বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন আবদুস সবুর খান-এর সমাধি সংরক্ষণ করার আবেদন স্মৃতি সংসদের। শহীদ আবদুস সবুর খান স্মৃতি সংসদ-এর নেতৃবৃন্দ মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন আবদুস সবুরের সমাধি সংরক্ষণের আবেদন করেছে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম সমীপে।৬ ফেব্রুয়ারী স্মৃতি সংসদের এক লিখিত আবেদন দেন স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক এম.এ. রহিম খান।
জানা গেছে, ১৯৭১ সালে ২৯ নভেম্বর তৎকালীন পটিয়া বর্তমান চন্দনাইশ উপজেলার বশরত নগর মাদ্রাসাস্থিত রাজাকার আল-বদর আল-শামস বাহিনী ক্যাম্পে অপারেশন পরিচালনা করেন আবদুস সবুর খান। সেদিন সম্মুখ যুদ্ধে ক্যাম্প থেকে রাজাকারদের একটি বুলেট আবদুস সবুর খানের কপালে আঘাত লাগে, সে বুলেটের আঘাতে তিনি শহীদ হন। পরের দিন ৩০ নভেম্বর ’৭১ সকালে রাজাকার বাহিনী বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুর সবুরের লাশের উপর অবর্ণনীয় নির্যাতন শেষে শঙ্খ নদীতে ফেলে দেয়।সংবাদ পেয়ে শহীদের আত্মীয়-স্বজনেরা অনেক খোঁজাখুজি করতে থাকে। তিন দিন পর ৩রা ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে সকালে শহীদ আবদুস সবুরের লাশ ভাসমান অবস্থায় চর-বরমা এলাকা শঙ্খ নদীতে পাওয়া যায়। ওইদিন বিকেলে শহীদের জন্মস্থান বরমা গ্রামের উসাপুকুর পাড়ে শহীদ আবদুস সবুরের লাশ দাফন করা হয়। দাফনের পর তিনি রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি পান। মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য চলতি বছর তিনি মরনোত্তর সম্মাননাও পান।
আবদুস সবুর খান বিমান বাহিনীতে চাকুরিরত অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন ও ভারতের হরিণা ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নেন। এফ এফ ৩৩ এর সাথে যুক্ত হন এবং গ্রুপ নং-এফ এফ ৩৩, ৩৪ ও ৩৫-এর অপারেশন চীফ হিসেবে তৎকালীন পটিয়া (চন্দনাইশসহ) আনোয়ারা ও বাঁশখালী বিভিন্ন এলাকায় সফলভাবে অপারেশন পরিচালনা করেন। বর্তমানে বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুস সবুর খান-এর সমাধি অবহেলা ও অযত্নে পড়ে আছে। স্মৃতি সংসদ এই বীর মুক্তিযোদ্ধার সমাধি রক্ষা ও সংরক্ষন করার জন্য পুকুরের ভেতরের দিকে গাইড ওয়াল নির্মাণের দাবী জানিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন নিবেদন করেছে।