1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৪:২২ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
২৯ শে এপ্রিল নিহতদের স্মরণে সাহিত্য পাঠচক্রের স্মরণ সভা পথচারীদের মাঝে শরবত, পানি ও গামছা বিতরণ করলেন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর  হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর পথচারীদের মধ্যে শান্তির শরবত বিতরণ করলেন চট্টগ্রামে বর্ণিল আয়োজনে বন্দর দিবস উদযাপন তৎক্ষালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে যত মানুষ মরার কথা ছিলো, তত মানুষ মরে নাই স্মরণ সভায় ওয়াসিকা আবারও আসছে তিনদিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ চট্টগ্রামে কাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক তাপদাহে পুড়ছে দেশ, ভাঙল ৭৬ বছরের রেকর্ড রাজধানীর সৌদি দূতাবাসে আগুন উত্তর চট্টগ্রামে এই প্রথম ফ্যাকো অপারেশন শুরু করছে চট্টগ্রাম গ্রামীণ চক্ষু হাসপাতাল

বাংলাদেশ কারোর দয়ার দান নয় রক্তে মূল্যে পাওয়া বাংলাদেশ শান্তি চায়

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২২
  • ১০৮ বার পড়া হয়েছে

মো. আবদুর রহিম

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। এদেশটির ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ একমাত্র স্বাধীন দিশে যে দেশের ২টি জাতীয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবস। বাংলাদেশ একটি জাতি রাষ্ট্র অর্থাৎ এক জাতির এক দেশ। এদেশের সকল নাগরিকদের একটি পরিচয় তা হলো ‘বাঙালি’। ‘বাংলাদেশ’ নামক দেশটির স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনিই বুঝেছিলেন ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হওয়া পাকিস্তান বাঙালির কোন স্বার্থই রক্ষা করবে না। তা প্রথমই পাকিস্তানীরা প্রমাণ করে বাঙালির মুখে ভাষা কেড়ে নিয়ে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণার মধ্য দিয়ে। পাকিস্তান বাঙালির ভাষা, শিক্ষা, বাঁচার অধিকার, সরকারী চকুরীর অধিকার সহ যাবতীয় মৌলিক অধিকারের উপর আঘাত করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির জন্য একটি রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে তিনি ১৯৬৬ সালে ‘বাঙালির বাঁচার দাবী ৬ দফা’ ঘোষণা করেন। তিনি অধিকার, স্বাধিকার ও স্বাধীনতা এই তিনটি লক্ষ্য স্থির করে ধাপে ধাপে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে। পাকিস্তানীরা বঙ্গবন্ধুকে জেলে রেখে ষড়যন্ত্র মামলা দিয়ে দমানোর চেষ্টা করে তারা ব্যর্থ হয়। সবশেষ ১৯৭০ এ জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা করে পাকিস্তান। জাতীয় নির্বাচনে বাঙালি জাতি আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি পূর্ণাঙ্গ সমর্থন ঘোষণা করে। বঙ্গবন্ধু নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার পরিচালনার যোগ্যতা অর্জন করে। তৎসময়ের পাকিস্তান সামরিক শাসক ইয়াহিয়া বঙ্গবন্ধুকে ক্ষমতা না দিয়ে বাঙালি জাতিকে পৃথিবীর বুক থেকে মুছে দেয়াল লক্ষ্যে ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ রাতে অন্ধকারে বাংলাদেশে সামরিক হামলা চালায়। পাকিস্তানী সামরিক জ্যান্তার আক্রমণের মুখে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দেন। এই ঘোষণা শুনে পাকিস্তানীরা বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পাকিস্তান নিয়ে বন্দি করে রাখে। বঙ্গবন্ধু’র বাংলাদেশ পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে দেশকে শত্রæমুক্ত করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ৩০ লক্ষ মানুষ জীবন উৎসর্গ করে। ২ লক্ষ ৬৯ হাজার মা-বোন ইজ্জত হারায়। ১ কোটি মানুষ ভারতে শরণার্থী হয়। ৩ কোটি মানুষ তাদের ধন-সম্পদ, বাড়ি-ঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়। বাংলাদেশ রক্ত, ইজ্জত আর ত্যাগের ফসল। এদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় সপরিবারে ঘাতকদের বুলেটে শহীদ হন। এদেশ এ জাতির স্বাধীনতা, পতাকা, সংবিধান, জাতীয় সঙ্গীত ও এদেশের মাটি শহীদের রক্তে লাল হয়। এদেশকে ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ সময়ে স্বাধীনতা বিরোধী শকুনের কুদৃষ্টিতে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে। ১৯৯৬ এ প্রথমবার দেশ ঘুরে দাঁড়ায়। আবার ২০০১-এ অন্ধকারে হারিয়ে যায়। ২০০৯ থেকে বাংলাদেশ আবার নতুন করে আলোতে আসে। এদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র, চক্রান্তের শেষ নেই। স্বাধীনতা বিরোধী, মানবতার দুশমন, খুনী, যুদ্ধাপরাধী ও বাঙালি বিদ্বেষী অপশক্তি সক্রিয়। তারা স্বাধীন এদেশটিকে লুটেপুটে খাওয়ার স্বপ্নে বিভোর। ২০০১ থেকে ২০০৬ এ হাওয়া ভবনের মালিক এখন লন্ডনে পলাতক। স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের ঠিকানা ‘ফিরোজা’। এদেশটি তো কারোর দয়ার দান নয়। এদেশকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা তো আর চলতে পারে না। রক্তে কেনা দেশের পতাকা আরতো সেই রাজাকার আলবদর, আলশামস আর খুনীর হাতে তুলে দেয়া যায় না। এদেশ এখন জাতির পিতার আদর্শে এগোচ্ছে। বাংলাদেশ আজ স্থিতিশীল, উন্নয়নে মডেল আর বিশে^ বিষ্ময় একটি দেশ। এদেশে রাষ্ট্রনায়ক জাতির পিতার আদর্শের প্রতীক জননেত্রী শেখ হাসিনা। দেশ ও জাতি লক্ষ্য করছে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বাংলাদেশকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা শুরু হয়েছে। এদেশে নির্বাচন হবে অবাধ নিরপেক্ষ। নির্বাচন পরিচালনা করবে স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন। এদেশে এক এগারর মত কোন সরকার আর আসবে না। বাংলাদেশের সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র সফররত অবস্থায় ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগকে দেওয়া সাক্ষাৎকালে বলেছেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, গুম হওয়ারা বিএনপি’র মিছিল করছে, গণতন্ত্র সুরক্ষরায় কঠোর আইন করেছি, নতুন করে রোহিঙ্গা নেওয়া সম্ভব নায়, হত্যা, ক্যু ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতা দখল শাস্তিযোগ্য অপরাধ, গণমাধ্যম যা ইচ্ছা বলার স্বাধীনতা পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘জাতির পিতা হত্যার পর নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। যারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছেন, তারাই নির্বাচন প্রক্রিয়াটা ধ্বংস করেন। আমরা দিনের পর দিন আন্দোলন সংগ্রাম করে গণতান্ত্রিক ধারাটা আবার ফিরিয়ে এনেছি। মানুষ তার পছন্দমতো লোককেই নির্বাচন করবে। আমরা সেটাই চাই। নির্বাচন প্রক্রিয়া আমরাই উন্নত করেছি। আমাদের আমলে প্রতিটি নির্বাচন, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু হয়েছে। আগামীতেও তাই হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১৩ অক্টোবর ২০২২ এ আগাম সর্তক বার্তা দিয়েছেন দেশবাসীকে। তিনি বলেন, ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন কেউ যেন আগামীতে ক্ষমতায় না আসে, সে জন্য সবাই সতর্ক থাকুন।’ ১৯৯১ সালের প্রলংকরী ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ব্যর্থ ও দায়িত্বজ্ঞানহীন এক প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘যত লোক মারা যাওয়ার কথা ছিল, ততলোক মারা যায় নাই।’ এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন কেউ ক্ষমতায় এলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ এ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে তিনি ১৯তম ভাষণ দেন। বিশে^র ইতিহাসে একজন রাষ্ট্রনায়ক ১৯ বার বাংলায় ভাষণ দেয়া বিরল অর্জন একমাত্র বাংলাদেশের। জাতিসংঘের ৭৭তম অধিবেশের দেওয়া ভাষণে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন, দেশটির চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সশস্ত্র সংঘাত নিরসন জাতিসংঘ কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেছেন ‘দীর্ঘায়িত রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি। বাংলাদেশের রোহিঙ্গাদের দীর্ঘায়িত উপস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনীতি, পরিবেশ, নিরাপত্তা এবং সামজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। তাদের প্রত্যাবাসনের অনিশ্চয়তা সর্বস্তরে ব্যাপক হত্যাশার সৃষ্টি করেছে। মানবপাচার, মাদক, চোরাচালান সহ আন্তসীমান্ত অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি এ পরিস্থিতি উগ্রবাদকেও ইন্ধন দিতে পারে। এ সংকট প্রলম্বিত হতে থাকলে তা এ উপমহাদেশসহ বৈশি^ক নিরাপত্ত ও স্থিতিশীলতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।’ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রæত বন্ধে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মতো বৈরী পন্থা মঙ্গল আনে না বলেও প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে বলেছেন, তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ দ্রæত বর্ধনশীল পাঁচ অর্থনীতির মধ্যে অন্যতম।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে তাঁর ভাষণে বলেছেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যের কথা’। বাংলাদেশ ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব ও কারও সাথে বৈরিতা নয়’। এ নীতিতে চলছে। বাংলাদেশ জন্মলগ্ন থেকেই এ প্রতিপাদ্য উদ্ভুত জোট নিরপেক্ষ নীতি অনুসরণ করে আসছে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ একটি টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি এবং অন্তর্ভূক্তিমূলক শান্তিপূর্ণ সমাজ ও সামাজিক সম্প্রীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে শেখ হাসিনার সরকার। বাংলাদেশ জিডিপির হিসাবে বিশে^ ৪১ তম স্থানে। শেখ হাসিনার সরকারের চলমান শাসন আমলে দারিদ্র্যের হার ২০.৫ এ নেমে এসেছে। মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। যুদ্ধের কারণে জ¦ালানি, খাদ্য সহ নানা ভোগ্যপণ্যের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতির মারাত্মক চাপের মুখে পড়েছে। মূল্যস্ফীতি, বিদ্যুৎ সংকট কাটিয়ে উঠতে সরকার চেষ্টা করছে। আমাদের বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হতে যাচ্ছে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক উন্নত দেশে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। বর্তমান সরকার ২১০০ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ ও জলবায়ু সহিষ্ণু বদ্বীপে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা, খাদ্য, নিরাপত্তা, মা ও শিশু মৃত্যু হ্রাস, লিঙ্গবৈষম্য, নারী ক্ষমতায়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। দেশে সাক্ষরতার হার ৭৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, দেশে গড় আয়ু ৭৩ বছরের উপরে। সরকার স্বামী পরিত্যক্তা নারী, বিধবা, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও তৃতীয় লিঙ্গ এবং অন্যান্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামাজিক ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে চলেছে। বর্তমান সময়ে ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় উপকৃত হচ্ছে। সরকার গৃহহীনকে গৃহ, ভূমিহীনকে ভূমি দিয়ে ঠিকানা করে দিচ্ছে। শেখ হাসিনার সরকার রক্তে মূল্যে কেনা বাংলাদেশের উন্নত ভৌত অবকাঠামো মজবুত অর্থনৈতিক কাঠামোর ভিত্তি হিসেবে কাজ করে চলেছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেম সহ টেকসই বৃহৎ অবকাঠামো নির্মান করে যাচ্ছে। সরকার নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করেছে ‘পদ্মা বহুমুখি সেতু’। জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে সরকার ‘মজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান’ গ্রহণ করেছে। এর লক্ষ্য হলো বাংলাদেশকে ‘ঝুঁকির পথ থেকে জলবায়ু সহনশীলতা ও জলবায়ু সমৃদ্ধির টেকসই পথের’ দিকে নিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশ সহ ১৬টি দেশ এখন স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নীত হওয়ার পথে। তবে ক্রমবর্ধমান বৈশি^ক সংকট বাংলাদেশের টেকসই উত্তরনের পথে গুরুতর প্রতিকূলতা সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সমুদ্রসীমার শান্তিপূর্ণ নিস্পত্তির পর সুশীল অর্থনীতি বাংলাদেশের উন্নয়নের নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে। বাংলাদেশের সরকার সামুদ্রিক সম্পদের টেকসই ব্যবহার, সংরক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার জন্য বিশ^ব্যাপী অংশীজনদের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ একটি শান্তিময় বিশ^ প্রত্যাশা করে। সরকার দারিদ্র বিমোচন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমন, সংঘাত প্রতিরোধ এবং আর্থিক, বিদ্যুৎ ও জ¦ালানী সংকটের মতো বৈশি^ক প্রতিকূলতাগুলোর রূপান্তরমূলক সমাধান চায়। যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশের মানুষের জীবন-জীবিকা মহাসংকটে পতিত হয়। বাংলাদেশ যুদ্ধ নয়, শান্তি চায়। কারণ যুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্গিত হয়, খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়। বাংলাদেশ অস্ত্র প্রতিযোগিতা, যুদ্ধ ও সংঘাত বন্ধ চায়। বাংলাদেশ এসব মোকাবিলা করে স্বাধীন হওয়া একটি দেশ। সুতরাং রক্তমূল্যে পাওয়া বাংলাদেশ বিশে^ শান্তি চায়।সাধারন সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা স্মৃতি পরিষদ

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla