1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:৪৪ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
বিএনপির নেতৃত্বে নতুন কর্মসূচি আসছে : অলি আনোয়ারা সরকারি রাস্তা দখল করে ঘর নির্মাণ, জিম্মি দুইশত পরিবার সীতাকুণ্ডে কুমিরা ঘাট দিয়ে পালাচ্ছে রোহিঙ্গারা, খবর পেয়েও আটক করেনি নৌ পুলিশ ৬ তারিখে বাজেট দেবো, বাস্তবায়নও করবো বায়েজিদে টোকেন বাণিজ্য নিষিদ্ধ অটোরিক্সা অবাধেই চলছে ট্রাফিক পুলিশ চাঁদা পেয়েই নিরব ১১ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য ডবলমুরিং- এ ভুয়া নারী পুলিশ কনস্টেবল আটক বিএসসি মর্যাদা পাওয়া নিয়ে আইইবি’ বিরুপ প্রতিক্রিয়া অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য – আইডিইবি সীতাকুণ্ডে অবৈধ বালু উত্তোলন দিয়ে কে আর অক্সিজেন পুরাতন কুমারী খাল ভরাট করছে একজন মন্ত্রী সমর্থিত আরেকজন এমপি সমর্থিত আর আমি হচ্ছি সাধারণ জনগণ সমর্থিত- তৌহিদ 

আ. লীগ নেতা নোবেল হত্যাকারী এনাম ডাকাত এখন চমেক হাসপাতালে ভিআইপি !

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ৪৪৮ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজার প্রতিনিধি, ২ সেপ্টেম্বর

চট্টগ্রাম ওমরগণি এমইএস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সমাজ কল্যাণ সম্পাদক,কলেজ ছাত্র লীগ নেতা, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ নেতা ও চকরিয়া উপজেলার পূর্ব বড়ভেওলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নাছির উদ্দিন নোবেল হত্যা কান্ডের বিচার নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছে পরিবার।
মামলার বাদী ও নিহত নোবেলের শিশু সন্তানের উপর হামলা, হত্যার চেস্টা, আসামীদের গ্রেফতার না করা, বাদী পরিবারকে হুমকি ও নোবেল হত্যা কান্ডের আলামত নষ্ট করা চেস্টাসহ বিভিন্ন কারণে পুরো পরিবার এখন চরম উদ্বেগ, উৎকন্ঠা আর আতংকে দিনাতিপাত করছে বলে জানা গেছে।
গত ১৭ আগষ্ট দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে এলাকার আত্মীয় স্বজন ও তার সমর্থনকারী জনসাধারণের সাথে কৌশল বিনিময় করার জন্য পূর্ব বড়ভেওলা ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড মুন্সিঘোনা ও মুবিন পাড়া স্টেশনের টেক নামক স্থানে যান। সেখানে প্রতিদ্বন্ধি চেয়ারম্যান প্রার্থী খলিল উল্লাহ চৌধুরী ও আলা উদ্দিনের নির্দেশে প্রকাশ্যে চলাচলের রাস্তার উপর ৬/ ৭টি গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটে। এসময় নাছির উদ্দিন নোবেলের আত্মীয় স্বজন ও সমর্থকসহ আরো অন্তত ১২ জন গুলিবিদ্ধ হন।
এঘটনায় পূর্ব বড়ভেওলা ইউনিয়নের ৩নাম্বার ওয়ার্ড সিকদার পাড়া এলাকার মৃত মোহাম্মদ খালেদের ছেলে ও নিহত নাছির উদ্দিন নোবেলের ছোট ভাই মামুনুর রশীদ (৩১) বাদী হয়ে (চকরিয়া থানার মামলা নং-২৭, জিআর-৩৪২. তাং-১৯/৮/২০২১. ১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০২/৩০৭/৫০৬/১১৪) মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ১০/১২ জনকে অজ্ঞানামা আসামী করা হয়।
মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় চকরিয়া থানার ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মো. মাহতাবুর রহমানকে। তিনি তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে ঘটনার পর একবার এলাকা পরির্দশন করে দুটি খালি গুলির খোসা উদ্ধার করনে।
এদিকে, থানায় মামলা হলেও আসামীদেরকে গ্রেফতারে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা পরিলক্ষিত হওয়ায় ১৯ আগষ্ট এলাকাবাসী অভিযান চালিয়ে নাছির উদ্দিন নোবেলকে ৬টি গুলি বর্ষণকারী ভাড়াটে খুনি এনামুল হক এনাম ডাকাতসহ ২ জনকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। একইদিন চট্টগ্রাম থেকেও হত্যা মামলায় জড়িত ৩ আসামীকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে জনতা।
আসামীদের আটকের পর তাদের রিমান্ডে এনে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের দাবী এলাকাবাসী মিটিং মিছিল, মানববন্ধন কর্মসূচি অব্যাহত রাখে। তবে পুলিশ এ পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেফতারে কোন অভিযান চালাননি। এমনকি কোন আসামীকেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে গ্রেফতার করেনি।
এদিকে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশিক সৈনিক আওয়ামী লীগ নেতা নাছির উদ্দিন নোবেলকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যাকারী ভাড়াটে খুনি এনামুল হক প্রকাশ এনাম ডাকাতকে কারাগারে না দিয়ে, রিমান্ডে না এনে রোগী সাজিয়ে কৌশলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাজারহালে রাখা হয়েছে। এতে পুলিশের ভুমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতাল বেডে খুশিতে বসে আছে ভাড়াটে খুনি এনাম। এই খুনির হাতে হ্যান্ডকাপও নেই, পুলিশ প্রহরায়ও রাখা হয়নি তাকে।
তবে হাসপাতালের ফ্যান ছাড়াও তাকে ব্যক্তিগত ফ্যান, বেডশীট, নতুন কাপড় ব্যবহারসহ হোটেল থেকে দামী খাবার তাকে সরবরাহ দেয়া হচ্ছে। তাকে সব সময় দেখা গেছে ফুরফুরে মেজাজে এবং বেশ হাসিখুশিতে।
তাহলে একজন বঙ্গবন্ধুর লড়াকু সৈনিককে হত্যাকারীর এই কি পুরস্কার? এমনটাই মনে করছে নিহত নাছির উদ্দিন নোবেলের রাজনৈতিক সহযোদ্ধারা।
তারা বলেন, খুনি এনামকে রিমান্ডে এনে হত্যায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হোক এবং হত্যা কান্ডের পুরো ঘটনা উদঘাটন করা হোক।
নাছির উদ্দিন নোবেল হত্যা মামলার আসামীরা হলেন, কক্সবাজার জেলার
চকরিয়া উপজেলার পূর্ব বড়ভেওলা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড (বর্তমানে চকরিয়া পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড বাইতুশ শরফ রোড) এলাকার ছালেহ আহমদের ছেলে খলিল উল্লাহ চৌধুরী (৩৭),
পুর্ব বড়ভেওলা ইউনিয়নের ৯ নাম্বার ওয়ার্ড নয়াপাড়া গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে আলাউদ্দিন (৩৮), ৪ নাম্বার ওয়ার্ড দ্বিয়ারচর এলাকা নুরুল আমিনের ছেলে এনামুল হক (৪৪), ২ নাম্বার ওয়ার্ড নুরুদ্দিন বাপের পাড়া এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩০), ৩ নাম্বার ওয়ার্ড সিকদারপাড়ার গ্রামের মহি উদ্দিনের ছেলে আরিফুল ইসলাম (৩০), ৪ নাম্বার ওয়ার্ড দ্বিয়ারচর এলাকা নুরুল আমিনের ছেলে মোহাম্মদ শামীম (৩৭), ৪ নাম্বার ওয়ার্ড ফজুমিয়াজির চর এলাকার গুলু মিয়া ( আকতার আহমেদ) ছেলে রুবেল (২৫), বিএমচর ইউনিয়নের ৭নাম্বার ওয়ার্ড দ্বিয়ারচর এলাকার মো. ইউনুচের ছেলে নুরুল আমিন কালাসোনা (৩০), রওশন আলী পাড়া এলাকার ফকির মোহাম্মদের ছেলে আমির হোসেন (৫০), বিএমচর ইউনিয়নের ৭নাম্বার ওয়ার্ড বেতুয়ার কুল এলাকার মৃত বশির আহম্মদ প্রকাশ দেলোয়ার হোসেনের ছেলে রিয়াদুল ইসলাম মুরাদ (২৫), সাহার বিল ইউনিয়নের উমখালী রামপুর এলাকার করিম দাদ এর ছেলে লুৎফুর রহমান (৪৫), পুর্ব বড়ভেওলা ইউনিয়নের ৬নাম্বার ওয়ার্ড ব্রাহ্মণপাড়া এলাকার মৃত গোলাম সোবহানের ছেলে মো. উসমান গণি (৪২), বিএমচর ইউনিয়নের ৭নাম্বার ওয়ার্ড দ্বিয়ারচর গ্রামের মৃত নাদির হোসনের ছেলে হেলাল উদ্দিন (৩৮), ৪নাম্বার ওয়ার্ড চরপাড়া এলাকার দুধু মিয়ার ছেলে মো. কাশেম (৩৮), ৩ নাম্বার ওয়ার্ড হাজী রওশন আলী পাড়া এলাকার আমির হোসনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪২), আমির হোসনের ছেলে জাহেদুল ইসলাম (৩৫), বিএমচর ইউনিয়নের ৭নাম্বার ওয়ার্ড দ্বিয়ারচর এলাকার জালাল উদ্দীনের ছেলে ছালা উদ্দীন (২৫), ৩নাম্বার ওয়ার্ড সিকদার পাড়া এলাকার মৃত আবদুল হকের ছেলে মো. ভুট্টো (৪২), ৩নাম্বার ওয়ার্ড রওশন আলী পাড়া এলাকার ফকির মোহাম্মদের ছেলল নাদির হোসন (৫৩), ২নাম্বার ওয়ার্ড সিকদারপাড়ার মৃত শেখ ছৈয়দের ছেলে মিজবাহ উদ্দীন (৪৫) সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন। এজাহারনামীয় কোন আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করেনি। তবে আটক ৫ জনকে জনতা আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে।
মামলার বাদী মামুনুর রশীদ বলেন, আমার ভাই নোবেলকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যাকারী এজাহারভুক্ত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের বিষয়েও চাকরিয়া থানা পুলিশের ভুৃমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। তারা আসামী গ্রেফতারের বিষয়ে পুরোপুরি নিষ্ক্রিয়।
তিনি বলেন, আমার ভাই নোবেলকে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করার পরদিনই আমাকে এবং আমার ভাতিজা নাবিল ( নিহত নোবেলের শিশু সন্তান নাবিল) ও খালাত ভাই লিটনের উপর হামলা চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। সেই সময়ও পুলিশ কোন সহযোগীতায় এগিয়ে আসেনি। তিনি ভাই হত্যা মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব র্যাব অথবা যেকোন তদন্তকারী সংস্থার কাছে ন্যস্ত করার জন্য উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন জানান।
মামলার বাদী নোবেলের ছোট ভাই মামুন আরও বলেন, আমার ভাই হত্যার আলামতও নষ্ট করার জন্য খুনি চক্র উঠে পড়ে লেগেছে। তারা যে কোন ভাবে হত্যার আলামত নষ্ট করার ষড়যন্ত্রে মেতেছেন।
নির্মমভাবে আমার ভাই নাছির উদ্দিন নোবেল নিহত হওয়ার পর থেকে আমরা পুরো পরিবার নিরাপত্তা নিয়ে আতংকিত ও ভাই হত্যার ন্যায় বিচার প্রাপ্তি নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছি।
এব্যাপারে মানলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মাহতাবুর রহমান বলেন, আসামীদের গ্রেফতার চেষ্টা চলছে। মামলা তদন্তাধীন।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla