1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ১০:৪০ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান হলেন শিল্পপতি খলিলুর রহমান বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন ও শরবত বিতরণ করেছে ২১নং জামালখান ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি জুবায়ের আলম আশিক দেশে ২০ হাজার শিশু ডায়াবেটিসে ভুগছে মনজুর আলম প্রতিষ্ঠিত নতুন ৩ টি জামে মসজিদ জুম্মার নামাজ আদায় এর মাধ্যমে শুভ উদ্বোধন তরুণ প্রজন্মকে কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে আসতে হবে –  সিমিন হোসেন পতেঙ্গা চরপাড়ায় অবৈধ অনুমোদহীন আইসক্রীম ফ্যাক্টরীঃ প্লাস্টিক ফ্যাক্টরী লোকেরাই আইসক্রীম ফ্যাক্টরীরও কর্মী গনচিনি, চ্যাকারাইন, লোংরা পানি ও বিষক্ত ক্যামিক্যাল ব্যবহার সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখীতে ‘সবুজ চুড়ি আন্দোলনে ২৫শ তালগাছ রোপন সাংবাদিক ওমর ফারুকের ইন্তেকাল ২৯ শে এপ্রিল নিহতদের স্মরণে সাহিত্য পাঠচক্রের স্মরণ সভা পথচারীদের মাঝে শরবত, পানি ও গামছা বিতরণ করলেন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর 

স্বাধীনতার ৫০বছর পর কবরস্থ হলেন মিরসরাইয়ে গণহত্যার শিকার ২১ নারীপুরুষ

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১২২ বার পড়া হয়েছে

স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর এালোপাতাড়ী গুলিতে গন হত্যার শিকার মিরসরাইয়ের ২১ নিরীহ নারী পুরুষের বিক্ষিপ্ত সমাধিস্থল ৫০ বছর পর একত্রিত করে কবরস্থ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ৬ ডিসেম্বর সকাল থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ ও সৈদালী নাগরিক ফোরামের আয়োজনে গণশহীদদের কবর স্থানাস্তর করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, মিরসরাই উপজেলা চেয়াম্যান জসিম উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কবির হোসেন ও গণশহীদদের আত্মীয় স্বজন।
সৈদালী নাগরীক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী জিননাহ বলেন, ১৯৭১ সালে আমার বয়স যখন ১৩ আমি নিজ চোখে দেখেছি এই নির্মম হত্যা কান্ড। ওই হত্যা কান্ডে ২৩ নীরিহ নারী পুরুষকে নির্বীচারে হত্যা করেছে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী। তখন নিহতদের কবর দেয়া কিংবা জানাজা পড়ার সযোগ ছিলনা। যার লাশ যেখানে ছিল সেখানেই মাটি চাপা দেয়া হয়েছিল। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর সরকারী অর্থায়নে এই ২১ গণশহীদদের কবর সৈদালী সিন্ধুরভিটা কবরস্থানে স্থানাস্তর করা হয়েছে। এরা হলেন সৈদালী গ্রামের মোখলেছুর রহমান, আবুল কালাম (হোরা মিয়া) , আমির হোসেন, খোরশেদ আলম, মকছুদ আহম্মদ, নজীর আহমদ, সুলতান আহমদ, কবির উদ্দিন, শেখ আহমদ, আবদুল মালেক, তমিজ উদ্দিন, হাকিম বক্স, বেদন আলী, সামছুল আলম ভূইয়া, নুরুল আলম ভূইয়া, ফকির আহমদ, রহিম বক্স, আব্দুর রশিদ, মফিজুর রহমান, হোসনের জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ বজলুর রহমান। এছাড়া জোবেদা খাতুন ও জায়েদ আলীর কবর পূর্ব থেকেই এই কবরস্থানে ছিল।
মিরসরাই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কবির হোসেন জানান, ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে মিরসরাইয়ের মুক্তিযোদ্ধারা ফেনাপুনি মাজার ও হাজারী দিঘী এলাকায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে। মুক্তিযোদ্ধাদের অতর্কিত আক্রমনে হানাদার বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে তারা যাত্রা বিরতি করে ও বড়তাকিয়া এলাকায় অবস্থান নিয়ে আশপাশের এলাকায় ব্যাপক তান্ডব চালায়। সৈদালী পুরো গ্রাম আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। নির্বিচারে গুলি চালিয়ে নারীপুরুষ হত্যা করে ও যুবতীদের ধর্ষণ করে চলে যায়।
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান জানান, পত্রপত্রিকা ও বিভিন্ন মাধ্যমে সৈদালীতে বিক্ষিপ্ত গণকবর আছে জানার পর বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে গণকবর গুলি একত্রিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করি। এটার জন্য আমাদের জমিও ক্রয় করতে হয়েছে। পরবর্তীতে এখানে আরো কিছু কাজ আছে সেগুলোও আমরা সম্পন্ন করবো।
মিরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন জানান, উপজেলা পরিষদের ৬লক্ষ টাকার আর্থিত সহায়তায় এই গণকবর স্থানান্তর করা হয়েছে। পরবর্তীতে এখানে একটি স্মৃতিস্তম্ব স্থাপনের জন্য একটি প্রস্তাবনা মুক্তিযুদ্ধকালীন সেক্টর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপির মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla