রায়হান হোসাইন
নামিদামী কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন না, প্রতিষ্ঠিত কোন ব্যবসায়ীও নন, সড়কের পাশে বসে লাইট রিপিয়ার করে প্রতি মাসে আয় করেন দেড় লাখ টাকার বেশি। পুঁজি বলতে ছোট্ট একটি টং দোকান আর সেখানে বসে নষ্ট এনার্জি লাইট ঠিক করে বিক্রি করা; বলছিলাম ৩৮ বছর বয়সী হারুণের কথা। যেন তার কাজে মুগ্ধ সবাই তার এই হাতের জাদুতে নগরীর দূর দুরান্ত থেকে বাসাবাড়ি কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নষ্ট হওয়া লাইট ঠিক করতে এবং পুরাতন মেরামত করা লাইট কিনতে আসেন হারুণের কাছে। বিশ বছর যাবৎ হারুণ ইলেক্টিক্যাল কাজের সাথে জড়িত। এনার্জি লাইট বাজারে আসার পর থেকে হারুণ অর রশীদের এই ব্যবসা। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, তার পুঁজি একটি রাংতা ঝালাই মেশিন, প্লাস ও চুরি কাটানোর যন্ত্র আর এই ব্যবসা করে সফল হারুন। বর্তমানে এই ব্যবসা থেকে মাসে আয় দেড় লাখ টাকারও বেশি। দম নেওয়ার ফুসরত নেই বললে চলে। একটি পুরাতন নষ্ট লাইট রিপিয়ারিং করতে সময় লাগে পাঁচ থেকে সাত মিনিট। ২০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা এমনটি হাজার টাকা দিয়েও লাইট মেরামত করেন হারুণ এভাবেই গড়ে প্রতিদিন আড়াইশ থেকে তিনশ লাইট মেরামত করে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা আয় করেন তিনি।
হারুণের ভাষ্যমতে উপার্জন প্রতিদিন এক রকম হয় না কোনদিন ৩ হাজার তো আবার কোনদিন ৬ হাজারের বেশীও ইনকাম হয়। মানুষের কাছে আমার কাজ ভালো লাগে তাই মানুষ দূর দূরান্ত থেকে লাইট ঠিক করতে আসে। আমিও কম দামে লাইট ঠিক করে দিই জানিয়ে হারুণ জানান জীবন সংগ্রামের প্রথমটা তেমন ভালো ছিলোনা । পুজি বাট্টা দিয়ে ডেকোরেশনের ব্যবসা শুরু করলেও তেমন সুবিধা করতে পারেননি সেই ব্যবসায়। নগরীর ডবলমুরিং থানার দেওয়ানহাটের মোড়ে মসজিদ মার্কেটের সামনে ফুটপাতে ভাসমান হারুনের এই দোকান, থাকেন ডবলমুরিং থানার রংগী পাড়াতে।