1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান হলেন শিল্পপতি খলিলুর রহমান বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন ও শরবত বিতরণ করেছে ২১নং জামালখান ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি জুবায়ের আলম আশিক দেশে ২০ হাজার শিশু ডায়াবেটিসে ভুগছে মনজুর আলম প্রতিষ্ঠিত নতুন ৩ টি জামে মসজিদ জুম্মার নামাজ আদায় এর মাধ্যমে শুভ উদ্বোধন তরুণ প্রজন্মকে কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে আসতে হবে –  সিমিন হোসেন পতেঙ্গা চরপাড়ায় অবৈধ অনুমোদহীন আইসক্রীম ফ্যাক্টরীঃ প্লাস্টিক ফ্যাক্টরী লোকেরাই আইসক্রীম ফ্যাক্টরীরও কর্মী গনচিনি, চ্যাকারাইন, লোংরা পানি ও বিষক্ত ক্যামিক্যাল ব্যবহার সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখীতে ‘সবুজ চুড়ি আন্দোলনে ২৫শ তালগাছ রোপন সাংবাদিক ওমর ফারুকের ইন্তেকাল ২৯ শে এপ্রিল নিহতদের স্মরণে সাহিত্য পাঠচক্রের স্মরণ সভা পথচারীদের মাঝে শরবত, পানি ও গামছা বিতরণ করলেন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর 

ত্বীনের বাণিজ্যিক উৎপাদন করে সাড়া ফেলেছে ঠাকুরগাঁওয়ে আবু

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ রবিবার, ২৩ জুলাই, ২০২৩
  • ১০৮ বার পড়া হয়েছে

মাহমুদ আহসান হাবিব, ঠাকুরগাঁও

পবিত্র কোরআনে আত ত্বীন সূরায় বর্ণিত মরুভূমির মিষ্টি ফল ত্বীন এখন চাষ হচ্ছে ঠাকুরগাওয়ে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভাউলার হাট এলাকার স্মার্ট কৃষক নামে পরিচিত আবু বক্কর সিদ্দিক (আবু)র  ফার্মে এ ত্বীন ফলের চাষ করছে। আয়তনের দিক থেকে দেশের উত্তরের কয়েকটি জেলার মধ্যে এটিই বড় বাগান বলে দাবি করছেন মালিক। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ের এ বাগান থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় ত্বীন ফল ও চারা বিক্রি হচ্ছে।  দিনদিন চাহিদা বাড়ার কারণে বাগান কর্তৃপক্ষ ফার্মটির সম্প্রসারণ করে এ ফল গাছের চারা উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করছেন।

সৌদি আরব ও বাংলাদেশে এই ফলকে ত্বীন নামে ডাকলেও অন্যান্য দেশ, বিশেষ করে ভারত, তুরস্ক, মিসর, জর্দান ও যুক্তরাষ্ট্রে এটি আঞ্জির নামে পরিচিত। ডুমুর জাতীয় এ ফলটির বৈজ্ঞানিক নাম ঋরপঁং পধৎরপধ ও পরিবারের নাম সড়ৎধপবধব. এ ফলটি পুরোপুরি পাকলে রসে ঠাসা ও মিষ্টি হয়ে ওঠে।

বাগানের মালিক আবু জানান, লেখাপড়া শেষ করে আমি অন্যদের মত চাকুরীর পেছনে না ছুটে নিজেই কিছু একটা করতে চেয়েছিলাম। নিজের জমানো মাত্র ৪০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে এ বাগানের যাত্রা শুরু হয়। প্রথমে ছোট করে শুরু করলেও খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এটি প্রায় এক বিঘা জমিতে চাষ করেন তিনি। শুরুর দিকে গাছের সংখ্যা কম থাকলেও বর্তমানে শতাধিক বড় গাছ রয়েছে । বাগান তৈরীর ছয়মাস পর ফল আর চারা বিক্রি করেই দেড় লক্ষ টাকা আয় হয় তার। এবার ২য় বারেও চারা এবং ফল বিক্রি করে সাড়ে তিন থেকে চার লক্ষ টাকা আয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে। খুরতামনি,মিশরীয়, ব্রাউন তুর্কি এ তিন জাতের গাছ রয়েছে এ বাগানে।

তিনি আরো জানান, প্রতিটি গাছ থেকে ছয় থেকে আট কেজি বা ন্যূনতম ৭০ থেকে ৮০ টি ফল পাওয়া যায়। এখানকার গাছে প্রতিটি ত্বীন ফল ওজনে ৭০ থেকে ১১০গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। স্থানীয় ভাবে ছয়শত টাকা করে কেজি বিক্রি হচ্ছে। একবার চারা রোপন করা হলে ৩০ থেকে ৩৫ বছর পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। মাদার প্ল্যান্ট (মূল গাছ) থেকে তৈরী করা কলমের তিন মাস বয়স থেকেই ফল দেয়া শুরু করে। ফল ধরার এক থেকে দু সপ্তাহের মধ্যেই খাওয়ার উপযোগী হয়। শুধুমাত্র শীতের সময়টা বাদ দিয়ে সারাবছরই গাছ থেকে ফল পাওয়া যায়। প্রতিটি গাছ ছয় থেকে ৩০ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। ত্বীণ ফল ও গাছের ব্যাপক চাহিদার কারণে বেশ কয়েকটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন আবু। এখান থেকে কলম তৈরী করে নিজেদের প্ল্যান্ট ছাড়াও আগ্রহী চাষীদের মধ্যে বিক্রি করা হচ্ছে। স্থানীয়রা ছাড়াও প্রায় প্রতিদিনই পঞ্চগড়, দিনাজপুর, নীলফামারী, সৈয়দপুর সহ বিভিন্ন জেলা থেকে ফল বিক্রেতাসহ ভোজন রসিকরা এখান থেকে ত্বীন কিনে নিয়ে যান। ফলের পাশাপাশি সৌখিন চাষীরা চারা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ত্বীন গাছে রোগ জীবাণু সংক্রমনের মাত্রা একদমই কম।
ত্বীন চরম জলবায়ু অর্থাৎ শুষ্ক ও শীত প্রধান দেশে চাষ হলেও আমি প্রমান করেছি নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ুতেও ৩৬৫দিন এ ফল উৎপাদন করা সম্ভব। গার্মেন্টের বিকল্প আরেকটা সম্ভাবনা এ ত্বীন চাষ। সরকারের সহযোগিতা পেলে তা রপ্তানী করে আন্তর্জাতিকভাবে বাজার ধরা সম্ভব। যা চাষ করে দেশের বেকরাত্ব দূর এবং রপ্তানী করে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঠাকুরগাঁও কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম জানান, আয়তনের দিক থেকে উত্তরের জেলা গুলির মধ্যে এটিই তুলনামূলক বড় বাগান। বাণিজ্যিক ভাবে ছোট পরিসর থেকে বড় হচ্ছে এ বাগানটি। আমরা এই প্রকল্পটি পরিদর্শন করে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি। এখানে রোগ বালাই নাই বললেই চলে। প্রচার-প্রচারনা মাধ্যমে ত্বীন ফলের চাষ কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারলে অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হবে এবং অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও বিদেশ থেকে ত্বীনের আমদানি নির্ভরতা কমে আসার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।
বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে এই কৃষি কর্মকর্তা আরও জানান, ব্রেস্ট ক্যান্সার রোধে এ ফলটি খুবই উপকারী। এছাড়া নানা রোগ নিরাময়ে বিশেষ করে উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ত্বীন। এটি চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ায়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য ও হাঁপানি রোগ নিরাময়েও সহায়তা করে। মানসিক ক্লান্তি দূর করে। এতে আছে প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম ও ক্যালিসিয়ামসহ নানা ভেষজ গুণ।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla