1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৮:১০ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
২৯ শে এপ্রিল নিহতদের স্মরণে সাহিত্য পাঠচক্রের স্মরণ সভা পথচারীদের মাঝে শরবত, পানি ও গামছা বিতরণ করলেন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর  হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর পথচারীদের মধ্যে শান্তির শরবত বিতরণ করলেন চট্টগ্রামে বর্ণিল আয়োজনে বন্দর দিবস উদযাপন তৎক্ষালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে যত মানুষ মরার কথা ছিলো, তত মানুষ মরে নাই স্মরণ সভায় ওয়াসিকা আবারও আসছে তিনদিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ চট্টগ্রামে কাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক তাপদাহে পুড়ছে দেশ, ভাঙল ৭৬ বছরের রেকর্ড রাজধানীর সৌদি দূতাবাসে আগুন উত্তর চট্টগ্রামে এই প্রথম ফ্যাকো অপারেশন শুরু করছে চট্টগ্রাম গ্রামীণ চক্ষু হাসপাতাল

সাহস, প্রতিভা ও দেশপ্রেমের প্রতীক বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী ইনামুল হক দানু

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১০৮ বার পড়া হয়েছে

মো. আবদুর রহিম

পাকিস্তানের শাসন, শোষণ, জুলুম, নির্যাতন, বৈষম্য ও বাঙালি নিপীড়নের কারণে বাঙালির মধ্যে সৃষ্টি হয় বিদ্রোহ, জন্ম নেয়, জাতীয়তাবাদী চেতনা, বোধোদয় হয় অধিকার, স্বাধিকার ও স্বাধীনতার। বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ, দর্শন ও বাঙালির মুক্তির যে সংগ্রাম সেই সংগ্রামে যুক্ত হয় বাংলার অগুনন দ্রোহ ও মননের মানুষ। বাংলার গ্রাম, শহর, বন্দর সর্বত্রই বঙ্গবন্ধুর আহবানে ভাষার লড়াই, শিক্ষার অধিকার, বাঁচার দাবী ৬ দফার সংগ্রাম, বঙ্গবন্ধুর নামে দায়ের হওয়া আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ এর নির্বাচন, অসহযোগ আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ঘরে ঘরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের দেশপ্রেমিক, সাহসী বীরযোদ্ধা ও দেশপ্রেমিক, দেশপ্রেমিক জন্ম নেয়। সাহস, প্রতিভা ও দেশপ্রেমের প্রতীক বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী ইনামুল হক দানু সেই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেন। কাজী ইনামুল দানু সাহসী এক বীর, তিনি চট্টগ্রামের মাটিতে বীরত্বের পরীক্ষায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা এক নায়ক। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সবশেষ ২০০৬ সালে ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট এ অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর দেশপ্রেমিক বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী ইনামুল হক দানু মৃত্যুবরণের পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সম্মেলন ছাড়াই কেন্দ্রীয় কমিটির ক্ষমতাবলে ২০১৩ সালের ১৩ নভেম্বর আলহাজ¦ এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে সভাপতি, সাবেক ছাত্রনেতা আলহাজ¦ আ জ ম নাছির উদ্দীনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে। ঐ ২০১৩ সালের মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি আজো বহাল রয়েছে। যাক সে কথা বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী ইনামুল হক দানু বিরল প্রতিভাধর এক সাহসী রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। চট্টগ্রাম বিজয় মেলা পরিষদের পর্যায়ক্রমে কো-চেয়ারম্যান ও মহাসচিব ছিলেন। তিনি চট্টগ্রামে স্বাধীনতা মেলা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ছিলেন। বীর এ নেতা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রদত্ত মুক্তিযুদ্ধ পদকে ভূষিত হন। বিরল প্রতিভাধর এ রাজনীতিক ব্যক্তিজীবনে সাদাসিধে জীবন-যাপন করতেন অহমিকা, হিংস্যা, পরশ্রীকাতরতা তার মধ্যে ছিল না। লোভ-প্রলোভন তাকে স্পর্শ করেনি। বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী সামসুন্নাহার বেগম বর্তমানে আছেন। তিনি চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার এলাকায় জয়নগরে তিনপুত্র সন্তান ও নাতি-নাতনি নিয়ে বসবাস করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিবারের ১৮ জন সদস্য সহ শহীদ হওয়ার পর এবং ৩ নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় চারনেতাকে হত্যার পর তৎকালীন খুনী ও সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে প্রতিরোধ যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। কাজী ইনামুল হক দানু বিদ্রোহের কারণে তৎকালীন সামরিক সরকার কাজী ইনামুল হক দানুকে গ্রেফতার করে তার উপর মধ্যযুগীয় বর্বর কায়দায় অমানবিক ও নির্মম নির্যাতন করে। সেই নির্যাতনের প্রভাব তাকে আমৃত্যু ভোগ করতে হয়। পাকিস্তানীদের শাসন আমলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত অগ্নিঝরা আন্দোলনের অগ্রসৈনিক বীর নেতা কাজী ইনামুল হক দানু ছাত্রনেতা থাকাকালীন ১৯৭১ সালে সশরীরে প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি বিএলএফ এর গ্রæপ কমান্ডার ছিলেন। কাজী ইনামুল হক দানুকে পাকিস্তানী শাসক, বাংলাদেশের সামরিক শাসক কেউই দমাতে পারেনি। তার অবদান এতটাই বীরত্বের যে, তার তুলনা কেবল তিনিই। কোনো অশুভ চক্রের রক্তচক্ষু, ভয়ভীতি, হুমকি, ধমকি, জেল-জুলুম, নির্যাতন প্রলোভন কোনো কিছুই তাঁকে দমাতে পারেনি। তিনি অসীম দেশপ্রেম ধারণ করে সেই ১৯৬২ শিক্ষার অধিকার আন্দোলন থেকে রাজনীতিতে হাতে খড়ি। ১৯৬৬ সালে কাজী ইনামুল হক দানু চট্টগ্রাম নগরীর প্রবর্তক বিদ্যাপীঠ থেকে মেট্রিক পাস করে বর্তমান সরকারি সিটি কলেজে ভর্তি হন। এ কলেজই তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে অবদান রাখেন। স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ করে তিনি ১৯৭২ সালে অনুষ্ঠিত বিএ পরীক্ষায় সিটি কলেজ থেকে অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন। পরে তিনি চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে ফাইন আর্টসে ভর্তি হন। সিটি কলেজে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দেয়ার সময় তিনি সংগঠনের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন। মরহুম কাজী ইনামুল হক দানু’র ডায়েরির পাতায় লিখেন, ‘আমি উপলব্ধি করতে পারলাম যে, আইয়ুব মোনায়েম চির জীবনের জন্য জাতিকে শেষ করে দেওয়ার জন্য শেখ মুজিবকে নিশানা করেছে। সে সময় আমি ঢাকার আর্ট কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়ায় ছিলাম। আমার সিনিয়র বন্ধু কবি শাহনুর খান ও তার কয়েকজন বন্ধুর সাথে আমার পরিচয় হয়। তারা (বর্তমান) ১৫নং ধানমন্ডির পেছনে একটি বাড়িতে মাঝে মাঝে আড্ডায় বসতেন। তারা যোগ-বিয়োগ নামক একটি ক্লাবের সদস্য ছিল। আমি সেই ক্লাবের সদস্য হতে চাইলে আমাকে বলল যে, মোনায়েম খান (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর) চট্টগ্রাম যাবে ১৯৬৮ সালের ১৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ উদ্বোধন করতে। সে সেখান থেকে চকবাজার হয়ে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজে যাবে একটি মসজিদ উদ্বোধন করতে। পথে তাকে নাযেহাল করতে হবে। তাহলেই ‘যোগ-বিয়োগ’ ক্লাবের সদস্য হতে পারবে। আমি এ কাজ করতে পারব বলে চট্টগ্রাম চলে আসলাম। কিন্তু তেমন উৎসাহী এবং সাহসী কাউকে সঙ্গে না পেয়ে আমি নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়ে অলি খাঁ মসজিদের মোড়ে গর্ভনয়ের গাড়ী থামিয়ে তার গালে আমার পায়ের জুতা মেরে দিই এবং সাথে সাথে আমাকে গ্রেফতার করা হয়। আমি তখন ‘স্বাধীন পূর্ব বাংলা’ শ্লোগান দিতে থাকলে, বাঙালি পুলিশরা আমার মুখ চেপে ধরে বলে- ওরা শুনতে পেলে ফাঁসিতে লটকাবে। তারপর থেকে আমি ১৯৬৯ এর ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কারাগারে ছিলাম। সাথে ছিলেন বিপ্লবী পুর্নেন্দু দস্তিদার, বিমল সেন, কালিপদ চক্রবর্তী, আহমেদুর রহমান আজমী, এম.এ. মান্নান, এস এম ইউসুফ, মৌলভী সৈয়দ আহমদ, সাবের আহমদ আজগরী, আবদুল্লাহ আল নোমান, কমরেড শাহ আলম, ওসমান গণি খান সহ আরো অনেকে। কয়েকদিনের জন্য মহিউদ্দিন চৌধুরীকেও পাই।’ অসীম সাহসী এই নেতা আজ ইতিহাসের অংশ। গর্ভণর মোনেম খানের গালে জুতা মারার মত বিরল ইতিহাস যিনিই গড়েছিলেন তার মত নেতা আজ আর তেমন পাওয়া যাবে কি ? তিনি কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে আবার রাজনীতিতে সক্রিয় হন। কাজী ইনামুল হক দানু’র পিতা কাজী আবদুল গফুর সেই ব্রিটিশ শাসন আমলে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন। তিনি বিএ পাস করার পর কোলকাতায় অবিভক্ত ভারতে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়াতে চাকুরী শুরু করেন। কাজী ইনামুল হক দানু ১৯৪৭ সালের ১৪ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কোলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিত্রালয় বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার দেবীদার উপজেলায়। দেশ-বিভাগের পর কাজী ইনামুল হক দানুর পিতা পূর্ব পাকিস্তানের পরিবার নিয়ে চলে আসেন এবং পাকিস্তানের স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান চট্টগ্রাম শাখার গোড়াপত্তনে কাজী আবদুল গফুর অন্যতম ভূমিকায় ছিলেন। পরে বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রামের ম্যানেজার হিসাবে চাকুরী জীবনে অবসর গ্রহণ করেন। কাজী ইনামুল হক দানুর পিতা কাজী আবদুল গফুর ১৯৮০ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তার মা আছিয়া খাতুন একজন গৃহিনী। কাজী ইনামুল হক দানু তিন পুত্র সন্তানের জনক। বর্তমানে তিন ছেলেই সমাজে প্রতিষ্ঠিত। কাজী ইনামুল হক দানু’র পিতা চট্টগ্রামে ব্যাংক কর্মকর্তা থাকাকালীন চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার বর্তমান ১৬নং চকবাজার ওয়ার্ডের জয়নগরে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করেন। এরই সূত্রে কাজী ইনামুল হক দানু চট্টগ্রাম শহরে বেড়ে ওঠেন, পড়ালেখায় মনোনিবেশ সহ রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। সেই ৬ দফার প্রচার থেকে শুরু করে তার হাতে লেখা পোস্টার ছিল অসাধারণ। কাজী ইনামুল হক দানু ৬ দফার আন্দোলনে তৎকালীন ছাত্রনেতা এসএম ইউসুফ, মৌলভী সৈয়দ আহমদ, কবি শাহনুর খান, গাজী গোফরান সহ ছাত্র নেতাদের সাথে কাজ করেন। সেই দুঃসহ নির্যাতনের সময় গোয়েন্দা ও পুলিশদের ফাঁকি দিয়ে মাদারবাড়ী নিবাসী মরহুম জননেতা সিরাজুল হক মিয়ার বাসভবনে দলীয় নীতি নির্ধারনী সভায় যোগদান করতেন। ১৯৭১ সালের ১ মার্চ পাকিস্তানের সামরিক প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ৩ মার্চের জাতীয় সংসদ অধিবেশন বন্ধ ঘোষণা করলে বাংলার ছাত্র যুব, কৃষক, শ্রমিক সহ সর্বস্তরের নানা শ্রেণি পেশার মানুষ বিক্ষুদ্ধ হয়ে গর্জে উঠে। ৩ মার্চের পর কাজী ইনামুল হক দানু আন্দোলনের পাশাপাশি গোপনে সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে হাতে ককটেল বোমা তৈরী করার কাজ শুরু করেন এবং বন্দুক-পিস্তল সংগ্রহ করে ছাত্র-যুবকদের সামরিক প্রশিক্ষণ অনুশীলনও শুরু করেন। অসহযোগ আন্দোলন চলাকালো পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী জাতির পিতাকে গ্রেফতার করার পূর্বে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন স্বাধীনতা ঘোষণার প্রচার ও প্রতিরোধ যুদ্ধ চট্টগ্রামে শুরু হয়। পাকিস্তানী বাহিনী চট্টগ্রাম দখলে নিলে কাজী ইনামুল হক দানু সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতের আগরতলা চলে যান – সেখানে আওয়ামী লীগ নেতা জহুর আহমদ চৌধুরী, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম চৌধুরী, এম.আর. সিদ্দিকী ও এম.এ. মান্নানের সাথে দেখা হওয়ার পর বিএলএফ এর অন্যতম নেতা শেখ ফজলুল হক মনির নির্দেশে সৈয়দ রেজা ও আবদুল কুদ্দুস মাখন সহ ২৮ জনের একটি গ্রæপের সাথে সশস্ত্র ট্রেনিং গ্রহণের জন্য ভারতের উত্তর প্রদেশের চাক্রাতা জেলার অন্তুয়া ক্যাম্পে বিএলএফ (মুজিব বাহিনী) সদস্য হিসেবে গেরিলা ট্রেনিং গ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ শেষে আগরতলার উদরপুর মহকুমার তেপানিয়া ট্রানজিট ক্যাম্পে কয়েকদিন অবস্থান শেষে ১০ জনের একটি গ্রæপ নিয়ে আগস্টে ছাগলনাইয়ার শ্রীনগর সীমান্ত দিয়ে মীরেরসরাই সীতাকুন্ড হয়ে চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশ করেন। এই গ্রæপের গ্রæপ কমান্ডার ছিলেন ডাক্তার মাহবুব। তারা চট্টগ্রাম এসে মৌলভী সৈয়দের আশ্রয় গ্রহণ করেন। শহরে যুদ্ধ চলাকালে গ্রæপ কমান্ডার মাহবুবের স্থলে দায়িত্ব পান ডা: জাফর। জাফর গ্রেফতার হওয়ার পর কমান্ডারের দায়িত্ব পান কাজী ইনামুল হক দানু। ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানী বাহিনীর আত্মসমর্পণের সময় পর্যন্ত কমান্ডার ছিেেলন। কাজী ইনামুল হক দানু এক অসাধারণ প্রতিভার মানুষ ছিলেন। তিনি ফুটবল, ক্রিকেট ও ব্যাটমিন্টন খেলোয়াড়, চিত্রশিল্পী, কবি ও প্রাবন্ধিক ছিলেন। তার খুরদার অসংখ্য প্রবন্ধ, কবিতা, দৈনিক পত্রিকা, ম্যাগাজিন ও স্মরণিকায় প্রকাশিত হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী ইনামুল হক দানু আমার রাজনৈতিক নেতা, উগ্রজ উপদেষ্টা, বিপদ-আপদে আপনজন এবং পারিবারিক ভাবে খুবই কাছের মানুষ ছিলেন। সততা, নিষ্ঠা, কর্তব্যপরায়ণতা এবং আদর্শের প্রতি এতটাই নিবেদিত ছিলেন যে, তার তুলনা কেবল তিনিই। কাজী ইনামুল হক দানুর সাধারণ জীবন, ত্যাগের জীবন, আদর্শের জীবন ও সাহসী প্রতীকে যদি প্রজন্ম পরম্পরায় অনুসরণ করা হয় তাহলে প্রজন্ম হবে সমৃদ্ধ ও সাহসী। আসুন প্রিয় প্রজন্ম বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী ইনামুল হক দানুকে ধারণ করে জীবন গড়ি নিশ্চয়ই জীবন হবে স্বার্থক ও সফল। কাজী ইনামুল হক দানু আপনি পরপাড়ে ভাল থাকুন আল্লাহ আপনাকে বেহেস্তে স্থান দিন।লেখক: সাধারন সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা স্মৃতি পরিষদ

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla