মো. আবদুর রহিম
বাংলাদেশের স্থপতি মহাকালের মহানায়ক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর বুকের রক্তে প্লাবিত বাংলাদেশ। তাঁর বুকের তাজা রক্ত, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের বুকের রক্ত, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভ্রাতা শেখ আবু নাসেরের বুকের রক্ত, জাতির পিতার পুত্র বীরমুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, দ্বিতীয় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, কনিষ্ঠপুত্র নিস্পাপ শিশু শেখ রাসেল, নবনিবাহিত পুত্রবধু সুলতানা কামাল, রোজা জামালের বুকের রক্ত, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক তরুন বুদ্ধিজীবী শেখ ফজলুল হক মনি ও তাঁর অন্তঃসত্ত¡া স্ত্রী বেগম আরজু মনির বুকের রক্ত, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও জাতির পিতার ভগ্নিপতি, মন্ত্রী ও কৃষকনেতা আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছোট মেয়ে শিশু বেবী সেরনিয়াবাত, কনিষ্ঠ পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, তার দৌহিত্র আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর ৪ বছরের শিশু পুত্র সুকান্ত আবদুল্লাহ বাবু, আবদুর রব সেরনিয়াবাতের ভাইয়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাত, আব্দুল নঈম খান রিন্টু’র বুকের রক্ত এবং জাতির পিতার সামরিক সচিব কর্ণেল জামিল উদ্দিন আহমদ ও বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে কর্মরত অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বুকের রক্তে প্লাবিত হয় বঙ্গবন্ধুর বাংলা ১৯৭৫ এর আগস্ট মাসের ১৫ তারিখ। এই আগস্ট মাস সামনে এলেই খুনি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকারীরা মাতাল হয়ে যায়, খুনের নেশায় বিভোর হয়। সেই কলঙ্কজনক রাতে বিদেশে অবস্থান করার কারণে আজকের উন্নয়নশীল বাংলার কারি সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা বিদেশে মাটিতে থাকায় তারা দুইজন আজো বেঁচে আছেন। স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বাংলার দুঃখী মানুষের সেবার জন্য তাদের বাঁচিয়ে রেখেছেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট পৃথিবীর ইতিহাসে আরো একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দিন। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের মত সেই দিন প্রকাশ্যে জনসভায় বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যা এবং আওয়ামী লীগকে চিরতরে নেতৃত্বশূণ্য করে ক্ষমতার আসন চিরস্থায়ী করতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২২ জনকে হত্যা এবং কয়েক হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে পঙ্গু করে দেয়া হয়। আগস্ট মাসের ১৭ তারিখে বাংলাদেশকে জঙ্গীরাষ্ট্র ও অকার্যকর দেশে পরিণত করতে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় একই সময়ে দেশের ৬৩ জেলায় বোমা হামলা পরিচালিত হয়। সেই ১৯৭৫ থেকে আজোবধি আগস্ট মাসে নানা ঘটনা দুর্ঘটনা চালানো হচ্ছে। জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনাকে দুনিয়া থেকে চিরবিদায়ে ষড়যন্ত্র চক্রান্তের মাধ্যমে ১৯ বার তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এমনকি বন্দিশালায় খাদ্যে বিষমিশিয়ে হত্যারও চেষ্টা হয়। তাই তো বলি, শেখ হাসিনার চারপাশে ষড়যন্ত্র, বারুদ আর গুলির ছড়াছড়ি। দেশ বিদেশি চক্রান্ত চলছে সমানতালে। জাতির পিতার রক্তের উত্তরাধিকার, আদর্শের উত্তরাধিকার বাংলা ও বাঙালির আশা ভরসার একমাত্র ঠিকানা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা একমাত্র আল্লাহর উপর পুর্ণবিশ^াস, আস্থা ও ইমানি বলে বলিয়ান হয়ে তিনি জীবনের মায়া তুচ্ছ বিবেচনায় বাংলাদেশের গণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন বঙ্গবন্ধু কাক্সিক্ষত ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে ঝুঁকি মাথায় নিয়ে দৃপ্ত পদে সামনে যাচ্ছেন অমিত সাহস বুকে নিয়ে। ষড়যন্ত্রের জাল প্রতিদিন বিছানো হয়, চক্রান্ত হয়, ষড়যন্ত্র হয়, ঘরে বাহিরে, দেশ-বিদেশে, মিথ্যাচার, গুজব, কল্পকাহিনী আর মিথ্যাচার করে বাংলার মানুষ ও বিশে^র দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ফেরাতে তৎপর অশুভ বাহিনী। সত্য, সুন্দর, উন্নয়ন ও সুখ শান্তি কেড়ে নিতে চলছে ষড়যন্ত্র অবিরত। সেই ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্ট আর ৩ নভেম্ভর নয়। প্রতিদিন প্রতিক্ষণ যেন শয়তানের কুমন্ত্রণায় চলে চক্রান্তকারীরা। দেশ নানা প্রতিকূলতা, বৈরী পরিবেশ, ঝড়-ঝঞ্ঝা, বন্যা, জলোচ্ছাস, মহামারি, যুদ্ধ বিগ্রহ সহ নানামুখি অপতৎপরতা মোকাবিলা করা কি কঠিন ও দুরহ কাজ নয়? বঙ্গবন্ধু কন্যা তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিকট থেকে মানুষকে ভালবাসার মানবিক গুণ, ত্যাগ, সংগ্রাম, বীরত্বপূর্ণ নেতৃত্ব, অদম্য স্পৃহা, দৃঢ় প্রত্যয়, বাঙালি জাতির প্রতি গভীর ভালোবাসা, মমত্ববোধ রাজনৈতিক দুরদর্শিতা সব অর্জন করেছেন তাই তো তিনি এতটাই বিচক্ষণ দুরদর্শি ও সাহসী। তিনি কোন অপশক্তিকে পরোয়া করেন না। মৃত্যুকে হাতের মুঠো বিবেচনায় সামনের পানে এগিয়ে চলেন। পরাশক্তি বলেন, ষড়যন্ত্র বলেন কোন কিছুই তাঁর চলার পথে বাধা হয়ে দাড়াতে পারে না। প্রকৃত সত্য বলতে বঙ্গবন্ধু কন্যা চুল পরিমাণ ও বিচলিত হন না। কার কত শক্তি, কার কত অর্থ বিত্ত, কার কত ক্ষমতা তিনি সত্য বলতে কোন কিছুই আমলে নেন না। তিনি জানেন তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করতে নানামুখি ষড়যন্ত্র হচ্ছে যা তিনি অকপটে বলে চলছেন কাউকে পরোয়া না করেই। সাহসী দৃঢ়চেতা প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় আমাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র জোরদার করা হচ্ছে।’ তিনি জানেন ষড়যন্ত্রকারীদের একমাত্র টার্গেট বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনা। ২০১৪ এবং ২০১৮ এর নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্র করেছে। ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে যারা হত্যা করেছে সেই খুনিরা বঙ্গবন্ধুর বাসায় নিয়মিত আসা-যাওয়া করত। ঘাতকরা তো এদেশের সন্তান এরা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশও নিয়েছিল, এরাই ১৯৭১ সালে ২৪ মার্চ চট্টগ্রামের ‘সোয়াত’ জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাসে সহযোগিতায় ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সারাটা জীবন বাঙালি জাতির মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, সেই বাঙালি হয়ে কীভাবে জাতির পিতার বুকে গুলি চালিয়েছিল তা ভাবতে আজো বুক কেঁপে উঠে। জাতির পিতাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করার পর রেডক্রসের এক টুকরা কাপড় কাফন বানিয়ে তাঁকে দাফন করা হয়েছিল। ১৫ আগস্ট ঘাতকরা যাদের হত্যা করেছে তাদের তো কাফন-দাফন কিছু হয়নি। ছোট শিশু রাসেলকে পর্যন্ত খুন যারা করেছে, সেই পরিবার থেকে শেখ হাসিনা বেঁচে এসে সরকারে এসে দেশের সাফল্য এনে দিলেন। শেখ হাসিনার হাত ধরে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে এটা তো খুনীদের এবং ষড়যন্ত্রকারীদের পছন্দ নয়। তাইতো তারা তৎপর সারাক্ষণ। বঙ্গবন্ধু বাংলার ভূমিহীন ভূমির মালিক হচ্ছে, গৃহহীন গৃহের মালিকানা পাচ্ছে। আশ্রয়হীন ঠিকানাহীন মানুষ ঠিকানা পাচ্ছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে গ্যাস সংকট জ¦ালানি সংকট, সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে। এই সংকটে ইউরোপ-আমেরিকাও জ¦ালানি সাশ্রয় করছে। সুতরাং কিছু কষ্ট ও ধৈর্য্যতো জাতিকে করতে হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে প্রজন্মের জ্ঞাতার্থে বলতে হচ্ছে যে, কলামিস্ট অ্যান্ডি মুখার্জি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি কলাম লিখেছেন। ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত এ কলামে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রশংসা করা হয়েছে। লেখক বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ভারতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে পারে। করোনা মধ্যবর্তী সময় স্বাধীনতার ঠিক ৫০ বছর পর বাংলাদেশ একটি বড় পরীক্ষায় পাস করেছে। ২০২১ সালে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরনের সুপারিশ করেছে। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় এখন প্রতিবেশী ভারতের থেকে বেশি। কিন্তু আকষ্মিক নিষ্ঠুর ধাক্কায় বাংলাদেশের এ উদ্্যাপন কিছুটা বাধাগ্রস্থ হয়েছে। ডলার ঘাটতির কারণে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণ চেয়েছে। এ অর্থনৈতিক ভারসাম্যহীনতা বাংলাদেশকে ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণে লাইনচ্যুত করবে কি না ? প্রতিবেশী ভারত থেকে বাংলাদেশ কিছু সাদৃশ্যপূর্ণ ঘটনার ক্লু পেতে পারে এবং শিক্ষা নিতে পারে। অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার কারণে প্রায় প্রতিটি স্বল্পোন্নত দেশে আর্থিক সংকট তৈরি হয়। ভারতেও এমনটি হয়েছিল। ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ১৯৯০-১৯৯১ সালে আমদানির জন্য ডলার সংকট তৈরি হয়েছিল। ওই সময় দিল্লিকে আইএমএফের শরণাপন্ন হতে হয়েছিল। তখন ভারতের মাথাপিছু আয় ছিল ৩৯০ ডলার। মাত্র ১০ ডলার বৃদ্ধি অর্থাৎ ৪০০ ডলারের জন্য ভারতকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল। দীর্ঘ সময় লাগার অন্যতম কারণ ছিল স্থিতিশীলতার তিন বছরেও ভারতের ব্যাংকিং সিস্টেমের এক চতুর্থাশে কাজ করছিল না। অর্থনীতির জন্য দুর্বল বছরকে সংস্কারের কাজে ব্যবহার করতে হবে যেটা অর্থনীতিকে নতুন করে প্রবৃদ্ধি দেবে। এ ক্ষেত্রে ভারত যা করেছিল তা হলো, ব্যবসায় বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূর করা, শিল্পে লাইসেন্স ছাড় করা এবং বৈশি^ক মূলধনে স্থানীয় শিল্প শুরু করা। এসব উদ্যোগ ভারতের মাথাপিছু আয় চারগুণ বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছিল। ১৯৯৬ সালে যেখানে ভারতের মাথাপিছু আয় ছিল ৪০০ ডলার, ২০১২ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১ হাজার ৫০০ ডলার। উল্লিখিত সময়ে বাংলাদেশেরও প্রবৃদ্ধ হচ্ছিল। এক দশক আগেও বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ডলারের কিছু বেশি ছিল। সেখানে ২০২১ সালে সেটা বেড়ে ২ হাজার ৬০০ ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা ভারত থেকে বেশি। বাংলাদেশের ক্রয়ক্ষমতাও এখন ভারতের থেকে ৪ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ বিশ্বে নিম্নদক্ষ শ্রমিকের তৈরি রেডিমেড গার্মেন্টস রপ্তানি করছে। সেখানে ভারত সুনিপূর্ণ সফটওয়্যার, আউটসোর্সিং এবং শত কোটি জনসংখ্যার কর্মশক্তি থেকে লাভবান হচ্ছে। আইএমএফের ঋণ বাংলাদেশের অর্থনীতি সংস্কারে ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদরাও বলেছেন, ‘সুযোগ গ্রহণ করা উচিত।’ তবে প্রতিবেশী ভারত থেকে নীতি নির্ধারকদের বড় শিক্ষা হবে ব্যাপক ভিত্তিক মজুরি বৃদ্ধি এবং সমৃদ্ধির সুযোগ হাতছাড়া না করা।’ প্রতিকূলতা পেরিয়ে বাংলাদেশ সাহসী দৃঢ়চেতা নেতৃত্ব শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘চিরদিন আমিও থাকব না, কিছু বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা যেন ব্যাহত না হয় এটাই আমি চাই। আমরা যেন এগিয়ে যেতে থাকি এবং যে আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশ গড়ে উঠেছিল সে আদর্শ যেন বাস্তবায়ন করতে পারি।’ বর্তমান সরকারের ওপর জনগনের আস্থাও বিশ্বাস রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শিক্ষা কারও মুখাপেক্ষী না থেকে আত্মমর্যাদাশীলভাবে গড়ে উঠা। সেই লক্ষ্যেই হাটছে বাংলাদেশ। যতই ষড়যন্ত্র হোক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে বাংলার মাটি ও মানুষ নিয়ে নিজেদের দেশ আমরা নিজেরাই গড়বো। যারা অতীতে গণতান্ত্রিক অধিকার বা ভোটের অধিকার কিছুই দেয়নি, প্রতিরাতে কারফিউ থাকত, সেনানিবাসে নৃশংস ঘটনা ঘটতো, সেই পরিস্থিতি বাংলার জনগণ চায় না। আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা আপনজন হারানোর ব্যথা বুকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, এদেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নই করে যাচ্ছে। যত ষড়যন্ত্র আর চক্রান্তই হোক এ আগস্ট মাসের শোককে শক্তিতে পরিণত করার দৃপ্ত শপথে বলিয়ান হয়ে বাংলাদেশের সামনে এগিয়ে নিতে আওয়ামী লীগ ও জননেত্রী শেখ হাসিনা অঙ্গীকার বদ্ধ। বঙ্গবন্ধুর রক্তের প্লাবনে প্লাবিত বাংলাদেশ সব ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত মোকাবিলায় প্রস্তুত। সাধারন সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা স্মৃতি পরিষদ