1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
চট্টগ্রামে বর্ণিল আয়োজনে বন্দর দিবস উদযাপন তৎক্ষালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে যত মানুষ মরার কথা ছিলো, তত মানুষ মরে নাই স্মরণ সভায় ওয়াসিকা আবারও আসছে তিনদিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ চট্টগ্রামে কাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক তাপদাহে পুড়ছে দেশ, ভাঙল ৭৬ বছরের রেকর্ড রাজধানীর সৌদি দূতাবাসে আগুন উত্তর চট্টগ্রামে এই প্রথম ফ্যাকো অপারেশন শুরু করছে চট্টগ্রাম গ্রামীণ চক্ষু হাসপাতাল সীতাকুণ্ডে বৃষ্টির জন্য ইস্তাহার নামাজ আদায় শনিবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মধ্যে ভোটের যুদ্ধ

ড্রেস কোড পরিবর্তনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে দারুণ স্বস্তিতে চট্টগ্রামের আইনজীবীরা

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ রবিবার, ৪ জুন, ২০২৩
  • ১৭৫ বার পড়া হয়েছে

এডভোকেট নাছির উদ্দিন
দেশব্যাপী চলমান তীব্র তাপ প্রবাহের মধ্যে গত ১৪ মে অধস্তন আদালতের বিচারক ও আইনজীবীদের কালো কোর্ট ও গাউন পরিধান করার আবশ্যকতা নেই বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট প্রশাসন। এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর পাল্টে যায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম সহ দেশের অধস্তন আদালতের চিত্র। ১জুন বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম আদালতে দেখা গেছে কালো কোর্ট-গাউনের পরিবর্তে আইনজীবীরা সাদা ফুল শার্ট, কালো টাই, সাদা শাড়ি বা সালোয়ার কামিজ ও সাদা নেকব্যাড পরিধান করে নিজেদের মামলার শুনানীতে ব্যস্ত সময় পার করছে। তীব্র গরমে হাইকোর্ট প্রশাসনের এ বিজ্ঞপ্তি চট্টগ্রাম আদালতে আইনজীবীদের মাঝে এনে দিয়েছে স্বস্তি।
জানা গছে,ে গত ১১ মে দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে শফিউল আলম প্রকাশ আলাউদ্দিন নামে এক আইনজীবী হিট স্ট্রোকে মৃত্যূবরণ করলে দেশব্যাপী ড্রেস কোর্টের বিষয়টি আলোচনায় আসে। দেশব্যাপী চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে অধস্তন আদালতের বিচারক ও আইনজীবীদের কালো কোর্ট ও গাউন পরিধান করার আবশ্যকতা নেই বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রীম কোর্ট প্রশাসন। গত ১৪ মে শনিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নির্দেশক্রমে সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মোঃ গোলাম রব্বানীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সুপ্রীম কোর্ট প্রশাসনের সাময়িক এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে চট্টগ্রাম জজ আদালতের সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট হুসাইন মুহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন জানান, আইনজীবীদের ড্রেস কোডের বিষয়টি ঐতিহ্যগত হলেও তীব্র গরমে কালো কোর্ট ও গাউন পরে মামলার শুনানি করতে অনেক কষ্ট হয়।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে প্রচলিত আইনজীবীদের পোশাকটি মূলত ব্রিটিশ ভাবধারা ও আবহাওয়া বিবেচনায় নির্ধারণ করা হয়েছিল। কালের বিবতর্নে আবহাওয়া ও জলবায়ূর ব্যাপক পরিবর্তনে বাংলাদেশ এখন গ্রীষ্মপ্রধান দেশ হিসেবে পরিণত হয়েছে। কিন্তু আইনজীবীদের কল্যাণ ও পেশাগত দায়িত্ব পালনের সুবিবেচনায় পোশাকের কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। ফলে দেশের হাজার হাজার আইনজীবী প্রতিবছরের মার্চ থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত উচ্চমাত্রার গরম আবহাওয়ার কারণে নিদারুণ, অসহনীয়, অবর্ণনীয়, শারীরিক ও মানসিক কষ্ট সহ্য করে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে লাখো লাখো বিচারপ্রার্থীকে আইনি সেবা দিয়ে আসছেন। তবুও বলতে হয়, কোর্ট গাউনেই রয়েছে আইনজীবীদের ভিন্ন পরিচিতি, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। তীব্র গরমে কোট ও গাউনের পরিবর্তন নয় বরং কোর্টগুলো শীঘ্রই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণে আনার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। সিনিয়র আইনজীবী মোঃ আবুল হাসান সাহাব উদ্দিন জানান, প্রতিবছর তীব্র গরমের সময় যেন সুপ্রীম কোর্ট প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে এ কামনা করছি। দেশব্যাপী চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে অধস্তন আদালতের বিচারক ও আইনজীবীদের কালো কোর্ট এবং গাউন পরিধান করার আবশ্যকতা নেই বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রীম কোর্ট প্রশাসন। দেশব্যাপী চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দেশের বিভিন্ন আইনজীবী সমিতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের আলোচনাক্রমে এ সিদ্ধান্ত এসেছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, দেশের সব অধস্তন দেওয়ানী ও ফৌজদারি আদালত, ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও আইনজীবীরা ক্ষেত্রমতো সাদা ফুল শার্ট বা সাদা শাড়ি বা সালোয়ার কামিজ ও সাদা নেক ব্যাড বা কালো টাই পরিধান করতে পারবে। এক্ষেত্রে কালো কোর্ট ও গাউন পরিধান করার আবশ্যকতা নেই। এ নির্দেশনা ১৪ মে থেকে পরবর্তী নির্দেশনা প্রদান না করা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। তবে উচ্চ আদালতের আইনজীবী ও বিচারকদের ড্রেস কোড অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানানো হয়। গত ১১ মে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি গরমে আইনজীবীদের ড্রেস কোড পরিবর্তনে প্রধান বিচারপতির কাছে অনুরোধ জানান। উচ্চ তাপমাত্রার প্রেক্ষাপটে আইনজীবী-বিচারকদের জন্য গ্রীষ্ম ও শীতকালীন ভিন্ন ভিন্ন ড্রেস কোড নির্ধারণের জন্য প্রধান বিচারপতি বরাবর আবেদন করা হয়। আইনজীবীদের আদালতে পরিধানের জন্য সিভিল রুলস এÐ অর্ডারস, ক্রিমিনাল রুলস এÐ অর্ডারস, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ রুলস ১৯৭৩ ও আপিল বিভাগের রুলস ১৯৮৮-তে শীত ও গ্রীষ্মকালে একই ধরনের পোশাক পরিধানের কথা বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ.এস.এম বজলুর রশীদ মিন্টো জানান, বাংলাদেশ মূলত একটি গ্রীষ্মপ্রধান দেশ। বছরের প্রায় ৮ মাস দেশে উচ্চ তাপমাত্রা থাকে। কোর্ট-গাউন পরার আবশ্যকতা উঠিয়ে দেওয়া কিংবা কিছু দিনের জন্য শিতিল করা আইনাঙ্গনের একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। গত ১৪ মে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নির্দেশক্রমে সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মোঃ গোলাম রব্বানীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত এসেছে। আমরা আইনজীবীরা আবেদনে উল্ল্যেখ করেছিলাম, অতিরিক্ত গরমে নিয়ম অনুযায়ী, কালো কোর্ট-গাউন, কলার, ব্যান্ড বা টাই পরিধানের কারণে প্রতিবছর অগনিত আইনজীবী হিটস্ট্রোকে মৃত্যূর কোলে ঢলে পড়ছেন। অসুস্থ হয়ে পড়েন অসংখ্য আইনজীবী। আর বয়স্ক আইনজীবীরা আদালতে যেতে পারেন না। ফলে অনেক বয়স্ক আইনজীবী পেশাগত মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আমরা আইনজীবীরা অবশ্যই প্রশাসনের এ সিদ্ধান্ত শ্রদ্ধাভরে পালন করব। তবে একথা সত্য যে, কোর্ট গাউনেই রয়েছে আইনজীবীদের ভিন্ন পরিচিতি, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। শুধুমাত্র গরমের কারণে এ ঐতিহ্যকে অবহেলা করা মোটেই কাম্য নয়। তীব্র গরমে কোটের বিষয়ে শিতিলতা থাকলেও গাউনটি খুবই প্রয়োজন ছিল। কারণ আদালতে আগত বিচারপ্রার্থী কিংবা সাধারণ মানুষের মধ্যে পরিহীত গাউনটিই কেবল একজন আইনজীবীকে ভিন্ন ভাবে পরিচিত করে তোলে। তীব্র গরমে কোট ও গাউনের পরিবর্তন নয় বরং কোর্টগুলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রণে আনার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla