1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৭:০৩ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
সীতাকুণ্ডে কুমিরা ঘাট দিয়ে পালাচ্ছে রোহিঙ্গারা, খবর পেয়েও আটক করেনি নৌ পুলিশ ৬ তারিখে বাজেট দেবো, বাস্তবায়নও করবো বায়েজিদে টোকেন বাণিজ্য নিষিদ্ধ অটোরিক্সা অবাধেই চলছে ট্রাফিক পুলিশ চাঁদা পেয়েই নিরব ১১ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য ডবলমুরিং- এ ভুয়া নারী পুলিশ কনস্টেবল আটক বিএসসি মর্যাদা পাওয়া নিয়ে আইইবি’ বিরুপ প্রতিক্রিয়া অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য – আইডিইবি সীতাকুণ্ডে অবৈধ বালু উত্তোলন দিয়ে কে আর অক্সিজেন পুরাতন কুমারী খাল ভরাট করছে একজন মন্ত্রী সমর্থিত আরেকজন এমপি সমর্থিত আর আমি হচ্ছি সাধারণ জনগণ সমর্থিত- তৌহিদ  মিরপুর-পল্লবীর মটস: মানবিক ভ্রাতৃত্ব গঠনে কৃষি ও কারিগরি প্রশিক্ষণে এগিয়ে জাফর হায়াতের মৃত্যবার্ষিকী আজ

পাগলা মসজিদে ৩ মাস ২০ দিনে ১৬ বস্তা টাকা জমা

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ রবিবার, ৩ জুলাই, ২০২২
  • ১৩১ বার পড়া হয়েছে

কিশোরগঞ্জের আলোচিত পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার ১৬ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। জেলা শহরের ঐতিহাসিক এ মসজিদটিতে আটটি দানবাক্স আছে। প্রতি তিন মাস পর পর এ বাক্সগুলো খোলা হয়। তবে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে এ মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয় চার মাস পর পর। আর এবার খোলা হয়েছে ৩ মাস ২০ দিন পর।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) গোলাম মোস্তফার তত্ত্বাবধানে শনিবার সকাল ৯টার দিকে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এখন চলছে টাকা গণনার কাজ। এ কাজে মাদরাসার ১১২ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।

দানবাক্সগুলো খোলার পর গণনা দেখতে মসজিদের আশপাশে ভিড় করছেন উৎসুক মানুষ। তাদের মধ্যে অনেকে এসেছেন দূর-দূরান্ত থেকে।

মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত উদ্দিন ভূঁইয়া  জানান, ১৬ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন চলছে গণনা। গণনার শেষে কি পরিমাণ টাকা, সোনা, রুপা বা বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া গেছে তা বলা যাবে।

এর আগে সর্বশেষ গত ১২ মার্চ দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ৪ মাস ৬ দিনে এ দানবাক্সগুলোতে জমা পড়েছিল ১৫ বস্তা টাকা। সেই বস্তাগুলো মসজিদের দ্বিতীয় তলার মেঝেতে ঢেলে দিনভর গণনা শেষে মোট টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৫ টাকা। এ ছাড়া জমা পড়েছিল বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপা।

টাকা ছাড়াও মসজিদে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ।

মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত উদ্দিন ভূঁইয়া  জানান, করোনা সংক্রমণের শুরুতে মসজিদে মুসল্লিদের চলাচল এবং নারীদের প্রবেশাধিকার বন্ধ থাকলেও দান অব্যাহত ছিল।

তিনি আরও জানান, পাগলা মসজিদ ও ইসলামী কমপ্লেক্সের খরচ চালিয়ে দানের বাকি টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়। এ থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানায় অনুদান দেয়া হয়। অসহায় ও জটিল রোগে আক্রান্তদের সহায়তাও করা হয়। এছাড়া সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের করোনা ইউনিটে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকদেরও এই দানের টাকা থেকে সহায়তা করা হয়েছে।

মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান জানান, প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসে দান করছে এ মসজিদে। যারা দান করতে আসেন তারা বলে থাকেন, এখানে দান করার পরে নাকি তাদের আশা পূরণ হয়েছে। আর এ বিষয়টির কারণেই এখানে দান করে থাকেন তারা।

কিশোরগঞ্জের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দার তীরে প্রায় ১০ শতাংশ জমিতে অবস্থিত পাগলা মসজিদ।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla