1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৩ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
তাপদাহে পুড়ছে দেশ, ভাঙল ৭৬ বছরের রেকর্ড রাজধানীর সৌদি দূতাবাসে আগুন উত্তর চট্টগ্রামে এই প্রথম ফ্যাকো অপারেশন শুরু করছে চট্টগ্রাম গ্রামীণ চক্ষু হাসপাতাল সীতাকুণ্ডে বৃষ্টির জন্য ইস্তাহার নামাজ আদায় শনিবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মধ্যে ভোটের যুদ্ধ সন্দ্বীপে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা অভিযুক্ত স্বামী গ্রেফতার  চট্টগ্রামে র‌্যাবের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৪ চট্টগ্রামের বিভিন্ন মহাসড়কে অবৈধ গাড়ির অরাজকতা বন্ধ করতে আবারো বিআরটিএ’র অভিযান আমি আজ কথা দিচ্ছি  আপনাদের একা রেখে পালিয়ে যাব না, সুখে দুঃখে আপনাদের পাশে থাকব, আমি আপনাদের এই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চাই- ওয়াসিকা

পরিবেশ দূষণঃ বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের অকাল মৃত্যু

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটছে। বায়ুদূষণ, অনিরাপদ পানি, নিম্নমানের স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) এবং সিসা দূষণে এই মৃত্যু হচ্ছে। পরিবেশগত কারণে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপির ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ সমপরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। ঘরের এবং বাইরের বায়ূদূষণ স্বাস্থ্যর ওপর সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে, যা ৫৫ শতাংশ অকালমৃত্যুর জন্য দায়ী। এটি ২০১৯ সালের জিডিপির ৮ দশমিক ৩২ শতাংশের সমপরিমাণ। বিশ্বব্যাংকের ‘দ্য বাংলাদেশ কান্ট্রি এনভায়রনমেন্ট অ্যানালাইসিস (সিইএ)’ শীর্ষক এ প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারের মাধ্যমে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিস এ সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক। বক্তব্য দেন বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র পরিবেশ বিশেষজ্ঞ আনা লুইসা গোমেন লিমা।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ উদ্বেগজনক মাত্রার দূষণ এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন যা তুলনামূলক বেশি ক্ষতি করেছে দরিদ্র, ৫ বছরের কম শিশু, বয়স্ক এবং নারীদের। আর নানা দূষণে আক্রান্তের কারণে যারা অসুস্থতায় ভোগেন, তাদের সেই দিনগুলো যোগ করে বছরে ৫ দশমিক ২ বিলিয়ন বা ৫২০ কোটি দিন অসুস্থতায় চলে যায়

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমাদের অনেক বড় ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নদীর কারণে বাংলাদেশ ডাউনে অবস্থিত হওয়ায় প্লাস্টিকসহ নানা বর্জ্য ভেসে আসছে। এ নিয়েও কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনসহ অনেক ক্ষেত্রে কোনো অবদান না রাখলেও ক্ষতির বোঝা ঘাড়ে নিতে হচ্ছে বাধ্য হয়েই। সেই সঙ্গে জলবায়ু তহবিলের যে অর্থ পাওয়া যাচ্ছে তার ৪০ শতাংশই হচ্ছে ঋণ। এটা কাম্য হতে পারে না। আমাদের দেশের উন্নয়নে সবুজ বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের জন্য পরিবেশের ঝুঁকি মোকাবিলা একই সঙ্গে উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রাধিকার। আমরা পৃথিবীর নানা দেশে দেখেছি যে পরিবেশের ক্ষতি করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলে তা টেকসই হতে পারে না। তিনি আরও বলেন, শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির গতিপথ টেকসই রাখতে এবং শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নতি করতে বাংলাদেশ কোনোভাবেই পরিবেশকে উপেক্ষা করতে পারবে না। উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে পরিবেশের ক্ষয় রোধ এবং জলবায়ু সহিষ্ণু নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশ দূষণ শিশুদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। সিসা বিষক্রিয়া শিশুদের মস্তিকের বিকাশে অপরিবর্তনীয় ক্ষতি করছে। এতে বছরে প্রাক্কলিত আইকিউ ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ২০ মিলিয়ন পয়েন্ট। গৃহস্থালিতে কঠিন জ্বালানির মাধ্যমে রান্না বায়ূদূষণের অন্যতম উৎস এবং তা নারী ও শিশুদের বেশি ক্ষতি করছে। শিল্পের বর্জ্য এবং অনিয়ন্ত্রিত প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন বর্জ্য এবং অন্যান্য উৎস থেকে আসা অপরিশোধিত ময়লাযুক্ত পানির কারণে দেশের নদীগুলোর পানির গুণগত মানের মারাত্মক অবনতি ঘটেছে।

বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সময়মতো এবং জরুরি হস্তক্ষেপ, উন্নত পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) এবং সিসা দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিবছর এক লাখ ৩৩ হাজারের বেশি অকালমৃত্যু ঠেকাতে পারে। সবুজ বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগ, রান্নায় সবুজ জ্বালানি ব্যবহার এবং শিল্পকারখানা থেকে দূষণ রোধে কঠোর নিয়ন্ত্রণ বায়ুদূষণ কমাতে পারে।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এবং এই রিপোর্টের সহকারী প্রণেতা আনা লুইসা গোমেজ লিমা বলেন, সময়মতো এবং সঠিক নীতি ও কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরিবেশ দূষণের ধারা পালটে ফেলতে পারে। পরিবেশ সুরক্ষা জোরদারে পদক্ষেপ এবং রান্নায় সবুজ জ্বালানির জন্য বিনিয়োগ ও অন্যান্য প্রণোদনা, সবুজ অর্থায়ন বাড়ানো, কার্যকর কার্বন মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং সচেতনতা বাড়ানো দূষণ কমাতে পারে এবং এর ফলে সবুজ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব।সুত্র যুগান্তর ও অনলাইন পোর্টাল

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla