1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০১:২৫ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
বিএনপির নেতৃত্বে নতুন কর্মসূচি আসছে : অলি আনোয়ারা সরকারি রাস্তা দখল করে ঘর নির্মাণ, জিম্মি দুইশত পরিবার সীতাকুণ্ডে কুমিরা ঘাট দিয়ে পালাচ্ছে রোহিঙ্গারা, খবর পেয়েও আটক করেনি নৌ পুলিশ ৬ তারিখে বাজেট দেবো, বাস্তবায়নও করবো বায়েজিদে টোকেন বাণিজ্য নিষিদ্ধ অটোরিক্সা অবাধেই চলছে ট্রাফিক পুলিশ চাঁদা পেয়েই নিরব ১১ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য ডবলমুরিং- এ ভুয়া নারী পুলিশ কনস্টেবল আটক বিএসসি মর্যাদা পাওয়া নিয়ে আইইবি’ বিরুপ প্রতিক্রিয়া অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য – আইডিইবি সীতাকুণ্ডে অবৈধ বালু উত্তোলন দিয়ে কে আর অক্সিজেন পুরাতন কুমারী খাল ভরাট করছে একজন মন্ত্রী সমর্থিত আরেকজন এমপি সমর্থিত আর আমি হচ্ছি সাধারণ জনগণ সমর্থিত- তৌহিদ 

ইয়াবার রুটে আইস আনছে রোহিঙ্গারা, আনোয়ারায় ইয়াবা খালাস

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ২২৭ বার পড়া হয়েছে

 

টেকনাফ ও আনোয়ারা প্রতিনিধি

 ইয়াবা ব্যবসায়ীরাই রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে নতুন মাদক আইস নিয়ে আসছে দেশে। এ মাদকে যুক্ত হচ্ছে বিত্তশালীরাও। ধনাঢ্য পরিবারের বিদেশ থেকে এমবিএ ও বিবিএ করে আসা সন্তানরাও রাজধানীর অভিজাত এলাকায় করছেন মাদকের কারবার। তারা সেবনের পাশাপাশি ভয়ানক মাদক আইস কারবারের সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন যা দেশের জন্য রীতিমতো বিস্ময়কর দুঃসংবাদ ।

২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর বুধবার ও বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশান, বনানী, রমনা ও ভাটারা এলাকায় কয়েক দফা ধারাবাহিক অভিযানে ওই ৫ আইস ব্যবসায়ী ও সেবনকারীকে গ্রেফতার করে প্রশাসন।

 আটক ব্যাক্তিরা হলেন-জাকারিয়া আহমেদ অমন, তারেক আহম্মেদ, সাদ্দাম হোসেন, শহীদুল ইসলাম খান ও জসিম উদ্দীন। তাদের কাছ থেকে ৫৬০ ক্রিস্টাল মেথ (আইস), ১ হাজার ২০০ পিস ইয়াবা ও ২টি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত আইস ও ইয়াবার বাজার মূল্য কোটি টাকা বলে জানা গেছে।

২৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ডিএনসির ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের (উত্তর) অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

 জানা গেছে,  গত ২১ আগস্ট প্রায় আধা কেজি আইসসহ বনানী-উত্তরা থেকে ১০ সদস্যের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন গোয়েন্দা কৌশল ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে গুলশান, ভাটারা, কুড়িল, রমনা এলাকায় আইসের আরও একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক শনাক্ত করা হয়। রমনা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জাকারিয়া আহমেদ অমনকে পাঁচ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইসসহ গ্রেফতার করা হয়। জাকারিয়ার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গুলশান বারিধারা দূতাবাস এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তারেক আহম্মেদকে পাঁচ গ্রাম আইস ও একশ পিস ইয়াবা ও একটি প্রাইভেটকারসহ গ্রেফতার করা হয়। জাকারিয়া ও তারেকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সাদ্দাম হোসেনকে ৯০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইচ ও চারশ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়।

পরবর্তীতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে শহীদুল ইসলাম খানকে একই এলাকা থেকে দুইশ গ্রাম আইস ও ৫০০ পিস ইয়াবা, একটি প্রাইভেটকারসহ গ্রেফতার করা হয়। তাকে তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ভাটারার জোয়ার সাহারা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জসিম উদ্দিনকে ২৬০ গ্রাম আইস ও দুইশ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করা হয়।

মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকায় গডফাদার কতজন? সবাইকে গ্রেফতার করা হচ্ছেনা কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুর রহমান বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তালিকাটি তৈরি করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে গডফাদার কতজন সেটি বলাটা কঠিন। তবে, গডফাদাররা মাদকের পেছনে টাকা বিনিয়োগ করলেও তাদের কাছে কোনো মাদক থাকেনা। ফলে আইন অনুযায়ী তাদেরকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়না।

লাভ বেশি হওয়ায় পুরোনো সব ইয়াবা ব্যবসায়ী আইস ব্যবসার দিকে ঝুঁকছে জানিয়ে ফজলুর রহমান বলেন, মিয়ানমার থেকেই আইসের চালান প্রবেশ করছে। যে রুট দিয়ে ইয়াবা আসে, একই রুট দিয়ে আনা হচ্ছে আইস। আইস আনতে ব্যবহার করা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের। ইয়াবার চেয়ে আইসের দাম বেশি হওয়ায়, রোহিঙ্গাদের আইসের চালান আনতে বেশি টাকা দেওয়া হচ্ছে। এতে উৎসাহী হয়ে রাতের আধারে আইসের চালান দেশে আনছে রোহিঙ্গারা। এছাড়াও নাফ নদী দিয়েও আসছে চালান। গভীর সমুদ্রে হাতবদল করে এসব চালান দেশে প্রবেশ করছে। পরে হাত বদল হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে রাজধানীসহ সারাদেশে। রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় আইসের সিন্ডিকেট গড়ে উঠলেও ইয়াবার মতো বিস্তার ঘটেনি বলে দাবি করেছেন ফজলুর রহমান।

গ্রেফতার ৫ জনই ধনাঢ্য পরিবারের

ডিএনসি কর্মকর্তারা বলেন, গ্রেফতার ৫ জনই ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান। এদের মধ্যে জাকারিয়া রহমান অমন অষ্ট্রেলিয়া থেকে বিবিএ করে দেশে ফেরেন। তার দুই বোন বর্তমানে বিদেশে বিবিএ পড়ালেখা করছেন। তারেক ইংল্যান্ড থেকে বিবিএ শেষ করেছেন। তার বাবা সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন। বারিধারায় তাদের নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। সাদ্দাম নিজে সিএনএফ ব্যবসায়ী। তার বাবাও দীর্ঘদিন ধরে সিএনএফ ব্যবসা করে আসছেন।

শহীদুলের বাবা ভালো মানের একজন ব্যবসায়ী। আর জসিমের নিজের দুইটি ৬ তলা বাড়ি ও একটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। পরিচিত এক লোকের মাধ্যমে আইস কারবারে জড়িয়ে পড়েন জসিম। নিজের বাড়ি ও রেস্টুরেন্ট থাকলেও জসিম ভেবেছিলেন আইসের একটি বড় চালান সাপ্লাই দিতে পারলে তিনি একটি গাড়ি কিনতে পারবেন। শুধু জসিমই নয়, গ্রেফতার কারো আর্থিক সঙ্কট না থাকলেও সবাই লোভে পড়ে আইস ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। আগেও আইস সিন্ডিকেটের যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারাও ধনাঢ্য পরিবারের বলে জানিয়েছিলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

                                                                                                                           আনোয়ারায় ইয়াবা খালাস 

আনোয়ারার উপকূল ইউনিয়ন রায়পুর ও বারশতে চলিত সপ্তাহে বিপুল ইয়াবা খালাস হয়েছে লোকমুখে বলাবলি হচ্ছে। গহিরা, রায়পু্‌র, পরুয়াপাড়া ও পারকীর কয়েকটি বাড়ীতে এসব ইয়াবা রয়েছে বলে স্থানীয় একটি সুত্র দাবী করছে। স্থানীয় বলছেন ,অতিতের যে কোন সময়ের চেয়ে এবারের ইয়াবা বেশী খালাস হয়েছে বলে দাবী করছে ইয়াবা বিদ্বেষী লোকজন।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla