1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
তাপদাহে পুড়ছে দেশ, ভাঙল ৭৬ বছরের রেকর্ড রাজধানীর সৌদি দূতাবাসে আগুন উত্তর চট্টগ্রামে এই প্রথম ফ্যাকো অপারেশন শুরু করছে চট্টগ্রাম গ্রামীণ চক্ষু হাসপাতাল সীতাকুণ্ডে বৃষ্টির জন্য ইস্তাহার নামাজ আদায় শনিবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মধ্যে ভোটের যুদ্ধ সন্দ্বীপে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা অভিযুক্ত স্বামী গ্রেফতার  চট্টগ্রামে র‌্যাবের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৪ চট্টগ্রামের বিভিন্ন মহাসড়কে অবৈধ গাড়ির অরাজকতা বন্ধ করতে আবারো বিআরটিএ’র অভিযান আমি আজ কথা দিচ্ছি  আপনাদের একা রেখে পালিয়ে যাব না, সুখে দুঃখে আপনাদের পাশে থাকব, আমি আপনাদের এই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চাই- ওয়াসিকা

স্বীকৃতি পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক আহমেদ

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২১
  • ৩২৪ বার পড়া হয়েছে

স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি মেলেনি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের নলান্দা গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা রফিক আহমেদ এর । নিজের জীবন বাজি রেখে দেশের জন্য যুদ্ধ করা এই অকুতোভয় বীর সেনা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চান মৃত্যুর আগে। সাদাসিধে জীবন যাপনে অভ্যস্ত রফিক আহমেদ বর্তমানে নিজ গ্রামের বাড়িতে জীবনের শেষ সময়টুকু অতিবাহিত করছেন নানা দুঃখ কষ্টে। এই বীর মুক্তিযোদ্ধার সাথে কথা হলে তিনি জানান, ১৯৭১ সালে বোয়ালখালীর স্যার আশুতোষ কলেজের গণিত বিভাগের অধ্যাপক দিলীপ কুমার চৌধুরীর সাথে দেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। তিনি বলেন, স্যারকে সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন অপারেশনে অংশ গ্রহন করি। এপ্রিলে স্যার সহ আমরা ভারত যাওয়ার প্রস্ততি নিতে থাকি। সে সময় ভারতে যাওয়ার জন্য বান্দরবান থেকে পাহাড়ি পথে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের পদুয়া হয়ে দোভাষী বাজারে উপস্থিত হই। স্যারের গাড়ি ছিল সবার আগে। জিপ রওয়ানা হয় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের উদ্দেশে। ইমাম গাজ্জালি কলেজ পার হবার পর আমরা গুলির আওয়াজ শুনতে পাই। জানতে পারি স্যারের উপর হামলা হয়েছে। এ হামলায় স্যারসহ অনেকে শহীদ হন। পরে আমার আর ভারত যাওয়া হয়নি। চট্টগ্রাম শহরে চলে আসি। মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণের কারণে হানাদার বাহিনী আমার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে আমার মা-বাবার উপর অনেক নির্যাতন করে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ৭৫ সালের পর থেকে আমি দীর্ঘ ৩০ বছর জীবিকার তাগিদে বিদেশে ছিলাম। এদিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম কাতারের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক আহমদ’র আপন সম্বন্ধি বীরোচিত মুক্তিযোদ্ধা সম্মুখে সমরে শহীদ এখলাছুর রহমানের লাল মুক্তিবার্তায় নাম থাকলেও গেজেটের জন্য পঞ্চাশ টি বছর প্রতীক্ষার প্রহর গুনতে হচ্ছে । মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে ১ম সারির বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষাবিদ রফিক আহমদ প্রচার বিমুখ।

জানা গেছে, চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি অনলাইনে গেজেট ভুক্তির জন্য আবেদন করা হয়েছে। যার নাম্বার ৭০৮১৬৪০০৫২০৩২৫। সেই সাথে পটিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়। বর্তমানে তিনি খুব অসুস্থ। মস্তিস্কের এক পাশে ব্লক ধরা পড়ে। যার কারণে অনেক কথা এখন ভুলে যাচ্ছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক আহমদ ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতিতে তাঁর হাতেখড়ি। তৎকালীন ছাত্র ফেডারেশনের নেতাদের অতি পরিচিত মুখ ও সহযোদ্ধা ছিলেন। তাঁর সমসাময়িক মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে প্রয়াত চৌধুরী হারুনুর রশীদ এমপি, পটিয়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মহসীন খান, কমান্ডার মরহুম আবুল হোসেন, আহমদ হোসেন, বোয়ালখালীর বাসিন্দা উপ-পুলিশ কমিশনার মরহুম কবি জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ইউনুচ, ক্যাপটেন হায়দার উল্লেখযোগ্য।

রফিক আহমেদ পটিয়া ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম কাতারের সৈনিক মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। বয়সের ভারে এখন অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক আহমেদ । তারপরও আশা রাখেন অবদানের স্বীকৃতির জন্য । পটিয়ার বর্তমান বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মহিউদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা তপন দস্তিদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম শামসুজ্জামান চৌধুরী, মনসার এলাকার মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম ও তাঁর সহযোদ্ধা আমুচিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আহমদ হোসেন সহ অনেকেই অবগত আছেন বলে তিনি জানান। মৃত্যুর আগে আদৌও স্বীকৃতি মিলবে কিনা এটাই এখন তার প্রশ্ন? মুক্তিযোদ্ধা রফিক আহমদ বলেন, স্মৃতিপটে সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে অধ্যক্ষ শান্তিময় খাস্তগীর, তাঁর গ্রুপ কমান্ডার অধ্যাপক শহীদ দিলীপ চৌধুরী, শহীদ আব্দুর রব, শহীদ রফিক ও শহীদ ইউনুচ। মুক্তিযোদ্ধা রফিক আহমদ ১৯৪৭ সালের ৭ আগষ্ট চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও ইউয়িনের নলান্ধা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতা মৃত এজাহার মিয়া ও মাতা মৃত জয়নাব খাতুন। তিনি ১৯৬৫ সালে চরকানাই বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্টিক পাশ করেন । ১৯৬৭ সালে চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি, ১৯৬৯ সালে বোয়ালখালী কানুনগোপাড়াা স্যার আশুতোষ কলেজ থেকে বি.কম, স্বাধীনতা উত্তর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ডিগ্রীতে অধ্যয়ন করেন। মুক্তিযোদ্ধা রফিক আহমদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক আহমদ’র ছেলে মোজাম্মেল হক এরশাদ বলেন, আমার পিতা ‘৬৯ সালে স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজে ১১ দফা আন্দোলনের অগ্রসৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধে অবিস্মরণীয় অবদান থাকা সত্বেও স্বীকৃতি মেলেনি আজও। বর্তমানে আমার বাবা অসুস্থ । মস্তিস্কের এক পাশে ব্লক ধরা পড়ে। যার কারনে অনেক কথা এখন ভুলে যাচ্ছেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন বাজি রেখে দেশের মুক্তির জন্য ঝাঁপিয়ে পড়া তাঁর পিতাকে মুক্তি যোদ্ধার স্বীকৃতি প্রদানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla