1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
তরুণ প্রজন্মকে কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে আসতে হবে –  সিমিন হোসেন পতেঙ্গা চরপাড়ায় অবৈধ অনুমোদহীন আইসক্রীম ফ্যাক্টরীঃ প্লাস্টিক ফ্যাক্টরী লোকেরাই আইসক্রীম ফ্যাক্টরীরও কর্মী গনচিনি, চ্যাকারাইন, লোংরা পানি ও বিষক্ত ক্যামিক্যাল ব্যবহার সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখীতে ‘সবুজ চুড়ি আন্দোলনে ২৫শ তালগাছ রোপন সাংবাদিক ওমর ফারুকের ইন্তেকাল ২৯ শে এপ্রিল নিহতদের স্মরণে সাহিত্য পাঠচক্রের স্মরণ সভা পথচারীদের মাঝে শরবত, পানি ও গামছা বিতরণ করলেন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর  হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর পথচারীদের মধ্যে শান্তির শরবত বিতরণ করলেন চট্টগ্রামে বর্ণিল আয়োজনে বন্দর দিবস উদযাপন তৎক্ষালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে যত মানুষ মরার কথা ছিলো, তত মানুষ মরে নাই স্মরণ সভায় ওয়াসিকা আবারও আসছে তিনদিনের ‘হিট অ্যালার্ট’

শরীফ থেকে শরীফা কি উদ্দেশ্যে বিতর্ক

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ রবিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৪
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

মাহমুদুল হক আনসারী
৭ম শ্রেণীর শরীফ থেকে শরীফার গল্প নিয়ে চলছে বাংলাদেশের মধ্যে আলোচনা আর সমালোচনা। আমাদের অনেকেই এই শরীফ থেকে শরীফা গল্পটি দ্রুত পড়েছেন এবং জেনেছেন। আমাদের সন্তানদেরকে কি উদ্দেশ্যে একটি গল্প বানিয়ে কি শিখানোর উদ্দেশ্যে এই গল্পটি তৈরি করা হয়েছে তা কমবেশি সকলেই ইতিমধ্যে বুঝতে সক্ষম হয়েছে। শরীফ একটি সম্মানিত শব্দ। নামেই বুঝা যায় পুরুষ। আর শরীফা হচ্ছে মহিলা অর্থবোধক নাম। শরীফ থেকে শরীফা একজন পুরুষ কিভাবে নারীতে পরিণত হয় সেই গল্পটি এখানে সাজানো হয়েছে। গল্পের উদ্দেশ্য বর্তমান ভবিষ্যত আমাদের কচি কাচার নির্বোধ সন্তানদেরকে পাঠ্যবইয়ের মাধ্যমে শেখানোর জন্য একটি প্রকল্প। ইতিপূর্বেও জাতীয় শিক্ষা কার্যক্রমে পাঠ্যপুস্তক সিলেবাস নিয়ে ব্যাপকভাবে সমালোচনা হয়েছে। সেই সমালোচনা শেষ হতে না হতেই আরেকটি বিষয় শরীফ থেকে শরীফা বিতর্কে চলে আসছে। ধর্মকে নিয়ে কটুক্তি বিদ্রুপ এক ধর্মের বিষয় অন্য ধর্মের মধ্যে সংযুক্তি। ধর্মে ধর্মে একটি বিদ্বেষ তৈরি সিলেবাসের মধ্যে বিতর্কের মধ্যে উদ্ভাবন।
মুসলিম ধর্মের সিলেবাসে ইসলামী শিক্ষায় হিন্দু ধর্মের মূর্তির ছবি সংযোজন ইসলামী শিক্ষার বইয়ের মধ্যে হারমোনিয়াম গান বাজনার ছবি সংযোজন ইত্যাদি বিষয় ব্যাপকভাবে আলোচনার আর সমালোচনার ঝড় তুলেছে জনগণের মধ্যে। ২০২৩ সালের এমন সময়ে বানর থেকে মানুষের সৃষ্টি সেই ডারউইনের গল্প নিয়ে ঝড় উঠছিল টোটাল মানব সৃষ্টির মধ্যেই। সেই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের নতুন পাঠ্যসূচীতে ধর্মীয় বই স্কুল ও মাদ্রাসার পাঠ্যপুস্তকে নানা অযৌক্তিক বিষয়বস্তু সন্নিবেশিত করে একটি বিতর্ক তৈরি করেছে পাঠ্যপুস্তক সিলেবাস প্রণয়ন কমিটি। কেনো এই ধরনের বিষয়গুলো পাঠ্যপুস্তকে সন্নিবেশিত করে পাঠক অভিভাবক শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতর্ক তৈরি করার কি উদ্দেশ্য থাকতে পারে। মানুষ হিসেবে সমগ্র জাতি সৃষ্টির সেরা। মানব জাতি সৃষ্টিকর্তার মহান এক প্রতিনিধি। তাকে খলিফা হিসেবে ধর্মগ্রন্থে বলা হয়েছে। অর্থাৎ মানুষ সৃষ্টিকর্তার প্রতিনিধি হয়ে পৃথিবীতে তার কাজগুলো পরিচালনা করে। সব ধর্মের প্রবর্তকরা সৃষ্টিকর্তাকে স্বীকার করে। সৃষ্টির মধ্যে মানুষ শ্রেষ্ঠ জীব। মানুষের মধ্যে পুরুস ও নারী তাদের আচার ভঙ্গিমা শারীরিক অবস্থা চিন্তা চেতনা বৈজ্ঞানিক ভাবে পার্থক্য আছে।
পুরুষকে কোনোভাবেই নারীতে রুপান্তর করা যায়না। আবার বানর থেকেও আশরাফুল মাখলুকাত সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ হয়না। এইসব বিষয় বহু আগে থেকে মীমাংসিত বিষয়। সেইসব মন্দা আমলের চিন্তা চেতনাকে আজকের আধুনিক বিশে^ বিজ্ঞান ময় পৃথিবীতে নতুন করে জন্ম দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি ছাড়া আর কিছুই নয়। মানুষ চিন্তা চেতনা বুদ্ধি গবেষণায় তাদের সৃষ্টির রহস্য উদ্দেশ্য ইহকাল ও পরকাল সম্পর্কে সবকিছু জ্ঞাত। মানুষের সৃষ্টি পৃথিবীর জীবন পরকাল সম্পর্কে মানুষের একটা ধারণা চিন্তা পরিস্কার। সেই জায়গায় মানুষকে মানুষ থেকে অন্যকিছু ভাবা মোটেও সমুচিত নয়। কলা গাছ থেকে কখনো আম তৈরি করা সম্ভব নয়। আপেল গাছ থেকে আম তৈরি করাও সম্ভব না। নারীকে যে উদ্দেশ্যে সৃষ্টিকর্তা নারীর সমস্ত ক্ষমতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন সেই ক্ষমতা পুরুষের মধ্যে নেই। পুরুষের মধ্যে যে ক্ষমতা সৃষ্টি কর্তা অলৌকিক ও স্পেশালিষ্ট ভাবে দিয়েছেন সেটি কোনো নারীর পক্ষে সম্ভব না। পৃথিবীর তথাকথিত সভ্যতা সংষ্কৃতি মানব গঠিত তৈরি সভ্যতার মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক নারী পুরুষের ক্ষমতাকে কোনোভাবেই ধ্বংস করতে পারবে না। সৃষ্টিকর্তার রহস্য নারী পুরুষের চরিত্র ও ক্ষমতা। দুজনের মধ্যেই ভিন্ন ভিন্ন ভাবে সেই ক্ষমতা সৃষ্টিকর্তা দিয়েছেন। আল্লাহ প্রদত্ত শক্তি ক্ষমতাকে ইচ্ছেপূর্বক কোনো মানুষের পক্ষে পরিবর্তন করা মোটেই সম্ভব নয়।
এটি প্রতিটি ধর্মের মধ্যেই বিশ্বাসে পরিণত। এই বিশ্বাস নিয়ে সকল ধর্মের মানুষ তাদের সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করে। সেই জায়গাতে কোনো ধরনের তৈরি কৃত ষড়যন্ত্র চক্রান্ত অপকৌশল তৈরি করে মানব সমাজের শৃংখলা ভঙ্গ করা যাবে না। আজকের পৃথিবীতে মানব সমাজকে নিয়ে যেভাবে নানা ধরনের কল্প কাহিনী এবং সংস্কৃতি ঐতিহ্য অগ্রগতির নামে যে সমস্ত কৃষ্টি কালচার প্রচার করার জন্য নানা ভাবে ফন্দি গল্প কাহিনী তৈরি হচ্ছে সেটি মোটেও সফল হবেনা। ধর্মে ধর্মে বিভাজন জাতিতে বিভক্ত। এইসব বিষয় তৈরির অন্যতম উদ্দেশ্য। তবে বাঙালী জাতি সচেতন তাদের ইতিহাস ঐতিহ্য জানা আছে কখনো তাদেরকে আপনাপন কৃষ্টি কালচার ধর্ম থেকে বিচ্যুত করে যাবেন। যারা এসব অপকর্মের সাথে জড়িত জাতি তাদেরকে জানতে পেরেছে বুঝতে পেরেছে। সরকার ইতিমধ্যেই ৫ সদস্য বিশিষ্ট পর্যালোচনা কমিটি গঠন করেছে। আশা করা যায় তারা একটি রিপোর্ট প্রদান করবে। কোনো অভিভাবকই এই ধরনের আজগুবি চিন্ত চেতনার গল্প ও পাঠ তাদের সন্তানরা পড়ুক এবং জানুক তা কাম্য নয়। অতএব এই ধরনের অযৌক্তিক অপ্রয়োজনীয় সমস্ত বিষয় যেনো যাবতীয় পাঠ্যপুস্তক থেকে কাটছাট করা হয়। আগামী প্রজন্মকে শিক্ষা মননে ধর্ম সংস্কৃতিতে বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে এগিয়ে নেয়ার মতো সিলেবাস পাঠ্যসূচী পাঠদান সবকিছু যেনো সময় উপযোগী বাস্তবমুখী ভাবে পরিচালিত হয় সেই প্রত্যাশা জনগণের।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla