করোনাভাইরাস মহামারীর অগ্রাসী বিস্তার ঠেকাতে কঠোর বিধিনিষেধসহ ১ জুলাই থেকে যে লকডাউন শুরু হচ্ছে, তখন জনসাধারণের জরুরি চলাচলের জন্য বিশেষ ‘মুভমেন্ট পাস’ নেওয়ার সুযোগ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, লকডাউনে এবার ‘মুভমেন্ট পাস’ থাকবে না। ‘ইমারজেন্সি’ ছাড়া কেউ বের হতে পারবে না।‘মুভমেন্ট পাস’ না থাকলে বিশেষ প্রয়োজনে কেউ কীভাবে বের হবে এমন প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুল বলেন, “ধরেন দাফন-কাফন করতে হবে, সেটা তো বাসায় করা যাবে না, সে সময় বের হওয়া যাবে। রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাবেন, সেক্ষেত্রে বের হতে পারবেন।পোশাক কারখানা ও রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা খোলা থাকবে কিনা, রিক্সা চলবে কিনা এবং অন্যান্য বিষয়গুলো পরে আদেশে বলে দেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।এমন কঠোর পক্ষেপের কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “চারটি বিভাগের সঙ্গে আমরা ভিডিও কনফারেন্স করে পর্যালোচনা করে দেখেছি মাঠ পর্যায়ের সবাই ছিলেন, কমিশনার, ডিসি, ডিআইজি, এসপি, সিভিল সার্জন, জনপ্রতিনিধিরা ছিলেন।লকডাউনের মধ্যে স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া মানুষদের কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “মন্ত্রিসভার বৈঠকে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় যথাসম্ভব গতবারের মত গ্রোগ্রাম নিতে হবে। বিশেষ করে শহর এলাকায় বেশি সমস্যা হয়, সেখানে খেয়াল রাখে যেন সাহায্য নিশ্চিত করা হয়।”৭ জুলাইয়ের পর আবারো লকডাউন দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “আমাদের যেটা এক্সপিরেয়েন্স সেটা হলো- চাপাইনবাবগঞ্জ স্ট্রিক্টলি ব্লক করে দেওয়ায় সংক্রমণ অনেক কমে গেছে। সাতক্ষীরায় ইমপ্রুভ করেছে। যেখানে যেখানে আমরা মুভমেন্ট রেসস্ট্রিক্ট করে দিয়েছি সেখানে ইমপ্রুভ করেছ। সরকার যদি মনে করে আরও সাতদিন যেতে হবে, সেটাও বিবেচনায় আছে।”করোনাভাইরাস সংক্রমণ কঠোর লকডাউন শুরুর আগে আগামী তিন দিনের বিধি-নিষেধে কী কী খোলা থাকবে, কী কী বন্ধ থাকবে, তা রোববার জানায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।