1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ১২:৫০ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান হলেন শিল্পপতি খলিলুর রহমান বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন ও শরবত বিতরণ করেছে ২১নং জামালখান ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি জুবায়ের আলম আশিক দেশে ২০ হাজার শিশু ডায়াবেটিসে ভুগছে মনজুর আলম প্রতিষ্ঠিত নতুন ৩ টি জামে মসজিদ জুম্মার নামাজ আদায় এর মাধ্যমে শুভ উদ্বোধন তরুণ প্রজন্মকে কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে আসতে হবে –  সিমিন হোসেন পতেঙ্গা চরপাড়ায় অবৈধ অনুমোদহীন আইসক্রীম ফ্যাক্টরীঃ প্লাস্টিক ফ্যাক্টরী লোকেরাই আইসক্রীম ফ্যাক্টরীরও কর্মী গনচিনি, চ্যাকারাইন, লোংরা পানি ও বিষক্ত ক্যামিক্যাল ব্যবহার সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখীতে ‘সবুজ চুড়ি আন্দোলনে ২৫শ তালগাছ রোপন সাংবাদিক ওমর ফারুকের ইন্তেকাল ২৯ শে এপ্রিল নিহতদের স্মরণে সাহিত্য পাঠচক্রের স্মরণ সভা পথচারীদের মাঝে শরবত, পানি ও গামছা বিতরণ করলেন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর 

আদালতে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন, সাক্ষিরা জানেনা

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ শনিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩
  • ২৩০ বার পড়া হয়েছে

আহমদ কবির ও শর্মিলা দাশ

আবদুল করিম(৩৮), বৈরাগ গ্রামের খোশাল তালুকদার বাড়িতে তার বসবাস। পিতার নাম মৃত আবদুর রাজ্জাক।
তার আরও চার ভাই-বোন আছে। তিনি কৃষি কাজ করে জীবন নির্বাহ করেন। তার আরও
একটি পেশা আছে, সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া আর থানা-আদালতে গিয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়ার
অভিযোগ। একই অভিযোগ আছে বড় ভাই আবদুল হালিম প্রকাশ আইয়ুবের বিরুদ্ধে। তিনি বিভিন্ন স্থানে
আলাউদ্দীন শাহ (রহ) মাজারের খাদেমও পরিচয় দিয়ে থাকে। মামলার দালালি, চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিংয়ে প্রায় সময়
তৎপর দেখা দেখা যায় তাকে। এক সময় এই আইয়ুব চট্টগ্রাম পিএবি সড়কের যাত্রীবাহী বাসে হেলপারের চাকরি
করতো। সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে ছাড়াও এই দুই ভাই অপর ভাই বোনের ভিটি-বাড়ি সম্পত্তি দখল করার জন্য
একের পর এক অদ্ভুত মিথ্যা মামলা দিয়ে যাচ্ছে। ২৫ জানুয়ারী বুধবার এ ধরনের একটি হয়রানীমুলক মামলায় জামিন লাভ
করেন অপর বড় ভাই এয়াকুব বোন বুলু বেগম।  আদালতে আত্মসমর্পন করে
জামিন লাভ করেন তারা। এই দুই জনকে সহযোগিতা করছে ইমাম হোসেনসহ এলাকার আরো একটি টাউট
সিন্ডিকেট। থানা পুলিশের সাথে তাদের নানা সখ্যতা আছে বলে অভিযোগে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
আদালত সুত্র জানায়, আবদুল করিম গত বছরের জুলাই মাসের ২০তারিখে আদালতে একটি মামলা করে। বিজ্ঞ
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-১ চট্টগ্রাম এ বাদী হয়ে একটি সিআর মামলা নং-৩৩৪/২২ দায়ের করে।
আসামী করা হয় বড় ভাই বোন বুলু বেগম ও এয়াকুবকে। ৪০৬/৪২০/৩২৩/৫০৬(২) দঃবিঃ আইনে অভিযোগ
আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে। আদালত তার অভিযোগটি আমলে নিয়ে আনোয়ারা থানার ওসির কাছে প্রেরণ করেন।
আদেশে বলা হয় সরেজমিনে তদন্ত করে একটি তথ্যভিত্তিক নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া
হয়। আদালতের মামলাটি হাতে পাওয়ার পর ওসি মির্জা মোহাম্মদ হাছান মামলাটির তদন্তভার ন্যস্ত করেন
এসআই মোঃ নওফেল আলমকে। করিম তার মামলায় মোঃ নুরুজ্জামান,আবদুল হালিম প্রকাশ আইয়ুব,ইমাম
হোসেন, মোহাম্মদ সেলিম, আবুল হোসেন সওদাগর ও সেকান্দর সওদাগরকে সাক্ষি হিসেবে দেখায়। এই ছয়
সাক্ষি স্থানীয় খোশাল তালুকদার বাড়ির বাসিন্দা। মামলায় আবদুল করিম তার পৈত্রিক সম্পত্তি জাল-জালিয়াত করে
আত্মসাত একই বছরের জুন মাসের ২৫ তারিখে তাকে মারধর করে গুরুতর জখম করার অভিযোগ আনা হয়। বুলু
বেগমরা বর্তমানে যেই ভিটিতে বসবাস করছেন সেটিও তাদের পৈত্রিক বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। মামলার
আইও নওফেল আলম একই বছরের ২৭ অক্টোবর মাসে একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন আদালতে।
প্রতিবেদনে বুলু ও এয়াকুবকে অভিযুক্ত করা হয়। ওসি মির্জা মোহাম্মদ হাছান সেটিতে সাক্ষরও করেছেন। চট্টগ্রাম
আদালতের সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট শাহাদৎ হোসেন বলেছেন, আমার মক্কেলকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো
হয়েছে।
দুই আসামী ভাই-বোন যা বলেন : বুলু বেগম ও মোঃ এয়াকুব বালি অভিযোগ করে বলেছেন, অভিযোগ দাখিলের
বহু পরে আমরা বিষয়টি অবগত হওয়ার পর থানায় ছুটে যায় এবং তদন্ত কর্মকর্তার সাথে দেখা করি। তিনি
আমাদেরকে থানা থেকে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নওয়াব আলী মামলাটি
মিথ্যা এবং তা সঠিকভাবে তদন্ত করার জন্য তদন্ত কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেন। একজন জনপ্রতিনিধির অনুরোধ
উপেক্ষা করে কিভাবে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে দুই নিরীহ ভাই-বোনকে অভিযুক্ত করলেন তা নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন
স্থানীয়রা। গুরুতর এই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দেখতে বলেছেন স্থানীয়রা। তদন্তকারী
কর্মকর্তার অভিযোগে দাবী করা হয় বুলু বেগম, এয়াকুব, আবদুল মজিদ মা মাজমা খাতুন সিইউএফএল সড়কের
দক্ষিণে যেই বাড়িতে বসবাস করেন সেটি করিমদের  পৈত্রিক সম্পত্তি। তবে এই সম্পত্তি স্থানীয় নুরুল আমিন ও
হারুনুর রশিদ এর কাছ থেকে ১৯৯৪ ও ১৯৯৫ সালের দিকে রেজিষ্ট্রিযুক্ত চার কবলামুলে মোট ৬ গন্ডা জমি ক্রয়
করেন মা মাজমা খাতুন ও বোন বুলু বেগম। এই জমিকে ভিটিতে রূপান্তর করে মা ভাই বোন নিয়ে সেখানে তারা
বসবাস করছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
দুই সাক্ষি সেকান্দার ও আবুল হোসেন হতবাকঃ
মামলার গুরুত্বপূর্ন এই দুই সাক্ষির সাথে যোগযোগ করা হলে বিস্মিত হয়ে তারা বলেছেন, এই মাত্র আপনার কাছে
মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে পারলাম। করিমের এই মামলায় আমরা কোন ধরনের যোগাযোগ কিংবা থানায় বা
এলাকায় তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে কোন সাক্ষ্য প্রদান করিনি। সেকান্দার সওদাগর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিক্ষিত
ব্যক্তি। আবুল হোসেন সওদাগর সাবেক ইউপি সদস্য মরহুম মোঃ ইসমাইল হোসেনর পুত্র। দুইজনরই গুরুত্ব
রয়েছে এলাকায়। এদিকে স্থানীয়রা জানায়, করিম ও আইয়ুব এই দুই জন দীর্ঘদিন অন্যের হয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য
দেয়া তাদের পেশা ও নেশা। বৃদ্ধা মা ভাই বোনের সম্পত্তি দখল করার জন্য একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে
হয়রানী করে আসছেন তারা। কিন্তুএসআই নওফেল আলম এই দুই জনের কথা শুনে এবং সুবোদ বালকের
মতো একটি মনগড়া প্রতিবেদন লিখে কিভাবে দাখিল করতে পারলেন দুই নিরীহ ভাই-বোনকে অভিযুক্ত করলেন
তা নিয়ে পুলিশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে দাবী স্থানীয়দের। সম্প্রতি এই মামলার সাক্ষি ইমাম হোসেনের হয়ে
এই দুই ভাই মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে স্থানীয় আবদুল আলিম তালুকদারকে জেল খাটিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla