1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১১:১০ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
বিএনপির নেতৃত্বে নতুন কর্মসূচি আসছে : অলি আনোয়ারা সরকারি রাস্তা দখল করে ঘর নির্মাণ, জিম্মি দুইশত পরিবার সীতাকুণ্ডে কুমিরা ঘাট দিয়ে পালাচ্ছে রোহিঙ্গারা, খবর পেয়েও আটক করেনি নৌ পুলিশ ৬ তারিখে বাজেট দেবো, বাস্তবায়নও করবো বায়েজিদে টোকেন বাণিজ্য নিষিদ্ধ অটোরিক্সা অবাধেই চলছে ট্রাফিক পুলিশ চাঁদা পেয়েই নিরব ১১ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য ডবলমুরিং- এ ভুয়া নারী পুলিশ কনস্টেবল আটক বিএসসি মর্যাদা পাওয়া নিয়ে আইইবি’ বিরুপ প্রতিক্রিয়া অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য – আইডিইবি সীতাকুণ্ডে অবৈধ বালু উত্তোলন দিয়ে কে আর অক্সিজেন পুরাতন কুমারী খাল ভরাট করছে একজন মন্ত্রী সমর্থিত আরেকজন এমপি সমর্থিত আর আমি হচ্ছি সাধারণ জনগণ সমর্থিত- তৌহিদ 

সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত খাত ছিল আইনশৃঙ্খলা সংস্থা, পাসপোর্ট অধিদপ্তর ও বিআরটিএ – টিআইবি

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১৬৩ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদনে মোট ১৭ ধরনের সেবা খাতের দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরা হয়। সেবা গ্রহীতাদের অভিজ্ঞতামূলক জরিপে ১৫ হাজার ৪৫৪টি খানা অংশগ্রহণ করে। এই দুর্নীতির সময়কাল ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। দুর্নীতির মধ্যে রয়েছে ঘুষ, জোরপূর্বক অর্থ আদায়, প্রতারণা, দায়িত্বে অবহেলা, স্বজনপ্রীতি, সময়ক্ষেপণসহ বিভিন্ন হয়রানি।

টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি ৭৪ দশমিক ৪ শতাংশ খানা দুর্নীতির শিকার হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার মাধ্যমে। দ্বিতীয় সাড়ে ৭০ শতাংশ খানা দুর্নীতির শিকার হয়েছে পাসপোর্ট খাতে। এরপর রয়েছে বিআরটিএ, বিচারিক সেবা, স্বাস্থ্য, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান এবং ভূমিসেবা।

জরিপে অংশগ্রহণকারী ৭২ দশমিক ১ শতাংশ মনে করেন, ঘুষ না দিলে সেবা পাওয়া যায় না। তাঁরা ঘুষ দেন হয়রানি বা ঝামেলা এড়াতে। খানাপ্রধানের প্রতিবন্ধিতা থাকলে দুর্নীতি ও ঘুষের শিকার হওয়ার প্রবণতা বেশি। ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সীরা কম দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। বেশি দুর্নীতির শিকার হয়েছেন ৫৬ থেকে ৬৫ বছর বয়সীরা।

দুর্নীতির শিকার হলেও অভিযোগ করেননি ৭৯ দশমিক ২২ শতাংশ অংশগ্রহণকারী। এর মধ্যে ৫৫ শতাংশ অভিযোগ করেননি ঝামেলা বা হয়রানির ভয়ে। সব খানেই দুর্নীতি—তাই অভিযোগ করার প্রয়োজনবোধ করেননি ৪৯ শতাংশ অংশগ্রহণকারী। সাড়ে ১৯ শতাংশ অংশগ্রহণকারী দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন। তবে ৭২ শতাংশ অভিযোগের ক্ষেত্রেই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অভিযোগের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এর আগে ২০১৭ সালে সেবা খাতের দুর্নীতি নিয়ে খানা জরিপ করেছিল টিআইবি। সার্বিকভাবে ২০১৭ সালের তুলনায় ২০২১ সালে দুর্নীতির শিকার খানা বেড়েছে। ২০১৭ সালে যা ছিল সাড়ে ৬৬ শতাংশ, ২০২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০১৭ সালে প্রতিটি খানাকে গড়ে ঘুষ দিতে হয়েছিল ৫ হাজার ৯৩০ টাকা। ২০২১ সালে তা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৬৩৬ টাকায়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এই সময়ে দেশে গ্রামাঞ্চলে সেবা খাতে ঘুষের শিকার বেশি হয়েছে। নিম্ন আয়ের লোকজনের ওপর দুর্নীতির বোঝা অপেক্ষাকৃত বেশি। পাসপোর্ট, বিআরটিএ, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের মতো কিছু সেবা খাতে ডিজিটালাইজেশন পুরোপুরি না হওয়ায় দুর্নীতির পরিমাণ বেড়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সার্বিকভাবে সেবা খাতে দুর্নীতি বেড়েছে। সেবা খাতের দুর্নীতির এই চিত্র উদ্বেগজনক। শুধু সেবা খাতের “পেটি করাপশনের (ছোট দুর্নীতি)” মাত্রাই এত ব্যাপক। বড় প্রকল্প, বড় কেনাকাটায় দুর্নীতির মাত্রা আরও বেশি বলেই ধারণা করা যায়। দুর্নীতি প্রতিরোধের ব্যবস্থা সরকারের কাছে রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সেগুলোর প্রয়োগ দেখা যায় না। এই প্রতিবেদন সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ইতিবাচকভাবে নিয়ে দুর্নীতি কমাতে উদ্যোগ নেবে বলে আমরা আশা করি।’

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla