1. banglapostbd@gmail.com : admin :
  2. admin@purbobangla.net : purbobangla :
অর্থের অভাবে চলছে না সংসার ও চিকিৎসা - পূর্ব বাংলা
মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
আয়না ঘর বা ভাতের হোটেল কিছুই থাকবে না ডিবি কার্যালয়ে -স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ২২তম ঐতিহাসিক পবিত্র দরসুল কোরআন মাহফিলের শেষ দিনে- আল্লামা ছৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী পবিত্র কোরআনের মধ্যেই নিহিত রয়েছে সাম্য ও শান্তির ফল্গুধারা রাজ ধনেশ বংশবৃদ্ধি কমে যাচ্ছে পরিবেশ ও বিচরণ ক্ষেত্র রক্ষণাবেক্ষণ না হলে উদয়ী পাকড়া ধনেশও কমব চট্টগ্রামে মাস জুড়েই ফুল উৎসব ‘ফুলের মতন আপনি ফুটাও গান’ ঢাকা, সিলেট ও কুমিল্লায় ভূমিকম্প অনুভূত জাতিসংঘ পার্ক এখন ‘জুলাই স্মৃতি উদ্যান’ রাজশাহীর চারঘাটে যৌথ অভিযানে জরিমানা ও ভেজাল গুড় জব্দ চট্টগ্রাম এডিটরস ক্লাবের কার্য নিবার্হী কমিটি গঠিত সভাপতি এম.আলী হোসেন সম্পাদক জিয়াউল হক বহদ্দারহাট-শুলকবহর ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নির্বাচনে সভাপতি আবু সৈয়দ সেক্রেটারি ডাঃ খালেদ এবার টার্গেটে সাংবাদিকদের সন্তানেরা’ চট্টগ্রামের মানববন্ধনে কঠোর ব্যবস্থা নিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম

অর্থের অভাবে চলছে না সংসার ও চিকিৎসা

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ বুধবার, ১০ নভেম্বর, ২০২১
  • ২০৪ বার পড়া হয়েছে

যে বয়সে কাঁধে থাকবার কথা স্কুলে ব্যাগ সেই বয়সে ভিক্ষা করে চালাতে হচ্ছে বাবার চিকিৎসা ও পরিবার

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের গুচ্ছ গ্রামের ৭৪নাম্বার ব্যারাকের জাহাঙ্গীর খাঁন (৪০) লাঞ্চে সমস্যা রোগের দীর্ঘ মেয়াদি চিকিৎসা চালাতে পারছে না তার পরিবার। দরিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত,২০১৯ সাল থেকে এখন অবধি ৩য় শ্রেণী পড়ুয়া রামজান হোসেন (১২) সামান্য ভিক্ষার কয়টা টাকা দিয়ে বাবা মায়ের চিকিৎসা ও সংসার চলছে পারছে না। রামজান ও নেই সুস্থ শ্বাসকষ্টে ভুগছেন দীর্ঘদিন ধরে। গত২০১৯ সাল থেকে অসুস্থ জাহাঙ্গীর খাঁন (৪০) ও তার স্ত্রী হাফিজ বেগম(৩৬) ভুগছেন মেরুদণ্ডের হাড্ডি ফাঁক রোগে। হাটতে হচ্ছে ক্রাসে ভর দিয়ে অর্থের অভাবে বন্ধ রয়েছে ঔষধ ও চিকিৎসা। চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে তার। জাহাঙ্গীর খাঁন সুস্থ অবস্থায় ভাড়া চালিত রিক্সা চালিয়ে সংসার চালাতেন। মৃত্যু কাসেম খাঁন এর ছেলে জাহাঙ্গীর খাঁন বলেন, আমি শুনছি রাজাপুর উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়ের বাদুরতলা লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় আমার দাদার সম্পত্তি ও বাড়ি ছিলো। কিন্ত আমার জন্মের পর থেকে বাবার সাথে ঢাকায় বাসা ভাড়া ছিলাম, বাবার মৃত্যু পরে রাজাপুর উপজেলায় বউ বাচ্চা নিয়ে বাসা ভাড়া ছিলাম। করোনা কালে করুণ পরিস্থিতিতে আমাদের কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি। ওই থেকে টাকার অভাবে বন্ধ রয়েছে ঔষধ কেনা ও চিকিৎসা। এই অল্প বয়সে রজমানের থাকার কথা স্কুল ও খেলার মাঠে। অভাবের সংসারে, মা বাবাকে বাঁচাতে, কম বয়সে লেখা-পড়া ছেঁড়ে দিয়ে বেঁচে নিতে হয় ভিক্ষার কাজ। মা বাবার একমাত্র সন্তান সে। মা বাবার চিকিৎসা ও দু-বেলা দুমুঠো অন্ন তুলে দিতে রমজান হোসেনের প্রতিনিয়ত চলে জীবন যুদ্ধ। রাজাপুর বাঘড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণী পড়ুয়া রমজান বলেন, এখন আর যওয়া হচ্ছে না স্কুলে আমি যেতে চাই স্কুলে দেখা করতে চাই আমার প্রিয় বন্ধুদের সাথে। ১ সন্তানের জনক জাহাঙ্গির খাঁন। তার নিদিষ্ট কর্ম ও উপার্জন না থাকায় মানবতার জীবন যাপন করছে। কখন খেয়ে না খেয়ে রাত কাটে তাদের। প্রতিদিন ভিক্ষা করে যে টাকা পায় তা দিয়ে চিকিৎসা তো দূরের কথা সংসারই চলে না। বর্তমানে খেয়ে না খেয়ে রাত কাটে বলে জানান রজমানের মা হাফিজা বেগম। জাহাঙ্গীর খাঁন’র হাফিজা বেগম বলেন, চিকিৎসা করা তো দূরের কথা, দু-বেলা দুমুঠো খেতে হিম শিম হচ্ছে। তার উন্নত চিকিৎসা করানোর মতো অবস্থা নেই আমার। টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধ। এই বিপদের সময় কেউ যদি আমাদের পাশে দাঁড়ান তাহলে হয় তো তিনি আবার সুস্থ হয়ে উঠবেন। পরিবারে তিনিই উপার্জন করতেন। এখন কাজ করতে পারেন না। তাকে সুস্থ করে না তুলতে পারলে চলবে না আমাদের সংসার। জাহাঙ্গীর খাঁন’র স্ত্রী হাফিজা বেগম আরো বলেন, আমি ও আমার স্বামী দু জনই অসুস্থ অক্ষম আমরা কিছু করতে পারি না ছেলের ভিক্ষাকরা টাকা দিয়ে আমাদের সংসার চলে। আমার স্বামী জাহাঙ্গীর খাঁন সুস্থ হয়ে না উঠলে এই ভাবে আর কতো দিন চলবে। আমার ছেলের এখন স্কুলে থাকবার বয়স কিন্তু আমাদের পরিবার তার ভিক্ষার টাকা দিয়ে চলে। আমি চাই আমার রামজান যেন স্কুলে ফিরতে পারে। এমন অবস্থায় জাহাঙ্গীর খাঁন এর স্ত্রী হাফিজা বেগম সমাজের বিত্তবান, দানশীল মানুষের এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন জানান, এবং রমজান যাতে স্কুল যেতে আবার সেই ব্যবস্থা করে দিবেন। হাফিজা বেগম জানালেন, তাদের একমাত্র ছেলে রমজান। বাঘড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র। কেউ সহযোগীতা করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন, জাহাঙ্গীর খাঁ’র স্ত্রী হাফিজা বেগম (০১৭০১৭৫৩৯৭৭) রাজাপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. মোজাম্মেল বলেন, সমাজ সেবা অধিদপ্তর আওতায় আমাদের রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী কল্যান সমিতি কার্যক্রম আছে। রোগী কল্যান সমিতির মাধ্যমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আশা অসচ্ছল দারিদ্র্য অসহায় রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকি। চিকিৎসা সেবা দেওয়ার বিধান হচ্ছে দুটি কেউ যদি টেস্ট করাতে না পারে তার খরচ দিয়ে থাকি। উন্নত চিকিৎসার জন্য উপজেলার বাইরে পাঠাতে হলে সে ক্ষেত্রে এম্বুলেন্স খরচ দিয়ে থাকি এবং ঔষধ ক্রয় করতে না পারলে। তা ক্রয় করে দিয়ে থাকি। নগদ টাকা দেই না ডাক্তার যে ব্যবস্থাপত্র দেয় তা দেখে ঔষধ ক্রয় করে দিয়ে থাকি আমাদের নিজস্ব ফার্মেসি থেকে।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla