1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪২ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :

দেবর-ভাবি ফের মুখোমুখি

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১১৮ বার পড়া হয়েছে

 ঢাকা অফিস

কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে আবারও দেবর-ভাবি মুখোমুখি। আড়াই দশক ধরে চলা দেবর-ভাবির দ্বন্দ্ব আবারও প্রকাশ্যে এসেছে।দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটে জাপার ভূমিকা কী হবে- তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। তাই বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ ও চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের দ্বন্দ্বের রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। বিরোধী দলীয় নেতা ও দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ ২৬ নভেম্বর কাউন্সিলের দিন ঘোষণা করায় পার্টির মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে।

এদিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, জাতীয় পার্টি এখন যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি ঐক্যবদ্ধ ও সংগঠিত। গণমানুষের প্রত্যাশা পূরণে এগিয়ে যাবে জাতীয় পার্টি। কোন ষড়যন্ত্রই জাতীয় পার্টির ঐক্যে ফাটল সৃষ্টি করতে পারবে না।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সৈনিকরা যড়যন্ত্রে কখনই বিভ্রান্ত হবে না। কোন ষড়যন্ত্রে মাথা নত করবে না জাতীয় পার্টি।  জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে বেগম রওশন এরশাদ কাউন্সিলের যে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছেন, তা সম্পূর্ণ অবৈধ, অনৈতিক ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। কয়েক ভাগে বিভক্ত হলেও এখনও সঙ্কট থেমে যায়নি। এখনও জাপায় নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি অংশ জোরালোভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

সরকারকে নিয়ে জি এম কাদেরের সমালোচনা ও রওশন এরশাদের প্রতি আওয়ামী লীগের আস্থা- এ দুটি বিষয় নির্বাচনের আগে জাপায় নতুন সমীকরণ সৃষ্টি করতে পারে বলে জানা গেছে।

বুধবার রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কোন্দল আবারও প্রকাশ্যে এসেছে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা নির্বাচনের আগেই জাতীয় পার্টিতে আরেক দফা ভাঙ্গন ধরতে পারে।

জাতীয় পর্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদের মৃত্যুর পর সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার মনোনয়ন প্রশ্নে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। জিএম কাদের ও রওশন দুজনেই বিরোধী দলীয়  নেতার চেয়ার নিয়ে টানাটানি শুরু করেন। অবশেষে জয়ী হন রওশন। প্রকাশ্য গ্রুপিং না থাকলেও ভেতরে ভেতরে একটি চাপা ক্ষোভ বিরাজমান।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে জাতীয় পার্টি পরিচালিত হয়ে আসছিল এরশাদের একক কর্তৃত্বে। দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পদোন্নতি বা পদচ্যুতিসহ নীতিনির্ধারণী সব কিছু চলত তার মর্জিমতো। মৃত্যুর আগে এরশাদ তার ভাই জিএম কাদেরকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেন।

এ নিয়ে নাটক হয়, নানা ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে সময়ের পরিক্রমায় সব সঙ্কট সমাধান করে এরশাদপন্থী রওশন এরশাদ বিরোধী দলীয় দায়িত্ব পান। আর জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতার দায়িত্ব পান জিএম কাদের। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পর একবার দলের মহাসচিব পরিবর্তন হয়। এ নিয়ে অতীতের মতো কোন সঙ্কট তৈরি হয়নি দলটিতে।

এ ছাড়া এর মধ্যে বড় ধরনের কোন সঙ্কটের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তার নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ আছে বলে জানান দলটির অনেক নেতা। এরশাদের জীবদ্দশায় দলটি কয়েকবার ভাঙ্গনের মুখে পড়ে। তবু টিকে আছে জাতীয় পার্টি।

দীর্ঘ ৮ মাস থাইল্যান্ডে চিকিৎসা শেষে রওশন এরশাদ ২৭ জুন দেশে ফিরে আসেন। ২ জুলাই তিনি একটি হোটেলে মত বিনিময় করেন। কিন্ত সেখানে জাপার চেয়ারম্যানসহ অন্য নেতৃবৃন্দ যাননি। সভায় কেন নেতৃবৃন্দ যাননি তার ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।

তিনি রওশন এরশাদকে বলেছেন, চেয়ারম্যান ছাড়া অন্য কেউ মত বিনিময় সভা ডাকতে পারেন না। রওশন এরশাদের অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে কিছু লোক তাকে ব্যবহার করছে। এ প্রসঙ্গে রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ জনকণ্ঠকে বলেন, ম্যাডাম নিজেই জিএম কাদেরকে বলেছেন। যেহেতু তিনি বিরোধী দলীয় নেতা ওনার অফিস থেকে ওনার প্রাইভেট সেক্রেটারি প্রত্যেক এমপিকে বলেছেন।

এটা সরকারী নিয়ম। সবাইকে দাওয়াত করা হয়েছে। এটা ঠিক নয় কাউকে দাওয়াত দেয়া হয়নি। তিনি আরও যোগ করেন ওই বৈঠকের পর পার্টির মধ্যে দূরত্ব বাড়বে কিনা সেটা তাদের বিষয়। এ ঘটনার পর দেবর ভাবির মধ্যে ঠা-া লড়াই চলতে থাকে।

দেবর-ভাবির মধ্যে ঠাণ্ডা লড়াই অনেক আগে থেকেই বিদ্যমান। ২০১৪ সালের নির্বাচনে এই দূরত্ব বেড়ে যায়। এরশাদের সঙ্গে একাট্টা হয়ে ওই নির্বাচন বর্জন করেছিলেন জিএম কাদের। আর রওশন এরশাদ সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী মাঠে থেকে যান। ভোটের পর পুরো মেয়াদে একইসঙ্গে সরকার ও বিরোধী দলে থাকে জাপা। এই পন্থার সমালোচনায় মুখর ছিলেন জিএম কাদের। এতে রওশনের সঙ্গে তার দূরত্ব আরও বেড়ে যায়।

২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে জিএম কাদেরকে পার্টির কো- চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। পরে রওশনপন্থীদের চাপের মুখে রওশন এরশাদকে সিনিয়র  কো-চেয়ারম্যান ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছিলেন।

এরপর ২০১৮ সালে যখন জিএম কাদেরকে পার্টির ভারপ্রাপ্ত  চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন তখন রওশনপন্থীদের চাপের মুখে  সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিলেন এরশাদ। পরে রংপুরের নেতাদের আন্দোলনের মুখে ছোট ভাই জিএম কাদেরকে দ্বিতীয় দফায় ভারপ্রাপ্ত ও ভবিষ্যত চেয়ারম্যান  ঘোষণা করেন তিনি।

সর্বশেষ গত বুধবার থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন থেকেই আগামী ২৬ নবেম্বর জাতীয় পার্টির দশম কাউন্সিল আহ্বান করেছেন সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। তার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ বলেন, আগামী ২৬ নবেম্বর জাপার দশম কাউন্সিল অধিবেশন ডেকেছেন রওশন এরশাদ। সেই উপলক্ষে গঠিত কমিটিতে রওশন এরশাদ নিজেকে আহ্বায়ক করে জাতীয় পার্টির আট সদস্যের কমিটি ঘোষণা করেছেন। ওই কমিটিতে সদস্য সচিব করা হয়েছে আমাকে।

কাউন্সিল আহ্বানের চিঠিতে রওশন এরশাদ বলেন, আমি  বেগম রওশন এরশাদ (এমপি) বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে জাতীয় পাটির গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পার্টির দশম কাউন্সিল আহ্বান করছি। এ কাউন্সিল ২০২২ সালের ২৬ নবেম্বর শনিবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি আরও বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) ও ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। এ সময় আমি লক্ষ্য করি, জাতীয় পার্টির গঠনতান্ত্রিক লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, নিয়মাবলী এবং পার্টির মূল আদর্শ সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে না। বর্তমানে পার্টি গঠনতান্ত্রিক গৃহীত আদর্শ, নিয়ম ও নীতিমালা থেকে সরে গিয়ে ভ্রান্তপথে অগ্রসর হচ্ছে।

২০১৪ সালের ২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে জাতীয় পার্টি দেশের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা সংরক্ষণ ও দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ অক্ষুণ্ণ  রেখেছে বলে দাবি করেন রওশন এরশাদ। কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত কমিটিতে আরও আছেন- পার্টির কো- চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, আবু হোসেন বাবলা, মুজিবুল হক চুন্নু, সালমা ইসলাম।

কাউন্সিলে উপরে উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গ যুগ্ম আহ্বায়ক থাকবেন ও আমার রাজনৈতিক সচিব এরশাদ মুক্তি পরিষদের সাবেক সভাপতি ও পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম মসীহকে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব পদে নিয়োগদান করলাম।

এ ঘোষণার পর পরই জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ এমপি জাতীয় পার্টির কাউন্সিলের যে আহ্বায়ক কমিটি  ঘোষণা করেছেন, তা সম্পূর্ণ অবৈধ, অনৈতিক ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। ওই দিন রাতে দলের চেয়ারম্যানের প্রেস  সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক কমিটি গঠন ও কাউন্সিল ঘোষণার কোন এখতিয়ার নেই প্রধান পৃষ্ঠপোষকের। কাউন্সিলে গঠিত একটি বৈধ কমিটি ভেঙ্গে দেয়ার কোন ক্ষমতা জাতীয় পার্টির  চেয়ারম্যান ছাড়া আর কারও নেই। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শুধু জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আহ্বায়ক কমিটি গঠন এবং জাতীয় কাউন্সিল আহ্বান করতে পারেন।

এতে আরও বলা হয়, জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের ধারা ১২, উপধারা ১/২ অনুযায়ী কাউন্সিলের তারিখ, স্থান ও সময় প্রেসিডিয়াম কর্তৃক নির্ধারিত হবে। তাছাড়া জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, যিনি  প্রেসিডিয়ামের সভাপতি তার কর্তৃক কাউন্সিল অনুষ্ঠানের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। এর বাইরে কারও কাউন্সিল আহ্বানের এখতিয়ার নেই।

একই সঙ্গে বলা হয়েছে, জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি এবং এ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি আহ্বায়ক কমিটি গঠন ও জাতীয় পার্টির কাউন্সিল ঘোষণার বিষয়ে অবগত নন।

এরশাদ জীবদ্দশায় পার্টির ভবিষ্যত চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের নাম ঘোষণা করে গেছেন। ভারপ্রাপ্ত  চেয়ারম্যান ঘোষণার সাংগঠনিক আদেশে এরশাদ বলে  গেছেন, আমার মৃত্যুর পর কাউন্সিলররা যেন জিএম কাদেরকেই পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করেন। এখনও সেটাই হতে যাচ্ছে।

তবে মাঝে রওশন এরশাদ বাগড়া দেয়ায় প্রধান পৃষ্ঠপোষক পদ তৈরি করার উদ্যোগ  নেয়া হয়েছে। রওশন এরশাদ আমৃত্যু পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক থাকবেন। তার অবর্তমানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই পদটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

দেবর-ভাবির মধ্যে ঠাণ্ডা লড়াই অনেক আগে থেকেই বিদ্যমান। বিশেষ করে ২০১৪ সালের নির্বাচনে এই দূরত্ব  বেড়ে যায়। এরশাদের সঙ্গে একাট্টা হয়ে ওই নির্বাচন বর্জন করেছিলেন জিএম কাদের। আর রওশন এরশাদ সিনিয়র  নেতাদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী মাঠে থেকে যান। ভোটের পর পুরো মেয়াদে একইসঙ্গে সরকার ও বিরোধী দলে থাকে জাপা। এই পন্থার সমালোচনায় মুখর ছিলেন জিএম কাদের। এতে রওশনের সঙ্গে তার দূরত্ব আরও বেড়ে যায়।

ওই সময়েই ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে জিএম কাদেরকে পার্টির কো- চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। পরে রওশনপন্থীদের চাপের মুখে রওশন এরশাদকে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছিলেন। এরপর ২০১৮ সালে যখন জিএম কাদেরকে পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন তখন রওশনপন্থীদের চাপের মুখে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিলেন এরশাদ। পরে রংপুরের নেতাদের আন্দোলনের মুখে ছোট ভাই জিএম কাদেরকে দ্বিতীয় দফায় ভারপ্রাপ্ত ও ভবিষ্যত চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন তিনি।

এরশাদের মৃত্যুর পর সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার মনোনয়ন প্রশ্নে দ্বন্দ্ব প্রকাশিত হয়ে পড়ে। জিএম কাদের ও রওশন দুজনেই বিরোধী দলীয় নেতার চেয়ার নিয়ে টানাটানি শুরু করেন। অবশেষে জয়ী হন রওশন। প্রকাশ্য গ্রুপিং না থাকলেও ভেতরে ভেতরে একটি চাপা ক্ষোভ বিরাজমান।

১৯৮৫ সালের ১৬ আগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এরশাদের নীতি ও আদর্শ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার নিয়ে জাতীয় ফ্রন্ট গঠিত হয়েছিল। ওই জোটের শরিক ছিল জনদল, ইউপিপি, গণতান্ত্রিক পার্টি, বিএনপি (শাহ) মুসলিম লীগ (সা)।

১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি জাতীয় পার্টি গঠন করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত জাতীয় পার্টি পাঁচটি অংশে ভাগ হয়েছে এর মধ্যে বর্তমানে মূল দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন গোলাম মোহাম্মদ কাদের। অন্য চারটি অংশের একটির নেতৃত্বে আছেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, আরেক অংশের নেতৃত্বে আন্দালিব রহমান পার্থ এবং অপর অংশের একটি নেতৃত্ব দিচ্ছেন কাজী জাফর আহমেদ। এ ছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (এমএ মতিন) নামে একটি অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডাঃ এম এ মুকিত। বর্তমানে জাপার মূল অংশ নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ ও চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, জাতীয় পার্টি এখন যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি ঐক্যবদ্ধ ও সংগঠিত। গণমানুষের প্রত্যাশা পূরণে এগিয়ে যাবে জাতীয় পার্টি। কোন ষড়যন্ত্রই জাতীয় পার্টির ঐক্যে ফাটল সৃষ্টি করতে পারবে না।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সৈনিকরা ষড়যন্ত্রে কখনই বিভ্রান্ত হবে না। কোন ষড়যন্ত্রে মাথা নত করবে না জাতীয় পার্টি। সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে আমরা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলব। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ের মিলনায়তনে পার্টির মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপির জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।সৌজন্য সরেজমিন

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla