1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১২:৩৮ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
বিএনপির নেতৃত্বে নতুন কর্মসূচি আসছে : অলি আনোয়ারা সরকারি রাস্তা দখল করে ঘর নির্মাণ, জিম্মি দুইশত পরিবার সীতাকুণ্ডে কুমিরা ঘাট দিয়ে পালাচ্ছে রোহিঙ্গারা, খবর পেয়েও আটক করেনি নৌ পুলিশ ৬ তারিখে বাজেট দেবো, বাস্তবায়নও করবো বায়েজিদে টোকেন বাণিজ্য নিষিদ্ধ অটোরিক্সা অবাধেই চলছে ট্রাফিক পুলিশ চাঁদা পেয়েই নিরব ১১ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য ডবলমুরিং- এ ভুয়া নারী পুলিশ কনস্টেবল আটক বিএসসি মর্যাদা পাওয়া নিয়ে আইইবি’ বিরুপ প্রতিক্রিয়া অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য – আইডিইবি সীতাকুণ্ডে অবৈধ বালু উত্তোলন দিয়ে কে আর অক্সিজেন পুরাতন কুমারী খাল ভরাট করছে একজন মন্ত্রী সমর্থিত আরেকজন এমপি সমর্থিত আর আমি হচ্ছি সাধারণ জনগণ সমর্থিত- তৌহিদ 

‘সাইমুন’ আইসক্রীম ফ্যাক্টরীতে ‘লিচি’ লেভেল, বিএসটিআই ও পরিবেশ অধিদপ্তর ঘুমে!

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৩
  • ১০৩ বার পড়া হয়েছে

নোংরা পানি ও ক্যামিকেল মিশিয়ে বিভিন্ন রংগের অতি নিম্নমানের আইসক্রীম

চটগ্রাম বন্দরের নিমতলা খালপাড়ে ওসির দোহাই দিয়ে চলছে একটি আইসক্রীম ফ্যাক্টরী । বৈধ কোন কাগজপত্র নেই ।বিএসটিআই ও পরিবেশ    অধিদপ্তরের তোয়াক্কাও করে না । টিনশীট অপরিস্কার পরিবেশে নোংরা পানি দিয়ে আইসক্রীম তৈরি চলছে ‘সাইমুন’ আইসক্রীম কোম্পানী  ।পাশেই  আওয়ামী লীগ নেতা আলতাফ হোসেন বাচ্চুর বিল্ডিং সাইনবোর্ড ।

নোংরা পানি ও ক্যামিকেল মিশিয়ে বিভিন্ন রংগের অতি নিম্নমানের আইসক্রীম তৈরি হয় এখানে। ৫০ জন মতো আইসক্রীম বিক্রেতা ‘সাইমুন’ আইসক্রীম বক্স নিয়ে স্কুল, মাদ্রাসা গেইট ও অলি-গলি চিৎকার করে করে আইসক্রীম বিক্রি করে। প্রতি জন ১০ হাজার করে হলে ৫০ জনে বিক্রি করে ৫লাখ টাকা । প্রতিদিন ৫ লাখ করে মাসে দেড় কোটি । সেই হিসেবে বছরে ১৮ কোটি টাকার আইসক্রীম করে এই ফ্যাক্টরী । এখন মৌসুম নয় বরং গরম কালে এটির আয় বেড়ে যায় প্রতিদিন কয়েকগুন ।

জানা গেছে, বরিশাল ভোলা এলাকার জনৈক ফারুক ‘সাইমুন’ নামের এই আইসক্রীম ফ্যাক্টরীর মালিক। সে সবাইকে এটির মালিক বলে বেড়ায়।সাইমুল হলো ফারুকের ছেলের নাম। ছেলের নামেই এই ফ্যাক্টরী । তবে সাইমুন নাম আইসক্রীমের গাড়ীতে লেখা থাকলেও লিচি নামক পলি প্যাকেটে আইসক্রীম মোড়ানো হয়।প্রতিদিন ৫ থেকে ১০জন শিশু যাদের বয়স ৮ থেকে ১৫ বছর তারা এই ফ্যাক্টরীতে কম মজুরীতে কাজ করে।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে ,  ফারুক এক সময় নামকরা একটি আইসক্রীম ফ্যাক্টরীতে চাকুরি করত । সাইমুন আইসক্রীম লাগায়ো হলো কতগুলো বস্তির সেমি পাকা ফ্যামিলি ঘর। একটি ফ্যামিলি ঘরকে সে বানিয়েছে আইসক্রীম ফ্যাক্টরী। ফারুক নিজেই পূর্ব বাংলার প্রতিনিধিকে জানিয়েছে তার কোন কাগজপত্র নেই। ওসি তার পক্ষে আছে বলেই তার আর কোন কিছুর দরকার নেই। ওসি তার আত্নীয় বলে পরিচয় দেয়।আপনি মুসলিম এবং ওসি সাহেব হিন্দু আপনার কেমন আত্নীয় এই কথা বলতে ফারুক ফোন কেটে দেয় এবং অনেকক্ষন ফোন বন্ধ রাখে।

খবর পাওয়া গেছে, ওসির হয়ে পুলিশ চাঁদাবাজ  জনৈক আবির আইসক্রীম ফ্যাক্টরীর মালিক ফারুক থেকে চাঁদা নেয়। পূর্ব বাংলার সাথে ফোনালাপে  ফারুক ঈশান মিস্ত্রির হাট ও নাজিরপাড়াসহ আরো বহু জায়গায় এই রকম আইসক্রীম ফ্যাক্টরী আছে বলে জানায়। এই বিষয়ে বন্দর থানার ওসির সরকারি নাম্বারে ২৮ সেপ্টেম্বর ও ২৯ সেপ্টেম্বর পর পর ২ দিন বক্তব্য জানার জন্য ফোন করা হয় পূর্ব বাংলা অফিস থেকে। কল অন থাকলেও রিসিভ না হওয়ায় ওসির বক্তব্য জানা যায়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্হানীয় এক শিক্ষক বলেন, এই আইসক্রীমগুলো খেয়ে কচি কাচা ছাত্র-ছাত্রীরা নানা অসুখ বিসুখে পড়ে। কচি কাঁচা ছেলে মেয়েরা বুঝে না এগুলো আসল আইসক্রীম নয়। আইসক্রীম নামের এসব কুখাদ্য মাত্র।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla