1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৯ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
তৎক্ষালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে যত মানুষ মরার কথা ছিলো, তত মানুষ মরে নাই স্মরণ সভায় ওয়াসিকা আবারও আসছে তিনদিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ চট্টগ্রামে কাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক তাপদাহে পুড়ছে দেশ, ভাঙল ৭৬ বছরের রেকর্ড রাজধানীর সৌদি দূতাবাসে আগুন উত্তর চট্টগ্রামে এই প্রথম ফ্যাকো অপারেশন শুরু করছে চট্টগ্রাম গ্রামীণ চক্ষু হাসপাতাল সীতাকুণ্ডে বৃষ্টির জন্য ইস্তাহার নামাজ আদায় শনিবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মধ্যে ভোটের যুদ্ধ সন্দ্বীপে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা অভিযুক্ত স্বামী গ্রেফতার 

প্রকাশক, লেখক ও বইমেলা

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

মাহমুদুল হক আনসারী
ভাষার মাস ফেব্রুয়ারী। বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন জাতির ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালী জাতি স্বাধীনতা পর্যন্ত পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে ভাষা প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ করে ইতিহাস সৃষ্টি করার জাতির নাম বাঙালী জাতি। বাংলা ভাষা আন্দোলন সংগ্রাম সফল না হলে বাংলাদেশের স্বাধীন মানচিত্র পেতে আরো বহু বেগ পেতে হত। বাংলা ভাষা আন্দোলনের অনেক নেতৃত্ব দানকারী শ্রেষ্ঠ গর্বিত সন্তান আজ আমাদের মাঝে নেই। ইতিহাসে তাদের গৌরব গাঁথা আন্দোলন সংগ্রাম লিপিবদ্ধ আছে। প্রতিবছর ভাষার মাস ফেব্রæয়ারীতে জাতি নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভাষা শহীদ ভাষার জন্য যারা জীবন উৎসর্গ করেছে তাদেরকে স্মরণ করে থাকে। মায়ের ভাষার জন্য যুদ্ধ করে ইতিহাস সৃষ্টিকারী সেই মহান বীরদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে দুয়েকটি কথা লিখতে চাই। মায়ের ভাষার মর্যাদা আনন্দ সেটি বলে লিখে শেষ করা যাবেনা। বাঙালী জাতি মায়ের ভাষার শব্দ উচ্চারণ করে পরিবার থেকে শিক্ষা গ্রহণ করছে। পারিবারিক শিক্ষা থেকে বিদ্যালয় স্কুল কলেজ বিশ^বিদ্যালয় পর্যন্ত বাংলা ভাষার ধারাবাহিক চর্চা চলে আসছে। বাঙালী জাতি বাংলা ভাষাকে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অফিস আদালত জাতীয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পর্যন্ত বাংলা ভাষার পরিধি ব্যাপকভাবে প্রচার করতে সক্ষম হয়েছে।
বাংলা ভাষার চর্চা পাঠ লিখন বই পত্রিকা ম্যাগাজিন প্রবন্ধ নিবন্ধ কবিতা ছড়া ইত্যাদির মাধ্যমে আমার মায়ের ভাষা আজ অর্ধ পৃথিবী পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। যেখানেই বাঙালী জাতি পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে সেখানেই বাংলা ভাষার চর্চা পাঠ লিখন চালু হয়েছে। স্বাধীনতার পর এই অর্ধ শতাব্দীতে মাতৃভূমিতে বাংলা ভাষার চর্চা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিবছর হাজার হাজার সাহিত্য প্রবন্ধ গল্প নাটক ছড়া কবিতা ইতিহাস সমৃদ্ধ বই মাতৃভাষায় প্রকাশিত হচ্ছে। ফেব্রæয়ারী মানে ভাষার মাস। ভাষা শহীদদের বারবার স্মরণ করার মাস। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা প্রকাশ করতে গিয়ে প্রকাশক লেখক কবি সাহিত্যিক তাদের লেখনীর মাধ্যমে ইতিহাস ও গবেষণা লব্ধ মেধার মাধ্যমে বাংলা ভাষার অফুরন্ত ভান্ডারের সংমিশ্রণে বই প্রকাশিত করে। সেই বইয়ে অবদান রেখে যাচ্ছে প্রকাশক। লেখকদের মেধা বিকশিত করতে সেই পান্ডুলিপি বই আকারে বের করতে কয়েকশত প্রকাশক বাংলাদেশে ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেই প্রকাশকদের আন্তরিক ভালোবাসায় লেখকগণ নানাভাবে উপকৃত হচ্ছে। সরকারের নানাভাবে সহযোগিতা আন্তরিকতায় প্রকাশকগণ কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশাস ফেলছে। প্রকাশকদের ব্যয়বহুল এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো আমার জানামতে তাদেরকে আন্তরিক সহযোগিতা দিয়ে থাকেন।
সেই জায়গা থেকে প্রকাশকগণও লেখদেরকে নানাভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে তৃণমূল পর্যায় থেকে তাদের উঠিয়ে আনতে সাহায্য করে থাকেন। একজন নবীণ লেখককে প্রবীণ লেখকে পৌঁছাতে প্রকাশকের অবদান অনস্বীকার্য। কিছু কিছু প্রকাশক প্রকাশনার জগতে জাতীয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিচয় লাভ করতে পেরেছে। পক্ষান্তরে কতিপয় প্রকাশক তাদের কার্যক্রম ও লেখকদের প্রকাশনাকে ডেভলপ করতে গিয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি আদান প্রদানে ঠিকমতো কথা রাখতে পারেনা। নবীন লেখকদের মধ্যে অনেকেরই মুখে অভিযোগ শুনা যায় ঢাকা কেন্দ্রীক কতিপয় প্রকাশক নবীনদের বই প্রকাশ করার চুক্তি করেও যথাসময়ে ও যথাযথভাবে তাদেরকে বই প্রকাশ করে দিতে পারেনা। মাঝপথে বহু প্রকাশক অনেক নবীন লেখকদের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যেতেও শুনা যায়। এইসব কথাবার্তা অভিযোগ মোটেও প্রকাশক লেখক গোষ্ঠীর জন্য শুভকর নয়। এতে করে অনেক নবীণ লেখক বই প্রকাশের ইচ্ছে হারিয়ে ফেলে। একজন লেখক অনেক পরিশ্রম মেধা যোগ্যতা ত্যাগ সাধনার মাধ্যমে নানা বিষয়ের ওপর তিনি বই করার নিমিত্তে পান্ডুলিপি তৈরি করেন। যখন মাঝপথে প্রকাশকের সাথে চুক্তি ও অর্থ লেনদেনে দূর্ঘটনার সম্মুখীন হয় তখন স্বাভাবিক ভাবেই তিনি ভেঙে পড়েন। এই ধরনের অভিযোগ বর্তমান লেখক প্রকাশক পরিবেশে শুনা যায়। ফলে বহু নবীন লেখক এই সৃজনশীল কর্মকান্ড থেকে সরে যেতেও চোখে পড়ে। এই ধরনের আচরণ অভ্যাস কর্মকান্ড যেই পক্ষই করুক না কেনো গ্রহণযোগ্য নয়। রাষ্ট্রীয়ভাবে অথবা সমাজ থেকে নবীন লেখকদের তুলে আনার প্রবণতা চোখে পড়েনা। একজন লেখক ধীরে ধীরে হাটি হাটি পা পা করে তৈরি হতে অনেক সময়ের প্রয়োজন। তাকে উৎসাহ দেয়া তার কর্মকান্ডে মানসিক আর্থিক সামাজিকভাবে সহযোগীতা করার মতো পরিবেশ আমাদের দেশে এখনো তৈরি হয়নি। পাশর্^বর্তী দেশ সহ পৃথিবীর উন্নত দেশসমূহে ভাষার জন্য সংস্কৃতি ইতিহাস ঐতিহ্য মেধা বিকাশে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে সহযোগিতা করার কথা শুনা যায়। বাংলাদেশে লেখক গবেষক প্রাবন্ধিক কবি সাহিত্যিকদেরকে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে বেঁচে থাকার মতো সহযোগিতা করার পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। তবুও যারা কঠোর পরিশ্রম সাধনা অর্থনৈতিক নানা সংকটের মধ্যেও বাংলা সাহিত্যকে আরো গতিশীল সমৃদ্ধশালী করতে সচেষ্ট আছে তাদের সফলতা কামনা করছি। রাষ্ট্রীয়ভাবে ও সামাজিকভাবে তরুণ নবীন প্রবীন সব লেখকদের প্রতি আন্তরিক সহযোগিতা সার্বিক ভাবে তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত মনে করছি। বাংলা সাহিত্যকে ও ভাষাকে আরো সমৃদ্ধ করতে হলে লেখক গবেষক ভাষা বুদ্ধীজীবিদের অবশ্যই রাষ্ট্রীয় সহযোগিতার আওতায় আনা চাই।
বাংলা ভাষার চর্চা আরো সমৃদ্ধ করার জায়গায় কোনোভাবেই বিকৃত ভাষার ব্যবহার মেনে নেয়া যায়না। বাংলা সংস্কৃতি ইতিহাস ঐতিহ্যকে বাঙালীদের স্বকীয়তা বজায় রাখতে হবে। ভীনদেশী সংষ্কৃতি ইতিহাস কৃষ্টি কালচার আমাদের গ্রহণযোগ্যতা পাবেনা। জাতি হিসেবে বাঙালী জাতির স্বকীয়তা স্বাধীনতা ইতিহাস ঐতিহ্য তাহযীব তমুদ্দুন যথাযথভাবে লালন পালন ধারণ করে বাংলা ভাষাকে আরো সমৃদ্ধশালী করার প্রত্যয় থাকতে হবে। ভাষার মাসে সকল ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ভালোবাসা ও তাদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla