1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :

স্মরণ ও স্মৃতিঃ মহীয়সী নারী নীলুফার কায়সারের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ সোমবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৪
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

ছাবের আহমদ চৌধুরী

মহীয়সী নারী নিলুফার কায়সার চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান মরহুম আতাউর রহমান কায়সারের স্ত্রী। তারা দুইজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। ১৯৬৪ সালে কায়সার ভাবী ঢাকা

বিশ্ববিদ্যালয় হতে সমাজতত্ব বিভাগ হতে অনার্স পাশ করেন  এবং ১৯৬৫সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় হতে কৃতিত্বের সাথে প্রথম শ্রেণীতে এমএ ডিগ্রী লাভ করেন। কায়সার ভাই ও ভাবী
তারা দুইজনই পূর্বের আত্মীয় ছিল বিধায় এক জনের সাথে আরেক জনের পূর্ব পরিচয় ছিল।সে পরিচয়ের সুবাদে ১৯৬৭ সালে ২২শে সেপ্টেম্বর পারিবারিক ভাবে ঝাঁকজমকপূর্ণ বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় । নীলুফার কায়সারের বাবার নাম ছিল খান বাহাদুর ফয়েজুর রহমান। তিনি অবিভক্ত বৃটিশ সরকারের পোষ্ট মাষ্টার জেনারেল ছিলেন। নিলুফার কায়সারের মাতার নাম ছিল মরিয়ম রহমান। কায়সার ও নীলুফার কায়সার অভিন্ন রাজনৈতিক দর্শন ও ধ্যান-ধারনার অংশীদার ছিলেন।
নীলুফার কায়সারের স্বামী আতাউর রহমান খান কায়সার আনোয়ারার খ্যাতনামা জমিদার ও পাকিস্তান পার্লামেন্টের মেম্বার ক্যাপ্টেন এয়ার আলী খানের পুত্র। মরহুম আতাউর রহমান কায়সার একজন রাজনৈতিক ব্যাক্তি ছিলেন। তাকে সার্ব্বক্ষণিক নিলুফার কায়সার ভাবী রাজনৈতিক কার্যক্রমে সহযোগিতা করতেন। কায়সার ভাই ১৯৭১ সালে কক্সবাজারে রাজাখালী হতে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন। ওই সময়ে নিলুফার কায়সারের বড় মেয়ের বয়স তখন ২বছর,  নিরাপত্তার কথা ভেবে কায়সার ভাই বাঁশখালীর জমিদার মনু মিয়াজীর বাড়িতে কায়সার ভাবীকে রেখে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ভারতে ট্রেনিং এ চলে যায়। ভারত থেকে এসে বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধ করে এবং কায়সার ভাইয়ের নেতৃত্বে কুতুবদিয়া থানা অপারেশন করে পুলিশ সদস্যদেরকে অস্ত্র সমর্পণ করতে বাধ্য করে। কায়সার ভাবী কথা প্রসঙ্গে আমি সহ আরও অনেকজনকে বলে ছিলেন একটি মজার ঘটনা। ভাবী বলেছেন আমি বাঁশখালির মনুমিয়াজি বাড়ির মুকুল মিয়াদের বাড়িতে তোমার কায়সার ভাই আমাকে ও সানিয়াকে রেখে চলে যায়। দুপুরে একদিন খাওয়া দাওয়া করে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলছিলাম, এমন সময় বিকাল ৩টার দিকে পুকুর পাড়ে হইচই পড়ে গেল। লোকজন জমায়েত হয়ে গেছে আমরা দুতলা ঘর থেকে নেমে দেখি অনেক লোকজনের মাঝখানে একজন ছোট্ট বাচ্চাকে মাথায় নিয়ে ঘুরাছে এক মহিলা, দেখি ওই মেয়েটি আমার মেয়ে সানিয়া। কান্নাকাটি করে চিৎকার করে বলতে লাগলাম আমার মেয়ের কি হয়েছে, তখন ওই মহিলাটি বলে আমি পুকুরে হাত মুখ ধোয়ার জন্য গেছি দেখলাম পানির মধ্যে একটি বড় মাছ নড়াছড়া করছে, তখন আমি তাড়াতাড়ি মাছটি ধরে যখন উপরে তুললাম দেখি একটা ছোট্ট বাচ্চা ওই বাচ্চাটি হচ্ছে আমার মেয়ে সানিয়া।

কায়সার ভাবী চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের দীর্ঘদিন সভানেত্রী ছিলেন ও কেন্দ্রীয় মহিলা আওমীলীগের সহ সভানেত্রী ছিলেন, তিনি আনোয়ারা খাসখামা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিলেন। ১৯৮৮সালে ইনার হুইল ক্লাবের সভাপতি ছিলেন, তিনি জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভানেত্রীও ছিলেন। তিনি লেডিস ক্লাবের আজীবন সদস্য, জাতীয় মহিলা সংস্থার চট্টগ্রামের সভানেত্রী ছিলেন তিনি তিন মেয়ে ও অসংখ্য গুনাগ্রাহী রেখে ২০০৯সালের ৬ এপ্রিল শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বড় মেয়ে বর্তমানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন, মেঝ মেয়ে হুমায়রা আয়েশা খান স্টাণ্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক বিদেশে উচ্চ পদে কর্মরত আছেন ও ছোট মেয়ে মুনিজা আয়েশা খান চট্টগ্রামের বিদেশি একটি কোম্পনীতে কর্মরত।

নিলুফার কায়সার ভাবী ও কায়সার ভাই বিয়ের পরে বঙ্গবন্ধুর ৩২নং ধানমন্ডিতে সালাম করতে গিয়েছিলেন তখন বঙ্গবন্ধু তাদেরকে দোয়া করে কায়সার ভাইয়ের নামের সাথে নাম মিলিয়ে নিলুফার কায়সার নামটি দেন। সেদিন থেকে ভাবীর নাম নিলুফার কায়সার হিসাবে পরিচিত। তিনি সারাজীবন পরোপকারের মূর্ত প্রতীক হিসেবে কাজ করছেন । এই মহিয়সী নারী এ শহরে জীবনকালে এক অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। তার বাংলা ইংরেজী উভয় ভাষার অসাধারণ দক্ষতা ছিল। একদিন শিক্ষা বোর্ডের এক কর্মকর্তা ওসমান গণি ২৯/০৮/২০০২ সালে একটি ছোট চিরকুট লিখে আমার ভাইয়ের মাধ্যমে আমার কাছে পাঠাল।ওই চিঠিতে লেখা ছিল ‘ছাবের ভাই, ‘ আমার বড় বিপদ। আগামীকাল ৪ টায় দোস্ত বিল্ডিং থাকব আপনাকে আসতে হবে’। আমি তারপর দিন গেলাম ওসমানের সাথে দেখা হল, সে বললেন শিক্ষা বোর্ডে আমার
বিরুদ্ধে বেনামী একটা দরখাস্ত দিয়েছে, শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ শামশুর নাহার আলীকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। যদি আমার বিরুদ্ধে রিপোর্ট দেয়, আমাকে চাকুরীর থেকে বরখান্ত করবে, আমাকে সাহায্য করেন।’  আমি বললাম আমাকে একদিন চিন্তা করার সময় দিতে হবে।তার পরের দিন সকালে আমি নীলুফার কায়সার ভাবীর বাসায় যাই, ভাবীকে বললাম আপনি কথা প্রসঙ্গে একদিন আমাকে বলেছিলেন চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ শামশুর নাহার আলী আপনার ঢাকা ইউনিভারসির্টির ক্লাসমেট ছিল, সে বর্তমানে চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ আমাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষকতা করার জন্য অফার দিয়েছিল, কিন্তু আমি যায় নাই। যদি শিক্ষকতা করতাম তাহলে এতদিনে আমিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হয়ে যেতাম।ওই কথার কারণে ওসমানের ব্যাপারটা একদিন ভাবীর সাথে আলাপ করলাম, বললাম ওসমান আমার এলাকার ছেলে, আপনি ওসমানের তদন্ত রিপোর্টটা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে ওসমানের পক্ষে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। পরের দিন ওসমানকে সাথে করে নিয়ে আসলাম, ভাবী ওনার নাম ওসমান। ভাবী সাথে সাথে গাড়ি নিয়ে আমি আর ওসমানকে সহ অধ্যক্ষ শামশুর নাহার আলীর বাসায় নিয়ে যায়। শামশুর নাহার আলীকে বুঝিয়ে বলে ওসমান তোমার কায়সার ভাইয়ের এলাকার ছেলে, শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তোমার কাছে একটা মিথ্যা তথ্য দিয়ে তদন্ত রিপোর্ট চেয়েছে। তুমি ওসমানের পক্ষে একটা রিপোর্ট তৈয়ার করে ওসমানের চাকুরীটা রক্ষা কর। এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট ওসমানের পক্ষে দিয়ে চাকুরীটা রক্ষা পেল। সেইদিন থেকে শিক্ষা বোর্ডের ডেপুটি কন্ট্রোলার ওসমান গণি কায়সার ভাইয়ের পরিবারের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক হওয়ার কারণে আজ তারিখ পর্যন্ত ওই কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে কায়সার ভাইয়ের পরিবারের বাইরে একদিনের জন্যও কোথাও যায়নি।

১৯৯৬সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কায়সার ভাই পরাজিত হওয়ার পরেরদিন আমরা ৩ জন বংশাল বাড়ীতে দেখা করতে যায়। আমি তৈলারদ্বীপের শফিউল কালাম ও অন্য আরো কয়েকজন ছিল যাদের নাম  এই মুহূর্তে মনে নেই। আমরা কায়সার ভাইকে বললাম, আপনি ঢাকা যান। নেত্রীর সাথে দেখা করেন, আপনাকে নেত্রী অবশ্যই মন্ত্রী বানাবে। তখন কায়সার ভাই আমাদের রাগান্বিত হয়ে চোখের পানি ফেলে কেঁদে উঠে বলল, আমাকে আনোয়ারায় নিজের দলের লোকেরা ষড়যন্ত্র করে পরাজিত করে দিল, তোমরা বলছো আমাকে ঢাকা যাওয়ার জন্য। আমি নেত্রীকে কেমনে মুখ দেখাবো, এই কথা বলে উপরে উঠে গেল। দোতলা থেকে ডাক দিয়ে বলল, তোমরা ভাত খেয়ে যেও উপরে আস।আমরা ২য় তলায় উঠলাম ওইখানে দেখি কায়সার ভাবী ও বড় মেয়ে সানিয়া বসে আছে।সে মুহুর্তে সানিয়া বলল, আব্বু তুমি কাঁদছো কেন, ওর ছেলে আছে বলে আজকে তোমাকে ষড়যন্ত্র করে হারিয়ে দিল, আমরা মেয়ে বলে কি, কিছুই করতে পারব না ? আব্বু তুমি কেঁদেও না, সময় আসলে ইনশাল্লাহ্ আমরাও ওদের সাথে পারব। আল্লাহর রহমতে সময়টা এখন এসে গেল। প্রতিশোধ নয় প্রতিবাদের পালা।

১৯৯৭ সালে আনোয়ারা ছাত্রলীগের একটা কমিটি গঠিত হয় ওই কমিটির সভাপতি ছিল বোরহান উদ্দীন মুরাদ, সাধারণ সম্পাদক কাইয়ুম শাহ্ ।ভাবী একদিন আমাকে ডেকে বলল, তোমাদের ছাত্রলীগের নতুন কমিটির ২০জনকে বিরানী খাওয়াবো। কিন্তু কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে নতুন আরেকটি কমিটি গঠন হল, আসহাব উদ্দীন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ওহিদুল আলমকে দিয়ে। ভাবীকে একদিন বললাম আপনি ২০জনকে বিরানী খাওয়ার কথা, কিন্তু কমিটির মেয়াদ চলে যাওয়ার পরে নতুন কমিটি গঠন করা হল, আপনার বিরাণী ছাত্রলীগের নতুন কমিটিকে এখানো খাওয়ানো হলো না। আমার তো টাকা নাই তোমার কায়সার ভাইকে বলব ২০জনকে বিরাণী খাওয়ানোর জন্য। বেশ কিছুদিন সময় চলে গেলে কায়সার ভাই একদিন রাশিয়া থেকে দেশে আসল, তখন ভাবীকে বললাম ছাত্রলীগের নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দকে বিরানী খাওয়ানোর কথা। ভাবী কায়সার ভাইকে বলল। তখন কায়সার ভাই কোনো কিছু বলছে না। আমি একদিন আগ্রাবাদ আলী হোসেন ভাইয়ের জীবন বীমা অফিসে যায়, আলী হোসেন ভাইকে বললাম কায়সার ভাইয়ের সাথে একটু কথা বলেন, ভাবী ছাত্রলীগের নতুন কমিটিকে বিরানী খাওয়ানোর কথা ছিল।আলী হোসেন ভাই কায়সার ভাইকে টেলিফোন করে বলল ছাত্রলীগের কর্মীদেরকে বিরানী খাওয়ানোর কথা, কায়সার ভাই কোন জবাব না দিয়ে বলল ছাবেরকে টেলিফোন দাও। আমার সাথে কথা বলল এবং রাগ করে বলল কিসের বিরানী ? আমি পারব না। তখন আমি বললাম, আপনাকে শুধু ২০জন না, ১২০ জনকে খাওয়াতে হবে। তখন আমি টেলিফোন রেখে দিলাম। আলী হোসেন ভাইকে বলল ছাবেরকে সাথে নিয়ে এখন আমার বাসায় আস। আলী হোসেন ভাইকে বললাম আমি যাব না। পরদিন বিজয় বড়ুয়া আমার সাথে দেখা করে বলল, এখন কায়সার ভাইয়ের বাসায় যেতে হবে জরুরি। আমি বলছি আমি যাব না, বিজয় বড়ুয়া বলল কায়সার ভাই আপনাকে সঙ্গে নিয়ে যেতে বলছে। আমরা ২জন কায়সার ভাইয়ের বাসার দ্বিতীয় তলায় গেলাম ওখানে কায়সার ভাই, ভাবী ও মুনিজা বসা ছিল। তখন কায়সার ভাই আমাকে দেখার সাথে সাথে চোখ, মুখ লাল করে আমাকে ধরে গালে ২ থাপ্পর লাগিয়ে দিল। আমি কায়সার ভাইকে বললাম, আপনি থাপ্পর মারছেন কেন। আমি চলে যাচ্ছি, এই বাড়িতে আর আসব না। ভাবী কান্না করতে লাগল, আমি যখন ২তলা থেকে নেমে চলে যাচ্ছি তখন কায়সার ভাই আমাকে পিছে পিছন থেকে ডাকছে, কিন্তু আমি পিছন দিকে তাকাচ্ছি না, আমি দ্রুত হাঁটতে হাঁটতে এস এম আবুল কালাম ভাইয়ের বাসার সামনে চলে আসলাম কায়সার ভাই পিছন থেকে আমাকে ঝাপটিয়ে ধরে ফেলে এবং আমাকে জড়িয়ে ধরে বাসার দোতলায় নিয়ে যায়। কায়সার ভাই আদর করে বলল, আনোয়ারা থানা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির আসহাব উদ্দিন ও ওহিদুল আলমকে খবর দাও।
কালকে ২টা গাড়ি ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়ে আমার বাড়িতে আসার জন্য আমি ওদেরকে খাওয়ায়ে দিব। তখন কায়সার ভাই এস এম আবুল কালাম ভাইকে টেলিফোন করে বলল ছাবেরকে তোমার কাছে পাঠাচ্ছি, কালকে ছাত্রলীগের ২গাড়ি কর্মী আনোয়ারা থেকে আসবে, তোমাকে তাদের সাথে খেতে হবে এবং ২টি কোস্টারের ভাড়া তোমাকে দিতে হবে। এস এম আবুল কালাম সাহেব ২টি কোস্টারের ভাড়ার টাকা আমাকে দিল, পরদিন কায়সার ভাই একটি গরু ও ২টি ছাগল জবেহ্  করে সকলকে খাওয়ায়ে দিল আমরা ছাড়াও অন্যান্য অনেক মেহমান ছিল।
কিন্তু কায়সার ভাইয়ের সাথে আমার সাথে যা হয়েছে, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান দপ্তর সম্পাদক বিজয় বড়য়া ও আমি ছাড়া বাইরের কেউ আজ পর্যন্তও জানে না। ২০১০সালে কায়সার ভাইয়ের মৃত্যুর পর মুসলিম হলে স্বরণ সভা কমিটির অনুষ্ঠানে সাজেদা চৌধুরী এসেছিলেন, সেই অনুষ্ঠানে মোশাররফ ভাই কেঁদে কেঁদে বলেছিল কায়সার আমার ঘনিষ্ট বন্ধু ওর বিয়ের ১৭দিন পর আমার বিয়ে অনুষ্ঠিত হয় কায়সারের শেরওয়ানি ও মুকুট নিয়ে আমার বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। আমি সাজেদা আপার কাছে অনুরোধ করছি চট্টগ্রাম শহরে কায়সার ও নীলুফার কায়সারের নামে একটি কলেজ নামকরণ করার জন্য। সাথে সাথে সাজেদা আপা মেয়র মনজুর আলমকে টেলিফোনে কায়সার ও নীলুফার কায়সারের নামে একটি কলেজের নাম করণের অনুরোধ করে। তখন মেয়র মনজুর আলম সাজেদা আপাকে বলুয়ার দীঘি পাড়ে
প্রতিষ্টিত নতুন কলেজটি কায়সার-নীলুফার কায়সার কলেজে নাম করণের কথা বলেন। কলেজটি বর্তমানে তাদের স্মৃতি বহন করে চলছে। আমি গত ৬ এপ্রিল সকাল ৯টায় নীলুফার কায়সার ভাবীর মৃত্যুবার্ষিকীর দিন কবর জিয়ারত করি যেহেতু ওই দিন পবিত্র শবে কদরের দিনও ছিল। আমি জিয়ারত করে আসার সময় বংশাল বাড়ীর কেয়ারটেকার কাদের আমাকে বসার জন্য ডাকছিল, আমার কাজ আছে বলে আমি চলে এসেছি। আজকে নীলুফার কায়সারের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকিতে আমি প্রার্থনা করি রাব্বুল আলামিন যেন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌস নছিব করেন।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla