ভিন্নমত ও মতভিন্নতার স্থান থাকবে।
রাজা হিসাবে চার্লসই চার্চ অব ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ গভর্নর বা প্রধান।। ষোড়শ শতকে ক্যাথলিক চার্চ থেকে আলাদা হওয়ার পর রাজা অষ্টম হেনরি এই পদ সৃষ্টি করেছিলেন। বিশ্বজুড়ে বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি অ্যাংলিকান খ্রিষ্টান রয়েছেন, যাদের কাছে চার্চ অব ইংল্যান্ডের নির্দেশই শেষ কথা। তবে মুলালিকে আর্চবিশপ পদে নিয়োগের বিষয়টি বিশ্বজুড়ে থাকা অ্যাংলিকান খ্রিষ্টানদের সিংহভাগ মেনে নেবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ থাকছেই।