1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ১০:১১ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান হলেন শিল্পপতি খলিলুর রহমান বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন ও শরবত বিতরণ করেছে ২১নং জামালখান ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি জুবায়ের আলম আশিক দেশে ২০ হাজার শিশু ডায়াবেটিসে ভুগছে মনজুর আলম প্রতিষ্ঠিত নতুন ৩ টি জামে মসজিদ জুম্মার নামাজ আদায় এর মাধ্যমে শুভ উদ্বোধন তরুণ প্রজন্মকে কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে আসতে হবে –  সিমিন হোসেন পতেঙ্গা চরপাড়ায় অবৈধ অনুমোদহীন আইসক্রীম ফ্যাক্টরীঃ প্লাস্টিক ফ্যাক্টরী লোকেরাই আইসক্রীম ফ্যাক্টরীরও কর্মী গনচিনি, চ্যাকারাইন, লোংরা পানি ও বিষক্ত ক্যামিক্যাল ব্যবহার সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখীতে ‘সবুজ চুড়ি আন্দোলনে ২৫শ তালগাছ রোপন সাংবাদিক ওমর ফারুকের ইন্তেকাল ২৯ শে এপ্রিল নিহতদের স্মরণে সাহিত্য পাঠচক্রের স্মরণ সভা পথচারীদের মাঝে শরবত, পানি ও গামছা বিতরণ করলেন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর 

আনোয়ারার সেই নবাব খান গ্রেফতার

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ, ২০২২
  • ৪১৪ বার পড়া হয়েছে

৬১৯ কোটি টাকার সার কেলেঙ্কারি মামলার প্রধান আসামি, বহুল আলোচিত নবাব অ্যান্ড কোম্পানি নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মোহাম্মদ নবাব খান অবশেষে গ্রেপ্তার হয়েছেন।১মার্চ মঙ্গলবার রাতে ডিএমপির শাহবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা গেছে, জেল জীবন এড়াতে তিনি নিজের বদলে, প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী আপন ভাগিনা ফাহিমকে নবাব খান বানিয়ে আদালতে পাঠিয়েছিলেন। কিন্ত  তার শেষ রক্ষা হয়নি। মামা ভাগিনা দুজনেই আসল ও নকল নবাব হিসেবে গ্রেপ্তার হলেন।
ভাগিনা ফাহিম জেলে যাবার ১০ দিনের মাথায় আসল নবাব ধরা পড়েছেন কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) এর হাতে। গ্রেপ্তারের পর তাকে মতিঝিল থানায় হস্তান্তর করা হলে থানার পুলিশ আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠায়।
অভিযোগ রয়েছে যে, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) এর ইউরিয়া সার পরিবহন ঠিকাদার নবাব খান আত্মসাৎ করেছেন ৬১৯ কোটি টাকা। এ ব্যাপারে বিসিআইসি মামলা করার পর আদালতে নিজের পরিচয়ে ভাগিনাকে উপস্থাপন করে জামিন নেয়ার চেষ্টা করেন তিনি।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি মেসার্স নবাব অ্যান্ড কোম্পানির মালিক নবাব খান আদালতে আত্মসমর্পণ করতে না এসে তার পরিচয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে পাঠান কর্মচারী ফাহিম আহম্মেদকে।

মঙ্গলবার শুনানির সময় আদালতে আত্মসমর্পণের জন্য উপস্থিত মামলার আসামিকে নিয়ে সন্দেহ হলে মুখ্য মহানগর হাকিম রেজাউল করিম চৌধুরী তার নাম-ঠিকানা জিজ্ঞেস করেন। আসামি ঠিকভাবে উত্তর দিতে না পারায় বিচারক পরিচয়পত্র দেখাতে বলেন। ওই ব্যক্তি সেটাও দেখাতে ব্যর্থ হন।

আসামির ‘অসংলগ্ন’ কথাবার্তায় বিচারক তাকে ‘ভুয়া’ নবাব খান হিসেবে শনাক্ত করেন এবং আদালত সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে যাচাই করার নির্দেশ দেন। পরে ‘ভুয়া নবাব খান’হিসেবে ফাহিমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়। এ ঘটনায় আরেকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের নাজির মো. রেজোয়ান খন্দকার।

ফাহিম চট্টগ্রামের কর্ণফুলি থানার উত্তর বন্দর আনেয়ারা এলাকার ফিরোজ আহম্মেদের ছেলে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২১ সালে কাতার ও সৌদি আরব থেকে ১ লাখ ৮৩ হাজার ১৫৬ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কেনে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি)। ওই সার গুদামে পৌঁছে দেয়ার জন্য নবাব অ্যান্ড কোম্পানির সঙ্গে সাতটি চুক্তি করে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটি।

চুক্তি অনুযায়ী, বন্দরে আসার ৫০ দিনের মধ্যে বিসিআইসির গুদামে সার বুঝিয়ে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই কোম্পানি ৬৬ হাজার ৮৭৪ মেট্রিক টন সার বুঝিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়।

বার বার তাগাদা দেয়ার পরও ঠিকাদার সারা পৌঁছে না দেয়ায় ‘রাষ্ট্রের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং কৃষক সারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে’ অভিযোগ করে এই মামলা করা হয়।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla