1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০১:১৩ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
২৯ শে এপ্রিল নিহতদের স্মরণে সাহিত্য পাঠচক্রের স্মরণ সভা পথচারীদের মাঝে শরবত, পানি ও গামছা বিতরণ করলেন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর  হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর পথচারীদের মধ্যে শান্তির শরবত বিতরণ করলেন চট্টগ্রামে বর্ণিল আয়োজনে বন্দর দিবস উদযাপন তৎক্ষালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে যত মানুষ মরার কথা ছিলো, তত মানুষ মরে নাই স্মরণ সভায় ওয়াসিকা আবারও আসছে তিনদিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ চট্টগ্রামে কাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক তাপদাহে পুড়ছে দেশ, ভাঙল ৭৬ বছরের রেকর্ড রাজধানীর সৌদি দূতাবাসে আগুন উত্তর চট্টগ্রামে এই প্রথম ফ্যাকো অপারেশন শুরু করছে চট্টগ্রাম গ্রামীণ চক্ষু হাসপাতাল

জনগণের খাদ্য প্রাপ্তি টিসিবির পণ্যে দীর্ঘ লাইন

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২২
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

মাহমুদুল হক আনসারী
জনগণের খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। দেশে যা উৎপাদন হচ্ছে তা আরো বাড়াতে হবে। কোন কৃষিজমি অনাবাদি রাখা যাবে না। কৃষির সাথে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থাকে কৃষি নির্ভর কৃষকদের তদারকি করতে হবে। কৃষিপণ্য বাজারজাত করণে প্রশাসনিক তৎপরতা কর্মসূচি বাস্তবায়ন থাকতে হবে। কৃষক মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কৃষিপণ্য উৎপাদন করছে। অর্থ খরচের সাথে তাদের শারীরিক মানসিক ব্যাপকভাবে নিয়োজিত রাখার পর কৃষিপণ্য জমি থেকে উৎপাদন হয়। কিন্ত সে পণ্য ঠিকমতো বাজারজাত করে কৃষকগণ তাদের সঠিক মূল্য পায় না। এর জন্য আমি দেশের বাজার ব্যবস্থাকে দায়ী করছি। অজ গাঁ গ্রাম থেকে কৃষিপণ্য উৎপাদন করে সে পণ্য কোথায় কীভাবে বিক্রি করবে তার সঠিক ধারণা একজন সহজ সরল কৃষকের নেই বললেই চলে। এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে অনুধাবন করা দরকার প্রশাসনের কৃষি বিভাগকে।
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা উপজেলাতে কৃষি কর্মকর্তাগণ নিয়োজিত আছেন। আমি মনে করি ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শহর পর্যন্ত কৃষি কর্মকর্তাগণ সঠিক পদ্ধতিতে কৃষিপণ্য বাজারজাত করণের উদ্যোগ গ্রহণ করলে সেক্ষেত্রে কৃষক এবং ভোক্তা উভয়ই উপকৃত হবে। দেখা যায় গাঁ গ্রামে অনেক কৃষক জমির ফসল ফলিয়ে বাজারে বিক্রি করতে করতে সে পণ্য নষ্ট হয়ে যায়। আবার শহরের অনেকগুলো এলাকাতে সে পণ্য সঠিক এবং ন্যায্য মূল্যে পাওয়া যায় না। এর অর্থ হলো সঠিক পদ্ধতিতে দেশব্যাপী কৃষিপণ্যের সঠিক পদ্ধতিতে বাজারজাত করণের কোন কর্মসূচি কৃষি মন্ত্রণালয় গ্রহণ করেনি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কতিপয় ফসলের ওপর সেটা কিছু কিছু সময় দেখা গেলেও বাস্তবে দেশব্যাপী সারা বছর এ ধরনের কর্মসূচি কৃষি মন্ত্রণালয় গ্রহণ করেছে বলে আমার জানা নেই। কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে রাষ্ট্র স্থিতিশীল থাকবে, খাদ্য প্রাপ্তি সহজলভ্য হবে, জনগণ খাদ্যাভাবে কষ্ট পাবেনা। কৃষির সাথে জড়িত সব ধরনের সারের মূল্য কৃষকের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে হবে।
পানি , বিদ্যুৎ শ্রমের মূল্য সবকিছু একটা সহনীয় পর্যায়ে রাখা দরকার। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের বাজার অতিচড়া। যার কারণে সমস্ত ভোগ্যপণ্য ঘণ্টায় ঘণ্টায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভোগ্যপণ্য সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। স্বল্পসংখ্যক মানুষ ছাড়া অধিকাংশ জনগণ তাদের প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের বাজার করতে পারছে না। নি¤œ ও মধ্যবিত্তের মানুষগুলো প্রতিনিয়ত বাজার দর নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে কিছু মানুষের জন্য টিসিবির পণ্য ক্রয়ের ¯িøপ দেয়া হলেও অসংখ্য নি¤œ ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ চরমভাবে খাদ্যাভাবে দিন অতিবাহিত করছে। এটা সকলের জন্য উদ্বিগ্নের কারণ। বিশ^ব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব এবং রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের খেসারতে সারা পৃথিবীতে এখন একটা অস্থিরতা বিরাজ করছে। তাদের যুদ্ধের প্রতিযোগীতায় পৃথিবীর নিরীহ শান্তিকামী মানুষ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত হচ্ছে। তেল গ্যাস আমদানি রপ্তানি বিঘিœত হচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
গ্যাস বিদ্যুতের সংকট তৈরি হয়েছে। ফুয়েলের অভাবে বিদ্যুতের উৎপাদন অব্যাহত রাখা যাচ্ছেনা। ফলে লোডশেডিং বেড়ে চলছে। এ সমস্ত সংকট ক্রমেই বাড়ছে এবং বাড়বে। রাষ্ট্রীয়ভাবে চরমভাবে সংকট তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যেও সকল দেশ আপ্রাণ চেষ্টা করছে সংকটের মোকাবিলা করে দেশের মানুষকে সুন্দরভাবে রাখার জন্য। মানুষের প্রয়োজনীয় উপাদান সঠিকভাবে সরবরাহ করার জন্য। ইতিমধ্যে বিশ্বের নানা দেশে অর্থনৈতিক নানা সংকট তৈরি হয়েছে। তবে বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছেন বলে আমি মনে করি। আমাদের দেশে এখনো খাদ্য সংকট হয়নি। প্রচুর পরিমাণ খাদ্য সরঞ্জামাদি মওজুদ রয়েছে। কৃষকগণ অক্লান্ত সাধনার মাধ্যমে তাদের জমি থেকে ফসল ফলাদি উৎপাদনের সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ যেভাবে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে সেটা এদেশের ইতিহাসে বিরল ঘটনা হিসেবে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত সমান তালে উন্নয়নের গণজোয়ার সাধিত হয়েছে। অনেকগুলো উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয় অর্থনীতি সংকটে পরলেও উন্নয়ন কর্মসূচি থেমে নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টা দেশপ্রেমের অনুপম দৃষ্টান্তের স্বাক্ষর হিসেবে তিনি বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন কর্মসূচী অব্যাহত রেখেছেন। ইনশাআল্লাহ তাঁর আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং ইচ্ছায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে কেউই এ উন্নয়ন যাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করতে পারবেনা। জনগণ উন্নয়নের প্রতি আন্তরিকভাবে ভালোবাসা অব্যাহত রেখেছে। উন্নয়নের পক্ষে জনগণের সমর্থন এবং দোয়া অবশ্যই থাকবে। জনগণের কষ্ট হয় এমন কর্মসূচি না নিয়ে মোটা ভাত মোটা কাপড়ের নিশ্চয়তা বিধান রেখে কর্মসূচি হাতে নিলে ভালো হয়। শিক্ষাদীক্ষায় আমাদের সন্তানরা অনেক এগিয়ে চলছে। তাদের উচ্চ শিক্ষার অনেকগুলো ডিগ্রি দেখতে পাচ্ছি। ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো ছাড়িয়ে গিয়েছেন বর্তমান সরকার। শিক্ষা এখন হাতের মুঠোয় পাওয়া যাচ্ছে। শিক্ষিত সন্তান প্রতিটি ঘরে ঘরে।
আমি বলব শিক্ষার ডিগ্রি অর্জনের সাথে সাথে যাতে সব পরিবারে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়। উন্নয়নের জন্য যেভাবে লাখ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। তেমনিভাবে কর্মসংস্থানের জন্য শিল্পঞ্চল তৈরি করে শিক্ষিত বেকারদের উপযুক্তভাবে সংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়। দেশে এ পর্যন্ত যতগুলো শিল্পাঞ্চল তৈরি হচ্ছে সেগুলো যেন উৎপাদনে চলে যায়। সঠিক নিয়মে সঠিক পদ্ধতিতে দুর্নীতিমুক্ত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের যেনো ব্যবসার সুযোগ করে দেয়া হয়। শিল্পসংস্থা শিল্পজমি কোনো ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি যেনো না হয় সে বিষয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সর্বদা গুরুত্বের সাথে তদারকি করতে হবে। বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে হবে। বিনিয়োগের সাথে সাথে দেশের উপযুক্ত শিক্ষিতদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
খাদ্য মানুষের মৌলিক অধিকার। সাংবিধানিকভাবে খাদ্যপ্রাপ্তি জনগণের অধিকারের মধ্যে অন্যতম। দেশের সবধরনের উন্নয়ন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার মাধ্যমে খাদ্যের প্রাপ্তি জনগণের নাগালের মধ্যে রাখতে হবে। আমরা পৃথিবীর অপরাপর দেশের চেয়ে অনেক ভালো আছি। এ ভালো থাকা যেনো আগামীর জন্য আরো সুন্দর এবং সচ্ছল হয় । কেউ খাবে কেউ খাবে না তা গ্রহণযোগ্য নয়। স্বাধীন বাংলাদেশের সকল মানুষের অধিকার সমানভাবে প্রতিষ্ঠা করা দরকার। সরকারী বা বেসরকারী পর্যায়ে যারা কর্মরত আছে তাদের জীবন যাপন মোটামোটি অনেক মানুষের চেয়ে ভাল। কিন্তু স্বল্প সংখ্যক এ মানুষগুলো ভালো থাকার নাম বাংলাদেশের মানুষ ভালো আছে সে কথা বলা যায় না। নব্বই পারসেন্ট মানুষ ভালো থাকলে সেটাকে ভালো আছে বলা যায়। এখন বাংলাদেশের আশি পারসেন্ট মানুষ তাদের জীবন যাপন নিয়ে ভীষণভাবে চিন্তিত এবং উদ্বিগ্ন। তারা সঠিকভাবে বাজার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে করতে পারছেনা। তাই টিসিবির লাইন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেখানেও ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে থেকেও পণ্য পাচ্ছেনা এমন অনেক মানুষ আছে। এগুলো কারো জন্য সুখকর খবর নয়। রাষ্ট্রের দায়িত্বে যারা আছেন তাদের উচিত হবে খাদ্যপ্রাপ্তি আরো সহজলভ্য করা।
খাদ্য বাজার নিয়ে কালোবাজরি বন্ধ করতে হবে। বাজার সিন্ডিকেট মনিটরিং করে কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কোনোভাবেই খাদ্য সংকট তৈরি করে যে কাউকেই সংকট তৈরি করতে দেয়া যায় না। জনগণকে আতঙ্কিত না করে সঠিক পদ্ধতি নিয়ম এবং কর্মসূচি গ্রহণ করে জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla