1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৯:২২ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন ও শরবত বিতরণ করেছে ২১নং জামালখান ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি জুবায়ের আলম আশিক দেশে ২০ হাজার শিশু ডায়াবেটিসে ভুগছে মনজুর আলম প্রতিষ্ঠিত নতুন ৩ টি জামে মসজিদ জুম্মার নামাজ আদায় এর মাধ্যমে শুভ উদ্বোধন তরুণ প্রজন্মকে কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে আসতে হবে –  সিমিন হোসেন পতেঙ্গা চরপাড়ায় অবৈধ অনুমোদহীন আইসক্রীম ফ্যাক্টরীঃ প্লাস্টিক ফ্যাক্টরী লোকেরাই আইসক্রীম ফ্যাক্টরীরও কর্মী গনচিনি, চ্যাকারাইন, লোংরা পানি ও বিষক্ত ক্যামিক্যাল ব্যবহার সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখীতে ‘সবুজ চুড়ি আন্দোলনে ২৫শ তালগাছ রোপন সাংবাদিক ওমর ফারুকের ইন্তেকাল ২৯ শে এপ্রিল নিহতদের স্মরণে সাহিত্য পাঠচক্রের স্মরণ সভা পথচারীদের মাঝে শরবত, পানি ও গামছা বিতরণ করলেন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর  হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর পথচারীদের মধ্যে শান্তির শরবত বিতরণ করলেন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৪ বছর পূর্ণ হলো

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ শনিবার, ২৪ জুন, ২০২৩
  • ১৬৩ বার পড়া হয়েছে

মো. আবদুর রহিম

আমি বাঙালি, বাংলা আমার ভাষা, বাংলার মাটি আমার মা। আমি পাকিস্তান শাসন আমলে জন্মেছিলাম। আমার দেশটি ছিল পাকিস্তানীদের কড়ায়ত্বে। আমি ছিলাম পরাধীন। আমার মায়ের ভাষা কেড়ে নিতে চায় পাকিস্তানী স্বৈরশাসকচক্র আমার মায়ের ভাষার অধিকার আদায়ে আওয়ামী লীগের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। ১৯৫২ সালে শেখ মুজিবুর রহমান সহ বহুনেতা ও দল মায়ের ভাষার জন্য লড়াই করেছে, রক্ত দিয়েছে, জীবন উৎসর্গ করেছে। সালাম, জব্বার, রফিক, বরকতরা যখন রাজপথে পাকিস্তানী বর্বরদের হাতে প্রাণ দেয় তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাগার থেকে অনশন করে মায়ের ভাষার আন্দোলনে ভূমিকা রাখেন। পাকিস্তানী শাসকরা বাঙালির অধিকার হরণ করে, তারা সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী, সহ বাহিনী ও সরকারী চাকুরী ক্ষেত্রে বাঙালিদের বঞ্চিত করে। তারা তৎকালীন পূর্ববাংলা, তথা পূর্ব পাকিস্তানকে ঔপনিবেশে পরিণত করে। শোষণ বঞ্চনা আর নির্যাতন চালায় বাঙালির ওপর। বাঙালির অধিকার ও স্বাধিকারের দাবীতে সোচ্চার হয় আওয়ামী লীগ। বাঙালির মুক্তির অঙ্গিকার নিয়ে গঠিত আওয়ামী লীগ যাত্রা করে ২৩ জুন ১৯৪৯ থেকে। নানা ভাঙ্গন, চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আওয়াী লীগ পথ চলে অবিরাম। বন্ধুর পথ পরিক্রমায় ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বাংলার জনগণের হৃদয় জয় করতে সক্ষম হয়। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে দমাতে চলে নানামুখি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত। সেই জন্ম থেকেই আওয়ামী লীগের ভেতরে থাকা ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র ছিল। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবদুল হামিদ খান ভাসানী ১৯৫৭ সালে আওয়ামী লীগ ত্যাগ করে ন্যাশনাল আওয়ামী লীগ গঠন করে। রাজনীতির চাল ও পাকিস্তানীদের দাবার চালে আওয়ামী লীগে থাকা বহু নেতা বিপদে পা বাড়ায়। ১৯৬৩ সালে বৈরুতে হোসেন শহীদ সোহরাওয়াদী নির্জন হোটেলে মারা যাওয়ার পর অভিভাবক হারায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৬৪ সালে বঙ্গবন্ধুর একক নেতৃত্বে পথ চলা শুরু আওয়ামী লীগের। ১৯৬৫ সালের পাক ভারত যুদ্ধের অভিজ্ঞতাও ১৯৬৪ সালের মৌলিক গণতন্ত্রের নামে ষড়যন্ত্রের শিক্ষা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগে একক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হন। তিনি বাঙালির চির মুক্তির রূপরেখা হিসাবে ‘বাঙালির বাঁচার দাবী ৬ দফা’ প্রণয়ন করে উত্থাপন করেন। ৬ দফার পক্ষে জনমত গঠনের প্রতিটি পদে পদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওপর গ্রেফতার ও নির্যাতন চলতে থাকে। ১৯৬৮ সালে পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মারার লক্ষে ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র’ মামলা দায়ের করে। এই মামলা থেকে শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্ত করতে বাঙালিরা ঐক্যবদ্ধ হয়। ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি সংগঠিত হয় গণঅভ্যুত্থান। এ অভ্যুত্থানে আইয়ুব খানের পতন হয়। শেখ মুজিবুর রহমান সহ সকল আসামীরা নিঃশর্ত মুক্তি লাভ করে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত হন। আইয়ুব খানের পর পাকিস্তানের ক্ষমতা দখল করে জেনারেল ইয়াহিয়া খান। তাঁর সময়েই ১৯৭০ এ দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের রায়ের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্বাচিত একক নেতা হিসাবে আবিভূত হন। ১৯৭১ এ যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে অর্থাৎ তার জীবনের ৪৬৮২ দিনের কারাজীবনের অবসানের পর স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার গৌরবের মালা গলায় নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সামনে এগোতে থাকেন। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান একটি জাতি রাষ্ট্র বাংলাদেশের স্থপতি ও বিশ^নেতার আসনে আসীন হন। মোট কথা হলো ১৯৪৯ সালে গঠিত আওয়ামী লীগ ১৯৭১-এ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা রাজনৈতিক দল। ১৯৭২ থেকে ১৪ আগস্ট ১৯৭৫ পর্যন্ত রাষ্ট্রপরিচালনার সুযোগ পান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ এর কাল রাতে সপরিবারে ঘাতকের বুলেটে শাহাদাত বরণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশে নেমে আশা কালো মেঘে ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত ঢেকে রাখে বাংলাকে। এ সময় আওয়ামী লীগের ওপর নেমে আসে অত্যাচার, নির্যাতন। এ সময়ে প্রাণ যায় লাখ লাখ নেতাকর্মীর। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল ছিল আওয়ামী লীগের শাসন আমল। এ সময় বাংলাদেশ ঘুরে দাড়ায়। ২০০১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের ওপর আবারো নেমে আসে অন্ধকার। ২০০১ থেকে ২০০৬ এ আওয়ামী লীগের ২৩ হাজার নেতাকর্মীর প্রাণ যায়। খুনির হাতে খুন হন জনপ্রিয় মন্ত্রী, সাংসদ, ও দলীয় নেতা। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে হত্যা করতে চায় বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে। সেইদিন তিনি প্রাণে বাঁচলেও ২৪টি তাজা প্রাণ ঝড়ে যায়। আহত ও পঙ্গু হয় হাজার হাজার নেতাকর্মী। আওয়ামী লীগের চলার পথ কখনো মসৃন ছিল না। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ উভয় সময়েই আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রের কবলে পড়ে ক্ষত-বিক্ষত হয়। ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল। এ সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু কন্যা, দেশরতœ শেখ হাসিনার হাতে আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ নিরাপদ পথ চলার সুযোগ পায়। এ সময়েও ষড়যন্ত্র থেমে নেই। দেশ-বিদেশী ষড়যন্ত্র, যুদ্ধাপরাধী, খুনিদের ষড়যন্ত্র, জঙ্গী-সন্ত্রাসীদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হয় অবিরাম। ৭৪ বছর পথ চলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলছে ৪২ বছর। এ সময়ে ২১ বার বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যার চেস্টা হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত ধরে বাংলাদেশ আজ বিশে^র বিস্ময়, উন্নয়নে রোল মডেল। বাংলাদেশ পরাশক্তির নিকট এক আতংক। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আজ বিশ^নেতা। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। ২০৪১ সালে উন্নত বিশে^র একটি দেশ হওয়ার লক্ষে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে বাংলাদেশের বয়স ৫২ বছর পূর্ণ হলো। এদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ৭৪ বছর পূর্ণ করলো। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার ৭৪ বছরের এ দিনে অর্থাৎ ১৯৪৯ থেকে ২৩ জুন ২০২৩ পর্যন্ত সময়ে আওয়ামী লীগে দায়িত্ব পালন করে যারা পরকালে চলে গেছেন Ñ তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আদর্শ নেতা। তাঁর আদর্শের দল আওয়ামী লীগ। এ দলের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রক্ত ও আদর্শের উত্তরাধিকার জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার পরিচালিত হচ্ছে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এদেশের সরলপ্রাণ দেশপ্রেমিক জনতা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করবে এ প্রত্যাশাই আমাদের। প্রজন্ম আসুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পতাকাতলে। নিজেকে গড়ে তুলুন একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক হিসেবে Ñ নেতৃত্ব দিন আওয়ামী লীগ।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla