1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১০:১৬ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
তরুণ প্রজন্মকে কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে আসতে হবে –  সিমিন হোসেন পতেঙ্গা চরপাড়ায় অবৈধ অনুমোদহীন আইসক্রীম ফ্যাক্টরীঃ প্লাস্টিক ফ্যাক্টরী লোকেরাই আইসক্রীম ফ্যাক্টরীরও কর্মী গনচিনি, চ্যাকারাইন, লোংরা পানি ও বিষক্ত ক্যামিক্যাল ব্যবহার সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখীতে ‘সবুজ চুড়ি আন্দোলনে ২৫শ তালগাছ রোপন সাংবাদিক ওমর ফারুকের ইন্তেকাল ২৯ শে এপ্রিল নিহতদের স্মরণে সাহিত্য পাঠচক্রের স্মরণ সভা পথচারীদের মাঝে শরবত, পানি ও গামছা বিতরণ করলেন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর  হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর পথচারীদের মধ্যে শান্তির শরবত বিতরণ করলেন চট্টগ্রামে বর্ণিল আয়োজনে বন্দর দিবস উদযাপন তৎক্ষালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে যত মানুষ মরার কথা ছিলো, তত মানুষ মরে নাই স্মরণ সভায় ওয়াসিকা আবারও আসছে তিনদিনের ‘হিট অ্যালার্ট’

জন দূর্ভোগ লাঘবে সিটি কর্পোরেশনকে বলছি

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ শনিবার, ৭ মে, ২০২২
  • ১৩৭ বার পড়া হয়েছে

মাহমুদুল হক আনসারী
নগরীর নালা, নর্দমাগুলো ভরাট হয়ে আছে। পুরো সিটি কর্পোরেশন এলাকার শত শত কিলোমিটার নালা এক প্রকার আবর্জনায় ভরাট। নালাগুলোতে এলাকার বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনায় ভরপুর। নগরী ঘুরলে কোনো নালা পরিস্কার দেখা যাবেনা। সবগুলো নালা, বাসা-বাড়ির উচ্ছিষ্টের ময়লায় রাস্তা এবং নালা একাকার হয়ে আছে। নাগরিকের অসচেতনতা , বাসা-বাড়ির আবর্জনাগুলো যত্রতত্র ফেলার কারণে এসব ময়লা আবর্জনা নালায় গিয়ে পড়ছে। রাস্তার ধূলাবালু ময়লাগুলো নালায় পড়ে জমাট বাঁিধয়েছে। নালার পানিগুলো ঠিকভাবে প্রবাহিত হতে পারছেনা। আবর্জনার কারণে একটু বৃষ্টি হলেই আশপাশের রাস্তায় পানি উঠে পড়ে। পুরো নগরীর একই চিত্র নালাগুলোর। এর মধ্যে রাস্তার খুড়াখুড়ি উন্নয়ন কর্মকান্ডের কর্মতৎপরতা তো আছেই। একদিকে কাজ শেষ হলে অপরদিকে রাস্তার খুড়াখুড়ির কাজ আরম্ভ হয়। নগরীতে কোন উন্নয়ন কর্মই শেষ হচ্ছেনা। অক্সিজেন , কুয়েশ সংযোগ সড়কের কাজ শুরু হয়েছে মার্চের দিকে। রাস্তার কিছু অংশ কংকর, ইট খুলে ফেলা হয়েছে। কিন্তু রাস্তার কাজ ঠিকভাবে চলছেনা। গণপরিবহন , প্রাইভেট গাড়ি নিয়ে যাতায়াত এ এলাকায় জনগণকে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহতে হচ্ছে। রাস্তার উন্নয়নের জন্য রাস্তাটি খুলে ফেলা হলেও সঠিকভাবে যথাসময়ে উন্নয়নের কাজ না হওয়ার কারণে স্থানীয় হাজার হাজার নাগরিকের দৈনন্দিন জীবনে ভোগান্তি নিত্যদিনের সাথী। রাস্তার কারণে অনেক গণপরিবহন দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। গাড়ির বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। জনগণ রাস্তায় চলতে গিয়ে নানাভাবে দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। স্থানীয় জনগণ দ্রæততার সহিত উন্নয়ন কর্মকান্ড সমাপ্ত করার জন্য মানব বন্ধন সহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে রাস্তার কাজ দ্রুততার সাথে সমাপ্ত করার জন্য দাবি জানিয়ে আসছে। বর্ষা শুরু হয়েছে । বহদ্দারহাট মুরাদপুর, ২ নং গেইট এলাকার রাস্তার উত্তর পাশের নালাটির কাজ চললেও সমাপ্ত অনেক সময় লাগবে। বর্ষার এ মৌসুমে হয়তো এ নালাটির কাজ সমাপ্ত করা সম্ভব হবেনা। যার ফলে দেখা যাবে এসব এলাকায় দোকান-পাট মার্কেট বাসাবাড়িতে পানি উঠবে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ , সিটি কর্পোরেশন নগরীর এসব নালা নর্দমা নিয়ে কি ভাবছে জানিনা। যেভাবে অপরিকল্পিতভাবে নালাগুলো অরক্ষিত রয়েছে, ভরাট হয়ে আছে, যার ফলে বর্ষাতে সারা শহর পানিতে ভাসবে। সিটি কর্পোরেশন নালাগুলো কেন পরিস্কারের উদ্যোগ নিচ্ছেনা বুঝতে পারছিনা। কিছু কিছু এলাকায় দেখা যায় নালা থেকে ময়লাগুলো উঠিয়ে রাস্তায় রাখা হয়। দিনের পর দিন দেখা যায় ময়লাগুলো রাস্তায় পড়ে আছে।
স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রশাসনের কি নির্দেশনা পালন করে আমার বুঝে আসেনা। বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের বড় বড় বাজার মার্কেট সংলগ্ন সবগুলো নালা আবর্জনায় ভরপুর। বর্ষার এ মৌসুমে আগেভাগে নালাগুলো পরিস্কার করা না গেলে একটু বৃষ্টিতেই সারা শহর পানিতে ডুববে। ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মুখে শুধু উন্নয়ন আর অগ্রগতির কথায় শুনা যায়। সিটি মেয়র , সিডিএ চেয়ারম্যান যে কোন অনুষ্ঠানে নগরীর নানা উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। সেটা ভাল কথা, কিন্তু নালাগুলোর ব্যাপারে কোনো বক্তব্য তাদের মুখে শুনা যায়না। আবর্জনা ময়লার কারণে পুরো নগরীতে লাখ লাখ মানুষ মশা মাছির উপদ্রবে দিন রাত অস্বস্তির মধ্যে কাটছে। যেমন মশা তেমনি মাছির উপদ্রব। ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে অনেক এলাকাতে চলাফেরা করাও দুস্কর। সিটি মেয়রের উচিত বর্ষা আসার পূর্বেই নগরীর শত শত কিলোমিটার নালাগুলো অল্প সময়ের মধ্যে পরিস্কার করা। উন্নয়ন কর্মকান্ডগুলো যারাই করুক না কেন , সংস্থাগুলোকে অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। বার বার উন্নয়ন কর্মকান্ডের সময় এবং অর্থ বৃদ্ধি করা জনগণ ভালোভাবে দেখছেনা। স্বল্প সময়ের মধ্যে মশা মাছি নিধনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে। যেভাবে সিটি কর্পোরেশন এলাকার বাসা-বাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ট্যাক্স গ্রহণ করতে তৎপর অনুরুপ নাগরিক সেবা জনগণের জন্য অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। নগরবাসী সিটি কর্পোরেশন এবং সিডিএর সমস্ত নিয়মনীতি আইন কানুন মেনে তাদের জীবন যাপন করছে। কেউ যদি কর্পোরেশনের আইন লঙ্ঘন করে তাহলে তাকে জরিমানা গুণতে হয়। কর্পোরেশন তাদের সমস্ত আইন ও ধারা নাগরিকের ওপর চাপিয়ে দিয়ে কর্পোরেশনের সব অধিকার আদায় করছে। অথচ এসব স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্ব নাগরিকের অধিকার সঠিকভাবে প্রদান করা। কিন্তু তা হচ্ছেনা। সামনে এসএসসি ও সমমানের দাখিল পরীক্ষা শুরু হবে। এজন্য লাখ লাখ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে লেখাপড়া করে পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হচ্ছে।
কিন্তু কীভাবে ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবে , মশার উপদ্রবে কোন ঘর বাসায় বা অফিসে কাজ করা সম্ভব হয়না। মসজিদ , মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মশার যন্ত্রণায় ছাত্র-শিক্ষক সকলেই অতিষ্ঠ। কি করছে সিটি কর্পোরেশন? কি করছে সেবা সংস্থার কর্মকর্তা কর্মচারীরা ? এসব জনগণের প্রশ্ন। নালা-নর্দমার ময়লা আবর্জনা থেকে এসব মশা-মাছির জন্ম। এসব অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা না হলে নানা ধরনের রোগ ব্যাধিতে ছাত্র-ছাত্রী বয়স্ক মানুষগুলোর নানা রোগে আক্রান্ত হবে। জনগণ মধুর মধুর মিষ্টি কথায় বিশ্বাসী নন। চেয়ারে বসে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের বলব অফিস কেন্দ্রিক সময় অতিবাহিত না করে নগরীতে ঘুরে ঘুরে দায়িত্ব পালন করুন। রাস্তা-ঘাট , বাজার, নালা, মার্কেটসহ জনগণের দুর্ভোগের চিত্র স্বচক্ষে পর্যবেক্ষণ করুন। তারপর বুঝবেন আপনার অধিনস্থ নগরবাসী কেমন আছে? জনগণ কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী । তাই আগামী বর্ষাতে জনগনকে যেন বৃষ্টি এবং নালার পানির মধ্যে ডুবতে না হয় সে ব্যবস্থা এখনই নেয়া উচিত। জনগণকে নাগরিক জীবনের দুর্ভোগ থেকে বাঁচাতে অল্প সময়ের মধ্যে নালাগুলো পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করার ব্যবস্থা নিন। মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে বাঁচাতে ঔষুধ ছিটানোর ব্যবস্থা গ্রহন করুন। প্রতিটি ওয়ার্ড এবং এর মেম্বারদের বর্ষার পূর্বেই এসব কাজ শেষ করার আদেশ প্রদান করুন। তবেই নগরবাসী স্বস্তি পেতে পারে।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla