1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৮ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
চট্টগ্রামে বর্ণিল আয়োজনে বন্দর দিবস উদযাপন তৎক্ষালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে যত মানুষ মরার কথা ছিলো, তত মানুষ মরে নাই স্মরণ সভায় ওয়াসিকা আবারও আসছে তিনদিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ চট্টগ্রামে কাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক তাপদাহে পুড়ছে দেশ, ভাঙল ৭৬ বছরের রেকর্ড রাজধানীর সৌদি দূতাবাসে আগুন উত্তর চট্টগ্রামে এই প্রথম ফ্যাকো অপারেশন শুরু করছে চট্টগ্রাম গ্রামীণ চক্ষু হাসপাতাল সীতাকুণ্ডে বৃষ্টির জন্য ইস্তাহার নামাজ আদায় শনিবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মধ্যে ভোটের যুদ্ধ

মুক্তিযুদ্ধের তথ্যনিষ্ঠ ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ সোমবার, ১৪ মার্চ, ২০২২
  • ২০২ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম সিনিয়রস ক্লাবে সৈয়দ রফিকুল ইসলামের ১৩ টি গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

 

বীর মুক্তিযোদ্ধা গবেষক সৈয়দ রফিকুল ইসলামের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ১৩টি গবেষণাধর্মী গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব গত ১২ মার্চ শনিবার বিকেলে নগরীর সিনিয়রস ক্লাব হলে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সাবেক রিসার্চ ফেলো গবেষক ড. সেলিম জাহাঙ্গীর। প্রকাশনা উৎসবে বক্তারা বলেন, অনেকেই নানা বিষয়ে লিখেন। কিন্তু সব লেখা মানোত্তীর্ণ ও তথ্যধর্মী হয় না। ভেতরে সারবত্তা নেই এমন লেখাও প্রচুর। তাই গবেষণাধর্মী নির্ভুল বই প্রকাশের ওপর বেশ জোর দিতে হবে। নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ ও বীরত্বের ইতিহাস বস্তুনিষ্ঠভাবে তুলে ধরতে হবে। গবেষক সৈয়দ রফিকুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্র ধরে দেশের স্বাধীনতায় ভূমিকা রাখেন। আবার দেশ ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে তিনি কলম ধরেছেন। তাঁর গবেষণাধর্মী অভিজ্ঞতাপ্রসূত গ্রন্থগুলো হতে পারে মুক্তিযুদ্ধের অসামান্য দলিল। লেখক-বাচিক শিল্পী দিলরুবা খানমের সঞ্চালনায় প্রকাশনা উৎসবে স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী। ১৩টি গ্রন্থের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন শাহ আলম নিপু, অ্যাডভোকেট রেহানা বেগম রানু, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে.এম. সরোয়ার কামাল দুলু, চট্টগ্রাম সিনিয়রস ক্লাবের সভাপতি ডা. সেলিম আক্তার চৌধুরী, অধ্যাপক আবু তালেব বেলাল, লেখক ও কলামিস্ট ড. মুহাম্মদ মাসুম চৌধুরী, গল্পকার ফারজানা রহমান শিমু। গ্রন্থকার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে এবং দেশ, মানুষ ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম। এখন সেই হাতে কলম ধরেছি মুক্তিযুদ্ধের বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস জানাতে। জানিনা কতটা সফল হয়েছি। পাঠকদের হাতে বিবেচনার ভার ছেড়ে দিলাম। তিনি বলেন, আমরা দেশটি স্বাধীন করেছি সত্য, কিন্তু এখনো গরিব দুখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারিনি। তাই অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে আমাদের এখনো সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা গবেষক সৈয়দ রফিকুল ইসলামের প্রকাশিত  ১৩টি গ্রন্থ হলোÑবাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধে দক্ষিণ রাউজান ৭১’র বীর সেনানী, মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা ও চট্টগ্রামে ঘোষণা প্রচারের ইতিবৃত্ত, ১৯৭১ আমার যুদ্ধ আমার স্বাধীনতা, বাঙালি চরিত্রের উৎস সন্ধানে, প্রাচীন বাংলার ইতিহাস, চট্টগ্রামে গেরিলা অপারেশন, একজন মুক্তিযোদ্ধার আত্মকথা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সংগ্রামী জীবন ও দর্শন, মুক্তিযুদ্ধের ৭ বীরশ্রেষ্ঠ। প্রকাশনা উৎসবে অতিথিরা গ্রন্থগুলোর মোড়ক উন্মোচন করেন। ড. মাসুম চৌধুরী বলেন, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদেরকে আমাদের সম্মান দিতে হবে। তাদের অসামান্য র্কীর্তির কথা নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। অধ্যাপক আবু তালেব বেলাল বলেন, বাঙালি জাতির বীরত্ব, সাহস ও উচ্চ চরিত্রের কথা গ্রন্থগুলোতে তুলে ধরে সৈয়দ রফিকুল ইসলাম সময়ের দাবি পূরণে এগিয়ে এসেছেন। এ জন্য আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। সভাপতির বক্তব্যে ড. সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা হৃদয়ে রক্তক্ষরণের কথাগুলোই লিখেন। সত্য ইতিহাস নির্মোহভাবে তুলে ধরেন। জাতি আপনাদের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান দেবে এমন দিনও আসতে পারে। গভীর নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে গ্রন্থগুলো পাঠকের সামনে আনায় গ্রন্থকার সৈয়দ রফিকুল ইসলামের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। প্রকাশনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ডিরেক্টর শামসুল আলম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ইয়াছিন মাহামুদ, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বেদারুল ইসলাম বেদার, চমেকের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ শাহ সোলাইমান, অধ্যাপক আহমদ শাহ আলমগীর, সংগঠক আবদুল হাকিম, মোহাম্মদ জাকারিয়া, এনায়েতবাজার মহিলা কলেজের প্রভাষক আশিকুন্নাহার, বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনার কেন্দ্রীয় তথ্য সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ খোবাইব, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রসেনার সভাপতি নুরের রহমান রনি, সাধারণ সম্পাদক রিদোয়ান সাজ্জাদ, চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ ছাত্রসেনার সভাপতি আমির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক নুর রায়হান, সাবেক জেলা সাব রেজিস্ট্রার নারায়ণ গুপ্ত, চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক চিফ ইঞ্জিনিয়ার অঞ্জন সরকার, রামপুর সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নার্গিস আক্তারসহ অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারবর্গ।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla