1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৬ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
আবারও আসছে তিনদিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ চট্টগ্রামে কাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক তাপদাহে পুড়ছে দেশ, ভাঙল ৭৬ বছরের রেকর্ড রাজধানীর সৌদি দূতাবাসে আগুন উত্তর চট্টগ্রামে এই প্রথম ফ্যাকো অপারেশন শুরু করছে চট্টগ্রাম গ্রামীণ চক্ষু হাসপাতাল সীতাকুণ্ডে বৃষ্টির জন্য ইস্তাহার নামাজ আদায় শনিবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মধ্যে ভোটের যুদ্ধ সন্দ্বীপে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা অভিযুক্ত স্বামী গ্রেফতার  চট্টগ্রামে র‌্যাবের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৪

আমেরিকা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৩৪৩ বার পড়া হয়েছে

জিল্লুর রহমান

পৃথিবীর উন্নত দেশ গুলোতে পরিবার সহ স্হায়ী ভাবে বসবাসের আগ্রহ আমাদের দেশের মানুষ শুধু নয় অনেক উন্নয়নশীল দেশের মানুষের অনেক বড় একটা স্বপ্ন কিন্ত গত জুনে ইউরোপ আর এখন আমেরিকা ঘুরে আমার কাছে মনে হল যদি কেউ ইচ্ছে করে একটা কষ্টের আর যান্ত্রীক জীবনকে বরন করতে চায় তাদের জন্য এদেশ গুলো অবশ্যই স্বপ্নের কারন এখানে স্যোশাল সিকিউরিটি , পারিবারিক এবং সামাজিক ঝামেলামুক্ত জীবন যাপন করা যায় সেই সাথে কারো নিয়ে ভাবতে হয়না আর কারো প্যারাও নিতে হয়না । এমনকি স্বামী স্ত্রী আলাদা আর করতে পারে সেই সাথে সন্তানরাও । কেউ কারো উপর খবরদারির বা দায়িত্বের দ্বায়বদ্ধতা নেই । আর এই সুন্দর জীবন উপভোগের জন্য এসব দেশে বৈধ হতে নানা রকম পন্থা যথা এসাইলাম (রিফুজী) স্পন্সর নিয়ে অন্যের অধীনে যতদিন বৈধতা পায়নি ততদিন পরে থাকতে হয় । ঘন্টায় ১৫-২০ ডলার আয় করতে দোকানের সেলসম্যান বা উবার , ডেলিভারী ম্যান এমনকি বাড়ীর সামনে বরফ ও পরিস্কার করে আয় করে এতে কেউ কিছু মনে করে না কারন এসব দেশে যে যার কাজ করেই চলতে হয় । ধনী গরীবের বৈষম্য এসব দেশে নেই । যারা দেশে খুব প্রতাপের সাথে জীবন ধারন করত তাঁরাও এখানে ওই একই কষ্ট করে কাগজ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে যা প্রায় ২-৫ বছর লেগে যায় । কোন রকমে দুরুমের একটা বাসার ভাড়া প্রায় ২.৫-৩ লাখ টাকা আর এক বেলা রুটি ভাজি খেতে লাগে ৩ হাজার টাকা। এসব দেশে যারা থাকে তারা যে কত কষ্টের টাকাটা দেশে পাঠায় আর দেশে তাদের টাকা যারা ভোগ করে তারা মনে করে ওরা তো ডলার কামাই করে এমনকি দেশও মনে করে এই টাকা দেশের আর দেশের অসাধু লোকগুলো ওই ডলারই আবার বিদেশে পাচার করে দেয় । আমি নিজেও দেশে ডলার আনি প্রতি মাসে কিন্ত নিজের প্রয়োজনে ডলার পায় না হয়ত আমার ডলার অন্যের পকেটে।

যাই হোক, আমি যে বিষয়টি লিখতে চেয়েছি তা একটা গল্পেই শেষ করি তাতে হয়ত অনেকের অন্যদেশে স্হায়ী হওয়ার আগে বুঝতে সুবিধা হবে। গল্পটা নিম্নরুপ

একবার এক পর্যটক মেক্সিকোয় গেলেন, জেলেদের মাছের খুব প্রশংসা করলেন। তারপর বললেন, ‘আচ্ছা, মাছ ধরতে আপনাদের কত সময় লাগে?’ ‘বেশিক্ষণ না’ জেলেদের এক কথার উত্তর। তাহলে আপনারা আরও বেশি সময় দিয়ে আরও বেশি মাছ ধরেন না কেন? লোকটা প্রশ্ন করেন। জেলেরা বলেন, আমরা যে মাছ ধরি তাতে আমাদের প্রয়োজন মিটে যায়। তাহলে মাছ ধরার পর বাকি সময়টা আপনারা কী করেন ? লোকটা জিজ্ঞাসা করে। জেলেরা জবাব দেয়, “আমরা ঘুমাই, মাছ ধরি, বাচ্চাদের সাথে খেলা করি, বৌয়ের সাথে খাই, সন্ধ্যায় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেই, মজা করি, হাসি, গলা ছেড়ে গান গাই…”। পর্যটক তাদেরকে থামিয়ে বলেন, ‘আমি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেছি। আমি আপনাদেরকে বুদ্ধি দিয়ে সাহায্য করতে পারি। আপনাদেরকে আরও বেশি সময় দিয়ে মাছ ধরতে হবে, বাড়তি মাছগুলো বিক্রি করে মাছ ধরার বড় নৌকা কিনতে হবে।  তারপর? জেলেদের প্রশ্ন। আপনারা বড় নৌকার সাহায্যে বেশি মাছ ধরবেন, বেশি আয় করবেন। সেটা দিয়ে আরও বড় দুটা, তিনটা বা আরও বেশি নৌকা কিনবেন। এক সময় মাছ ধরার নৌবহর বানিয়ে ফেলবেন। তখন মধ্যস্বত্ত্বভোগী ব্যবসায়ীদের কাছে মাছ বিক্রি না করে, সরাসরি মাছ প্রসেসিং ফ্যাক্টরির সাথে বেচাকেনা করবেন। এক সময় নিজেরাই মাছ প্রসেসিং ফ্যাক্টরি খুলে বসবেন। তারপর অনেক ধনী হয়ে গ্রাম ছেড়ে মেক্সিকোর রাজধানী, আমেরিকার লসএঞ্জেলেস বা নিউ ইয়র্কে চলে যাবেন। সেখান থেকে আপনারা মেগা প্রজেক্ট চালু করবেন। এসব করতে কত সময় লাগবে? জেলেদের প্রশ্ন। কুড়ি/পঁচিশ বছর তো লাগবেই।জবাব দেয় পর্যটক। তারপর জেলেরা প্রশ্ন করে। লোকটা হেসে জবাব দেয়, ব্যবসায় যখন আরও বড় হবে তখন আপনারা শেয়ার বাজারে যাবেন, মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় করবেন। মিলিয়ন ডলার! ধরুন পেলাম মিলিয়ন ডলার। কিন্তু, তারপর? জেলেরা সবিস্ময়ে প্রশ্ন করে। পর্যটক তখন জবাব দেন, আপনারা তখন অবসরে যাবেন। শান্ত গ্রামে ফিরে এসে সমুদ্রের ধারে ঘুমাবেন, বাচ্চাদের সাথে খেলা করবেন, বৌয়ের সাথে খাবার খাবেন, সন্ধ্যায় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিবেন, মজা করবেন। তখন জেলেরা বলেন, সেই কাজটাই তো আমরা এখন করছি। তাহলে এই বিশ/পঁচিশ বছরের এই কষ্টের জীবনের মানে কী ?

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla