1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
একজন মন্ত্রী সমর্থিত আরেকজন এমপি সমর্থিত আর আমি হচ্ছি সাধারণ জনগণ সমর্থিত- তৌহিদ  মিরপুর-পল্লবীর মটস: মানবিক ভ্রাতৃত্ব গঠনে কৃষি ও কারিগরি প্রশিক্ষণে এগিয়ে জাফর হায়াতের মৃত্যবার্ষিকী আজ মানিকগঞ্জে আসিম জাওয়াদের জানাজায় হাজারো মানুষ স্কুল-কলেজের সভাপতি হতে লাগবে এইচএসসি পাস সীতাকুণ্ডে রাজু মীরসরাইয়ে নয়ন, সন্দ্বীপে আনোয়ার চেয়ারম্যান নির্বাচিত আজ হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী আজ পঁচিশে বৈশাখ, কবিগুরুর জন্মদিন ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান হলেন শিল্পপতি খলিলুর রহমান বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন ও শরবত বিতরণ করেছে ২১নং জামালখান ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি জুবায়ের আলম আশিক

মিরসরাইয়ের কানু কুমার নাথ: সরকারী দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরী করে ২৭ বছরে হাতিয়েছেন কোটি টাকা

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ২৮৬ বার পড়া হয়েছে

আশরাফ উদ্দিন, মিরসরাই
মিরসরাইয়ের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে একাধারে দুই সরকারী প্রতিষ্ঠানে প্রতারণার মাধ্যমে চাকরীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তথ্য গোপন রেখে টানা ২৭ বছর ধরে দুই সরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরী করে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি টাকা। দুদকের মামলার সুবাধে সাম্প্রতিক এক প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কার করা হলেও বহালতবিয়তে আছেন অন্য প্রতিষ্ঠানে। অভিযুক্ত কানু কুমার নাথ মিরসরাইয়ের ১৫ নংওয়াহেদ পুর ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামের নাথ পাড়ার বিনোদ বিহারী নাথের ছেলে।
দুদকের চট্টগ্রাম কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, মিরসরাই উপজেলার কমল দহ খাজুরিয়া গ্রামের নাথ পাড়ার বিনোদ বিহারী নাথের ছেলে কানু কুমার নাথ ১৯৯১ সালে হাটহাজারী উপজেলার ৩ নংমির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হিসেবে চাকুরিতে যোগদান করেন। যোগদানের চার বছরের মাথায় ১৯৯৪ সালের ৫ মে নিয়োগ পেয়ে ৮ মে পার্শবর্তী উপজেলা ফটিকছড়ির হেয়াকো বনানী ডিগ্রি কলেজে বাংলা বিষয়ে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। এর মধ্যে ২০০২ সালের এপ্রিলে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতিও পান কানু কুমার নাথ। তবে তিনি কলেজে নিয়মিত উপস্থিত থাকলেও প্রথম কর্মস্থল মির্জাপুর ইউনিয়নের সচিব পদে অন্য ব্যক্তি তার হয়ে নিয়মিত কাজ করতেন। যার জন্য ওই ব্যক্তিকেও অর্থ প্রদান করতেন কানু কুমার নাথ। তবে সরকারি বেতন-ভাতাসহ সকল সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতেন তিনি।
দুদক জানায়, তথ্য গোপন করে দুই পদে চাকরি করে আসলেও ২০২১ সালে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরবর্তীতে এ নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ তদন্ত করে। তদন্তে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেলে তাকে কলেজ থেকে বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্ত হলেও কানু কুমার নাথ ১৯৯৫ সাল থেকে ২০২১ সাল (বরখাস্তাহওয়া) পর্যন্ত দুই স্থান থেকেই সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে কলেজের বেতন বাবদ সরকারি কোষাগার থেকে প্রায় সাড়ে ৫০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন।অপর দিকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেও হাটহাজারি মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের বেতন হিসেবে উত্তোলন করেছে নপ্রায় ৪০ লক্ষ টাকা যা দুদক আইনে অপরাধের সামিল।

অভিযুক্ত কানু কুমার নাথের সাথে যোগাগোগ করা হলে, তিনি এলোমেলো কথা বলতে থাকেন। তবে লোভে পড়ে ভূল করেছেন স্বীকার করেন। এছাড়া তিনি জানান আদালতের নির্দেশ মোতাবেক তিনি এখন কোথাও চাকরী করছেন না। তবে হাটহাজারি ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন খান জানান, কানু নাথ ইউপি সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নিয়মিত। তাদের দুইজনের কথায় তারতম্য থাকায় পুনরায় ফোন করা হলে কানু নাথ বলেন, দুদকের মামলার প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন হয়। যেহেতু পূর্ব থেকেই কলেজ কর্তৃপক্ষ বহিষ্কার করেছে তাই তদন্ত কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সচিবের পদটি বহাল রাখা হয়েছে। এমন একটি চিঠি পেয়েই ইউপি কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে গত জানুয়ারীতে ছুটি নিয়ে চলে আসি। আর কর্মস্থলে যাওয়া হয়নি। বিষয়টি পুনরায় নিশ্চিত করতে চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন কে বারবার ফোন করা হলে তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
তবে ইউনিয়ন পরিষদের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, কানু কুমার নাথ এখনো সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla