1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৬:৪২ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
২৯ শে এপ্রিল নিহতদের স্মরণে সাহিত্য পাঠচক্রের স্মরণ সভা পথচারীদের মাঝে শরবত, পানি ও গামছা বিতরণ করলেন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর  হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর পথচারীদের মধ্যে শান্তির শরবত বিতরণ করলেন চট্টগ্রামে বর্ণিল আয়োজনে বন্দর দিবস উদযাপন তৎক্ষালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে যত মানুষ মরার কথা ছিলো, তত মানুষ মরে নাই স্মরণ সভায় ওয়াসিকা আবারও আসছে তিনদিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ চট্টগ্রামে কাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক তাপদাহে পুড়ছে দেশ, ভাঙল ৭৬ বছরের রেকর্ড রাজধানীর সৌদি দূতাবাসে আগুন উত্তর চট্টগ্রামে এই প্রথম ফ্যাকো অপারেশন শুরু করছে চট্টগ্রাম গ্রামীণ চক্ষু হাসপাতাল

কৃষি ও কৃষকদের পাশে জাতির পিতার ন্যায় শেখ হাসিনা

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২২
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

মো. আবদুর রহিম
জাতিসংঘ, বিশ্ব খাদ্য সংস্থা সহ উন্নত বিশ্ব প্রচার করছে সামনে দুর্ভিক্ষ আসছে। করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, যুদ্ধ ঘিরে, পক্ষে-বিপক্ষে নিষেধাজ্ঞার কুফল বিশ্ব জুড়ে দুর্ভিক্ষের হাতছানি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি সহ মানবতার উপর দুর্যোগ-দুর্বিপাক অপেক্ষায়। বিশ্ব চিত্রের এই অবস্থায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র কৃষি ও কৃষকদের প্রতি তাদের অবদান ও নির্দেশনাগুলো জাতির সামনে তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তা উপর ভিত্তি করে এ লেখাটির অবতারণা হলো। আবহমান কাল থেকে দেশের অর্থনীতিতে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। বাংলাদেশের গণমানুষের জীবন জীবিকা কর্মসংস্থান, শিল্প সাহিত্য-সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য কৃষিকে ঘিরে। দেশ আয়তনে ছোট ও ঘনবসতিপূর্ণ হওয়া সত্বেও বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ বর্তমানে দানাদার খাদ্যের উদ্বৃত্ত দেশ হিসেবে পরিচিত। সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম ১০টি দেশের কাতারে রয়েছে। মাছ, মাংস ও ডিম উৎপাদনেও বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। কৃষিখাত দেশের পুষ্ঠি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান ১২.০৯ শতাংশ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের মাটি ও মানুষ আছে। তাই এখন থেকেই আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে, বাংলাদেশ যাতে কখনো দুর্ভিক্ষ বা খাদ্য সংকটে না পড়ে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এক ইঞ্চি জমি ও অনাবাদি রাখবেন না। যে যা পারেন উৎপাদন করেন। বাড়ির আঙিনায়, খোলা জায়গায় উৎপাদন করেন। খাদ্যের চাহিদা কখনো কমবে না। বরং বাড়বে। সামনে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে অনেকেই খাদ্য সংকটে পড়বে। আমাদের যাতে সেরকম পরিস্থিতি না হয়। হয়তো অনেক দেশে আমাদের খাদ্য সহায়তা পাঠাতে হবে। সেদিক চিন্তা করে আমাদের কাজ করতে হবে।’ আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল ‘বাংলাদেশ কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে।’ জাতির পিতাকে হত্যা করে জেনারেল জিয়ার সরকার, জেনারেল এরশাদের সরকার, বেগম খালেদা জিয়ার সরকার দেশ পরিচালনা করে গেছে তারা দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে ব্যর্থ হয়। সবাই বিদেশের ভিক্ষা নিয়ে দেশ পরিচালনা করে গেছে। জাতিকে ভিক্ষুকের জাতিতেই রেখে গেছে। জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৯৬ এ রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে বাস্তবায়ন শুরু করে। ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ বন্যায় ডুবে যায়। তখন বিশ্ব ব্যাংক সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আশংকা নিয়ে বলেছিল, ‘দুই কাটি মানুষ না খেয়ে মারা যাবে।’ সেই আশংকা মিথ্যা প্রমাণ করে বাংলাদেশ। ৬৯ দিনের বন্যা, ডুবে ছিল দেশ। যেসব এলাকায় বন্যায় আঘাত করেনি যেসব এলাকায় ধানের চারা রোপন শুরু করে সরকার। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরপরই এয়ার ফোর্সের মাধ্যমে সবখানে বীজ পৌঁছে দেয় সরকার। সেই বছরই প্রথম বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে। বঙ্গবন্ধু কন্যা সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার অঙ্গিকার হলো ‘ভিক্ষা করে না, আমরা মাথা উঁচু করে চলব। নিজেদের মর্যাদা নিয়ে আমরা চলতে চাই।’ বাংলাদেশের অঙ্গীকার ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ। জাতির পিতা সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা হবে না।’ বঙ্গবন্ধু কন্যারও একই আহবান জনগণের প্রতি। বাংলাদেশের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নতিই আওয়ামী লীগ সরকারের একমাত্র লক্ষ্য। বঙ্গবন্ধুর কৃষিনীতির পথ ধরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ খাতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও পর্যাপ্ত আর্থিক বরাদ্ধ প্রদানের মাধ্যমে এ খাতটিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে সাফল্য তার মূল বুনিয়াদ গড়ে উঠেছে। একটি টেকসই কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থার মাধ্যমে। জাতির পিতা বিশ্বাস করতেন নদীমাতৃক বাংলাদেশে কৃষি অর্থনীতি সামাজিক কর্মকাণ্ডের মূল চালিকাশক্তি। তিনি কৃষকদের ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ করে দেন। পরিবার প্রতি সর্বোচ্চ ১০০ বিঘা পর্যন্ত জমির সিলিং নির্ধারণ করে দেন। কৃষকদের মধ্যে কৃষি পণ্য বিতরণের পাশাপাশি তিনি কৃষি গবেষণায় গুরুত্ব দেন। বঙ্গবন্ধু গঙ্গা কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প চালু করেন। বঙ্গবন্ধু জনগণের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা, পরিবর্তিত জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলার সামর্থ্যরে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর পথ ধরে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও জনগণের কল্যাণে বিশাল কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা পূরণ করে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সুখী সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশ। বর্তমান বাংলাদেশ ‘খাদ্যশস্য’ উৎপাদনে রোল মডেল। বৈশ্বিক প্রতিকূল পরিবেশ ও যুদ্ধসংঘাতময় পরিস্থিতির মধ্যে ও চলমান কৃষির জয়যাত্রা। দেশ কৃষি পণ্য রপ্তানিতে ১০০ কোটি ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়ে গেছে। দেশে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে চাষের উপযোগী জাত উদ্ভাবন, পুষ্টিসমৃদ্ধ শস্য উৎপাদন, কাজু বাদাম ও কফি প্রভৃতি উচ্চমূল্যের ফসল নিরাপদভাবে দেশের মাটিতে উৎপাদন করা হচ্ছে। বিদেশে রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে আধুনিক প্যাকিং হাউজ নির্মাণ, অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব স্থাপন সহ নানামুখী কাজ চলমান। উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য সার, ডিজেল, বিদ্যু, কৃষি যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য কৃষি উপকরণে বিপুল পরিমাণ উন্নয়ন সহায়তা দিচ্ছে সরকার। সরকার আউশ ও আমন চাষে প্রণোদনা রপ্তানী সহজীকরণ, দেশের দক্ষিণ অঞ্চলে কৃষি উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা সহ জনবান্ধব, কৃষিবান্ধব নীতিতে দেশ চলছে। দেশের মৎস ও প্রাণিসম্পদ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ‘দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ এন্ড অ্যাকুয়া কালচার ২০২২’ শিরোনামের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী স্বাদু পানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এছাড়া ইলিশ সম্পদ ব্যবস্থাপনায় বর্তমান সরকারের ধারাবাহিক সাফল্যে বাংলাদেশ এখন ইলিশ আহরণে বিশ্বে প্রথম। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের দুরদর্শী নেতৃত্বে অর্জিত ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৮১৮ বর্গকিলোমিটার বিশাল সমুদ্র এলাকায় বাংলাদেশের মৎস আহরণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ৫০ বছরে বাংলাদেশ মাছ, মাংস এবং ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং দুধ উৎপাদনে অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক।

বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০০০ সালে বাংলাদেশ খাদ্যে উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার জন্য বাংলাদেশ এফএও কর্তৃক ২০০০ সাল সেরেস পুরস্কার প্রাপ্ত হয়। ২০০১ সালের পরের সরকারের আমলে বাংলাদেশ আবার খাদ্য ঘাটতির দেশে পরিণত হয়। হত্যা, ষড়যন্ত্র নাশকতা এবং বাধা বিপত্তি মোকাবিলা করে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার সফল ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়েও ২০১৫ সালে খাদ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশকে খদ্যে উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত করে। বাংলার কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম, মেধাবী কৃষিবিদদের ঐকান্তি প্রচেষ্টা সর্বোপরি কৃষক দরদী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে খোরপোশের কৃষি আজ বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরিত হয়েছে এবং খাদ্যশস্য উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশ শীর্ষ ১০-এ স্থান করে নিয়েছে। চলতি বছর দুনিয়াজুড়ে খাদ্য উৎপাদনে বিপর্যয় নেমে আসার আশংকা দেখা দিয়েছে।

এ বছর বিশ্বে খাদ্য উৎপাদন কমবে অন্তত ২.১ শতাংশ এমন আশংকা জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার। বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশ কম বিপদে থাকলেও তাতে স্বস্থিতে থাকার সুযোগ নেই। এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘বিশে^র ৩০০ কোটি মানুষের সুষম খাবারের ব্যবস্থা করার সামর্থ্য নেই।’ ১৬ অক্টোবর ২০২২ এ বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে একবার্তায় জাতিসংঘ মহাসচিব এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তার জন্য এক কঠিন সময়ে এবারের বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত হচ্ছে। গত তিন বছরে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। বিশ্বে প্রায় ১০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির মধ্যে দিনযাপন করছে, যেখানে অনাহার এবং মৃত্যু প্রতিদিনকার বাস্তবতার পরিণত হয়েছে। এ বছর আমাদের এ বিশে^ সবার জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য রয়েছে। কিন্তু আগামী বছরের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদনে কৃষকের জরুরি ভিত্তিতে সুলভ মূল্যে সার দরকার।’ ২০২২ সালের বিশ^ খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ‘কাউকে পেছনে ফেলে রাখা যাবে না। অধিক উৎপাদন, অধিক পুষ্টি, আরও ভালো পরিবেশ এবং আরও ভালো জীবন।’ এ আহবান আমলে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শের উত্তরাধিকার বঙ্গবন্ধু কন্যা সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার ঘোষণা, ‘আমাদের মাটি ও মানুষ আছে। তাই এখন থেকেই আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে, বাংলাদেশ যাতে কখনো দুর্ভিক্ষে বা খাদ্য সংকটে না পড়ে।’ তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, ‘এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখবেন না। যে যা পারেন উৎপাদন করেন।’ প্রিয় বাংলাদেশ কৃষি ও কৃষকদের পাশে জাতির পিতার ন্যায় জননেত্রী শেখ হাসিনা আছেন। সুতরাং আমরা সবাই কৃষক হবো উৎপাদন করবো বাড়ির আঙ্গিনায় ও খোলা জায়গায়।সাধারন সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা স্মৃতি পরিষদ

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla