1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
সীতাকুণ্ডে কুমিরা ঘাট দিয়ে পালাচ্ছে রোহিঙ্গারা, খবর পেয়েও আটক করেনি নৌ পুলিশ ৬ তারিখে বাজেট দেবো, বাস্তবায়নও করবো বায়েজিদে টোকেন বাণিজ্য নিষিদ্ধ অটোরিক্সা অবাধেই চলছে ট্রাফিক পুলিশ চাঁদা পেয়েই নিরব ১১ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য ডবলমুরিং- এ ভুয়া নারী পুলিশ কনস্টেবল আটক বিএসসি মর্যাদা পাওয়া নিয়ে আইইবি’ বিরুপ প্রতিক্রিয়া অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য – আইডিইবি সীতাকুণ্ডে অবৈধ বালু উত্তোলন দিয়ে কে আর অক্সিজেন পুরাতন কুমারী খাল ভরাট করছে একজন মন্ত্রী সমর্থিত আরেকজন এমপি সমর্থিত আর আমি হচ্ছি সাধারণ জনগণ সমর্থিত- তৌহিদ  মিরপুর-পল্লবীর মটস: মানবিক ভ্রাতৃত্ব গঠনে কৃষি ও কারিগরি প্রশিক্ষণে এগিয়ে জাফর হায়াতের মৃত্যবার্ষিকী আজ

এগিয়ে আসছে নির্বাচন : কোন দিকে যাচ্ছে রাজনীতি

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০২৩
  • ১৬১ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন অতিথি প্রতিবেদক

বাংলাদেশের রাজনীতি কোন দিকে যাচ্ছে? নির্বাচনের দিকে নাকি অন্য কোনো দিকে? প্রশ্নটা বোদ্ধা, অবোদ্ধা, সাধারণ, অসাধারণ-সব মানুষের। প্রশ্নটা সহজ কিন্তু উত্তরটা বেশ কঠিন।
দেশি-বিদেশি তৎপরতা বলছে বাংলাদেশে নির্বাচন আসছে। সরকারি দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ (বিএনপি) সব কটি দলই এখন মাঠে। রাজনীতির মাঠ প্রচ- গরম। পাল্টাপাল্টি জনসভা করছে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল। জোরেশোরে জনসংযোগ করছে দলগুলোর নেতাকর্মীরা।
আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য এখনই দোয়া ও ভোট চাচ্ছেন কেউ কেউ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ আগস্ট রংপুরের জনসভায় নৌকা মার্কায় ভোট চেয়েছেন। রংপুরে স্মরণকালের জনসমুদ্রে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির প্রিয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মামলায় তারেক রহমানের শাস্তি হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রংপুরে কখনো মঙ্গা হয়নি। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে লুট করে ,ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।
বলা যায় প্রধানমন্ত্রী পুরো ভাষণটাই ছিল রাজনৈতিক। দেশে নির্বাচন আসছে, এর প্রতিফলন ছিল রংপুরের সমাবেশে। এমন সভা-সমাবেশ সামনে আরও হবে। রাজনীতির মাঠ গরম থেকে গরমতর হবে। এরই বহিঃপ্রকাশ ঘটছে প্রতিনিয়ত।
বাংলাদেশের প্রধান তিনটি দল-আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় জনসংযোগ করছেন। সরকারদলীয় প্রার্থীদের জনসংযোগ একটু বেশিই চোখে পড়ছে। কোনো কোনো সম্ভাব্য প্রার্থী তো মাসের পর মাস নিজ নির্বাচনি এলাকায় থাকছেন। রাজধানী ঢাকায় আসছেন কালে-ভদ্রে।
সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীদের এই মনোভাবটা খুবই ইতিবাচক। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পূর্ব লক্ষণ। বাংলাদেশ ও বিশে^র অন্যান্য দেশের মানুষ বাংলাদেশে এমন একটা পরিবেশ-পরিস্থিতি আশা করে। দুই দলের কর্মসূচি একই দিনে থাকলে পরিবেশ-পরিস্থিতি ঘোলাটে হওয়ার আশঙ্কা করে দেশের মানুষ।
রাজনীতির মাঠ গরম থাকলে সুবিধা-অসুবিধা দুটোই আছে। সুবিধা হলো-দেশে একটি নির্বাচনি হাওয়া বইছে এই ভেবে মানুষ আনন্দ পায়। অসুবিধা হলো-কর্মসূচির দিন রাস্তা-ঘাট, বাস-ট্রাক বন্ধ থাকার কারণে মানুষের চলাফেরায় সমস্যা হয়। সংঘাত-সংঘর্ষের আশঙ্কায় মানুষের মনে আতঙ্ক বিরাজ করে।
তবে দেশের সাধারণ মানুষ সবসময় চায় দেশের রাজনীতি সচল থাকুক। রাজনীতির মাঠ চাঙ্গা থাকুক। পজিটিভ রাজনীতি সাধারণ মানুষ সবসময় পছন্দ করে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি দেশের কথা চিন্তা করে পজিটিভ রাজনীতি করে তা হলে দেশ, জনগণ ও রাজনৈতিক দল সবার জন্যই মঙ্গল। একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে পজিটিভ রাজনীতি চর্চাই বেশি হয়। সাধারণ মানুষ চায় দেশের স্থিতিশীলতা। একমাত্র পজিটিভ রাজনীতি আনতে পারে এই স্থিতিশীলতা।
বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম উন্নয়নশীল দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন স্মার্ট বাংলাদেশ। ধীরে ধীরে সেদিকেই যাচ্ছে সুজলা-সুফলা-শস্যশ্যামলা সোনার বাংলা। ডিজিটাল বাংলাদেশের মানুষ এখন অধিকাংশ কাজই করছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। ভূমি সংস্কার থেকে শুরু করে মামলা পরিচালনা-সবই চলছে ডিজিটালি। বলা যায়, ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি-সংক্রান্ত সব কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় এই ক্ষেত্রে বিল্পব এসেছে।
বৈপ্লবিক এই পরিবর্তনের সুফল ভোগ করছে বাংলাদেশের অতিসাধারণ কৃষক থেকে শুরু করে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। ঘরে বসেই জমির খাজনা পরিশোধ, জমা-খারিজসহ সব করছে। অনলাইন সুবিধার কারণে আফ্রিকা কানাডা আমেরিকা লন্ডনসহ পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে বসে জমির খাজনা দেওয়া যায়। খতিয়ানাদির খোঁজখবর নেওয়া যায়। আওয়ামী লীগ সরকারের ভূমি ব্যবস্থাপনা সংস্কারের এই উদ্যোগটি সত্যিই প্রশংসনীয়। একটি কল্যাণরাষ্ট্রে মানুষের জন্য এমন সব আধুনিক ব্যবস্থাই থাকে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন আধুনিক মানুষ। তিনি ডিজিটাল প্রযুক্তিবান্ধব। নিজে ডিজিটাল বলেই হয়তো বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছেন ডিজিটালের দিকে। ধীরে ধীরে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছেন। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা মাঝেমধ্যে তার চিন্তা-চেতনায় কার্যক্রমে বাধা দানের চেষ্টা করে। পারে না।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত এমন উত্তপ্ত থাকার আশঙ্কা করছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা।
প্রতিদিনই কোনো না কোনো দলের সভা-সমাবেশ হচ্ছে। দেশের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হলেও তারা নীরবে সহ্য করছে। আরও কিছু দিন সহ্য করতে হবে। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত দেশের মানুষকে ধৈর্য ধরতে হবে।
দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনা-পর্যালোচনা করা হচ্ছে। বিরোধী দলগুলো সরকারের সমালোচনায় ব্যস্ত। সভা-সমাবেশগুলোতে ঘটছে এর প্রতিফলন। টিভি চ্যানেলগুলোর টকশোতে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠছে। সরকারের ব্যাপক উন্নয়নকে মøান করার চেষ্টা করছে কোনো কোনো মহল।
উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে শান্ত রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বড় বড় জনসভা কিংবা অবস্থান কর্মসূচিতে বিচ্ছিন্ন কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। মানুষ তাতে অতটা উদ্বিগ্ন নয়। বরং দীর্ঘদিন পর রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হওয়ায় তারা আনন্দিত। তবে স্থিতিশীল রাজনীতি ও আন্দোলনের পক্ষে দেশের সাধারণ মানুষ। তারা চায় চারটা ডালভাত খেয়ে সুখে-শান্তিতে জীবন কাটাতে। যে দলই দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় সে দলকেই প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ।
বাংলাদেশের মানুষের মনোজগতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। বলা যায় মানুষ এখন শান্তির পক্ষে। দেশের মানুষ কোনোরকম সহিংসতা, মারামারি-কাটাকাটি পছন্দ করে না। আওয়ামী লীগ সরকার বিশেষ করে সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা বিগত বছরগুলোর শাসনকালে সাধারণ মানুষের চাওয়া-পাওয়ার কথা মাথায় রেখে উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। মানুষ দৃশ্যমান এই কাজগুলো নিয়ে ভাবছে। উন্নয়নমূলক কাজের ধারাবাহিকতা নিয়েও তারা চিন্তা করছে। কোনো কোনো প্রকল্পের কাজ ২০২৬ সালে, কোনোটা ২০২৭ সালে শেষ হবে।
মানুষের দুশ্চিন্তার জায়গাটা হলো-সরকার পরিবর্তন হলে সাধারণ নিয়মে সব প্রকল্পই চলার কথা কিন্তু বাংলাদেশে চলে না। নতুন সরকার এসে সব বন্ধ করে দিয়ে আবার নতুন করে শুরু  করে। গচ্ছা যায় সাধারণ মানুষের কোটি কোটি টাকা। বিষয়টা দেশের মানুষকে ভাবায়।
সরকারের মেয়াদ শেষে উন্নয়ন কার্যক্রম চলবে স্বাভাবিক গতিতে। ইটাই সত্য সারা পৃথিবীর নিয়ম। বাংলাদেশে অনেক সময় এই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটে। মাঝখান থেকে দুর্ভোগে পড়ে মানুষ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাচ্ছেন মানুষের দুর্ভোগ ঘুচাতে। চলমান আন্দোলন-সংগ্রাম মানুষের দুর্ভোগ বাড়াবে বই কমাবে না।
নির্বাচন নির্বাচনি আইনবিধি ও নিয়ম অনুযায়ী হবে। নির্বাচনের পুরো দায়দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কোন ফরমুলায় কার তত্ত্বাবধানে নির্বাচন হবে ঠিক করবে সরকার। সংবিধানের আলোকে, সাংবিধানিক বিধি-বিধান অনুযায়ী নির্বাচন হওয়াটাই আইনসম্মত।
বিরোধী দলগুলো সভা-সমাবেশে বলছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। সরকার বলছে বর্তমান সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো অস্তিত্ব নেই। অতএব সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।
বাংলাদেশের এই সমস্যার সমাধানে দেশি-বিদেশি নানা মহল ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে। কোন প্রক্রিয়ার বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে তা নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করছে।  আশা করছি, অবশ্যই একটা পথ বের হবে।
বাংলাদেশের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’ এই স্লোগানকে বুকে ধারণ করে মানুষ প্রহর গুনছে।
রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা যদি মানুষের কথা চিন্তা করে একটা সমাধানের পথ খুঁজে বের করেন তা হলেই মানুষ স্বস্তি-শান্তি পাবে। রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের প্রতি বিশ্বাসের স্থানটা আরও সুদৃঢ় হবে। যে করেই হোক বাংলাদেশের মানুষকে একটা অবাধ সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দিতে হবে। শান্তি-স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে হবে মানুষের মনে।
শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla