1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০১:৩৬ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
২৯ শে এপ্রিল নিহতদের স্মরণে সাহিত্য পাঠচক্রের স্মরণ সভা পথচারীদের মাঝে শরবত, পানি ও গামছা বিতরণ করলেন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর  হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর পথচারীদের মধ্যে শান্তির শরবত বিতরণ করলেন চট্টগ্রামে বর্ণিল আয়োজনে বন্দর দিবস উদযাপন তৎক্ষালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে যত মানুষ মরার কথা ছিলো, তত মানুষ মরে নাই স্মরণ সভায় ওয়াসিকা আবারও আসছে তিনদিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ চট্টগ্রামে কাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক তাপদাহে পুড়ছে দেশ, ভাঙল ৭৬ বছরের রেকর্ড রাজধানীর সৌদি দূতাবাসে আগুন উত্তর চট্টগ্রামে এই প্রথম ফ্যাকো অপারেশন শুরু করছে চট্টগ্রাম গ্রামীণ চক্ষু হাসপাতাল

চট্টগ্রাম ঘিরে সরকারের পরিকল্পনা

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ শনিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২২
  • ২৭০ বার পড়া হয়েছে

মো. আবদুর রহিম

চট্টগ্রাম বন্দর অর্থনীতির হাব। দেশের চট্টগ্রাম সম্ভাবনার বিশাল এক ক্ষেত্র। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার চট্টগ্রামের মিরসরাই গড়ে তুলেছে ‘বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক জোন’। সেখান থেকে কক্সবাজার যাবে মেরিন ড্রাইভওয়ে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত দুই টিউবের টানেল খুলে যাবে যোগাযোগের স্বর্ণদুয়ার। ইতোমধ্যে রিংরোড নির্মিত হওয়ায় পতেঙ্গা পর্যটন ক্ষেত্র প্রসারিত হয়েছে। নির্মিত হচ্ছে বিমানবন্দর ঘিরে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সাথে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে আরও একটি ফ্লাইওভার। চট্টগ্রাম আউটার রিং রোডের বাস্তবায়ন এবং যান চলাচলে গতি আনতে চট্টগ্রাম নগরীতে নতুন একটি ফ্লাইওভার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) নগরীর ফিরিঙ্গী বাজারের কাছ থেকে কর্ণফুলী পাড় দিয়ে এই ফ্লাইওভার নির্মাণ করে বারিক বিল্ডিং মোড়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সাথে যুক্ত করা হবে। এতে পতেঙ্গা থেকে ফৌজদার হাট হয়ে কালুরঘাট শাহ আমানত ব্রিজের পাশ দিয়ে বারিক বিল্ডিং হয়ে চক্রাকারে আবারো পতেঙ্গায় যাওয়া সম্ভব হবে। চট্টগ্রামে পতেঙ্গা থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত আউটার রিং রোড নির্মিত হয়েছে। বায়েজিদ ও অক্সিজেন হয়ে এই রোড ধরে যাওয়া যাচ্ছে কালুরঘাট, কালুরঘাট থেকে কর্ণফুলী পাড় দিয়ে শাহ আমানত ব্রিজ পর্যন্ত বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। এই রাস্তা শাহ আমানত সেতুর কাছে এসে যুক্ত হবে। অপরদিকে শাহ আমানত সেতু থেকে মেরিন ড্রাইভ হয়ে ফিরিঙ্গীবাজারের ভিতর দিয়ে একটি রাস্তা সদরঘাট হয়ে বারিক বিল্ডিং মোড়ে এসে শেখ মুজিব রোডর সাথে যুক্ত হয়েছে। এছাড়াও শেখ মুজিব রোড থেকে আগ্রাবাদ এক্সেস রোডটি পোর্ট কানেকটিং সড়কে যুক্ত হয়েছে। অলংকার থেকে বিশাল সড়কটি বন্দরের সাথে যুক্ত হয়েছে। নগরীর এ কে খান মোড় থেকে জাকির হোসেন রোডটি জিইসিতে মূল সড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে। কালুরঘাট থেকে আরকান সড়ক বহদ্দারহাট যুক্ত হয়েছে। শাহ আমানত ব্রীজ থেকে রোড সম্প্রসারিত হয়ে এম.এ. মান্নান ফ্লাইওভার ও আক্তারুজ্জামান ফ্লাইওভার হয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যুক্ত হয়েছে। যানজট নিরসনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের চলমান সময়ে সিডিএ, সিটি কর্পোরেশন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ নগরীর সবগুলোর সড়ক প্রশস্তকরণ অবকাঠামো ও উন্নয়ন, বাকলিয়ায় নতুন সড়ক নির্মাণ সহ বহুমুখী উন্নয়ন করে চলেছে। নগরীর মাস্টার প্লানের অংশ হিসেবে আউটার রিং রোড চক্রাকারে বাস্তবায়নে পরিকল্পনা নিয়েছে সিডিএ। এদিকে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চলছে বিদ্যমান খাল সংস্কার ও নালা কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্প। তবে নালা বা খালে বৃষ্টির পানি, জোয়ারের পানি বা জনসাধারনের ব্যবহারের পানি নিষ্কাশনে প্রয়োজনীয় ম্যানহোলে ও পানি দ্রæত চলাচলের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা থেকেই যাচ্ছে। অপরদিকে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু টানেল ঘিরে চট্টগ্রাম কক্সবাজার বিকল্প সড়ক পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক যোগাযোগ সহজতর করতে ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ বিকল্প সড়কের রূপরেখা চুড়ান্ত করছে সরকারের সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সড়কটি কর্ণফুলী টানেল সংযোগ সড়ক থেকে আনোয়ার সদর, বরকল হয়ে চন্দনাইশ কলেজ গেটে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাথে যুক্ত হবে। এতে চট্টগ্রাম কক্সবাজারের দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার কমবে এবং দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ব্যবসা বাণিজ্য ও শিল্প সম্ভাবনা বেগবান হবে বলে মনে করছেন সরকারের সংশ্লিষ্টরা। প্রস্তাবিত এ সড়কটি চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের মাধ্যমে মহেশখালির মাতারবাড়ি পাওয়ার হাব, গভীর সমুদ্র বন্দর ও টেকনাফস্থল বন্দরের সঙ্গে যুক্ত হবে। এ সড়কটি বাস্তবায়ন হলে কর্ণফুলী নদীর বঙ্গবন্ধু টানেল ও ছয় লেনের সংযোগ সড়কের সাথে কক্সবাজারের সরাসরি সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে উঠবে। সরকারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক চারলেনে উন্নয়নও হবে। প্রস্তাবিত সড়কটি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার বিকল্প সড়ক হিসেবেও জনসাধারণ ব্যবহার করবে। চন্দনাইশের গাছবাড়িয়া থেকে চন্দনাইশ সদর, বরকল সেতু, আনোয়ারা সদর হয়ে আনোয়ারা কালাবিবির দীঘি মোড়ে এসে ছয় লেনের টানেল সংযোগ সড়কের সঙ্গে যুক্ত হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার সমগ্র দেশে যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে পৌঁছে দিতে চান। সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করতে রূপকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে তৎপর। তবে বাংলাদেশের যুব সমাজই দেশের অনেক বড় শক্তি। দোহাজারি-কক্সবাজার রেল লাইন সম্প্রসারণ, চট্টগ্রাম-দোহাজারি রেল লাইন সংস্কার, কর্ণফুলি নদীর উপর রেল লাইন যুক্ত নতুন ব্রীজ নির্মাণ প্রকল্পও হাতে নিয়েছে সরকার। মোট কথায় কক্সবাজারের পর্যটনকে গতিশীল দেশী-বিদেশী পর্যটকদের কাছে সহজতর করা ও আকর্ষনীয় করার লক্ষ্যে কক্সবাজারে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে। এছাড়াও দেশের পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি-বান্দরবানের সড়ক নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন হচ্ছে। দেশের প্রতিটি জেলা, শহর, উপজেলা ও ইউনিয়নে যোগাযোগ নেটওয়াক গড়ে তোলা শেষ হলে পৃথিবী দেখবে বাংলাদেশকে। এ দেশটিকে যারা ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র চোখে দেখত, যারা স্বাধীন এই বীরের জাতিকে উপহাস করত, যারা বীর বাঙালির বীরত্বকে তুচ্ছ জ্ঞান করত তারা আজ দেখছে বাংলাদেশ কত উচ্চতায় উঠতে পারে। বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রামে বে-টার্মিনালের কাজ শুরু হবে ২০২৩ সালে। ইতোমধ্যে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল চালু হয়ে গেছে। চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন হয়েছে বহুমাত্রিক। দেশবাসীর আশা ২০২৩ সালের আগস্টের মধ্যে ট্রেন যাবে কক্সবাজার। বর্তমানে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর শীর্ষে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের ই-গভর্ণমেন্ট ডেভেলপমেন্ট জরিপে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শূণ্য দশমিক ৫৬৩০ স্কোর পেয়ে শীর্ষে আছে। এরপর ভূটান শূণ্য দশমিক ৫৫২১, রুয়ান্ডা শূণ্য দশমিক ৫৪৮৯, নেপাল শূণ্য দশমিক ৫১১৭ এবং কম্বোডিয়া শূণ্য দশমিক ৫০৫৬ পেয়েছে। ১৯৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১১ তম। এর আগে ২০২০ সালে বাংলাদেশের স্থান ছিল ১১৯ তম। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ১১৫তম স্থানে অবস্থান ছিল। জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ডিজিটাল আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে অসাধারণ উন্নতি করেছে। জাতিসংঘ ২০২২ সালের জরিপে এ তথ্য প্রকাশ করে। বাংলাদেশ বেশ কয়েক বছর ধরে বিশে^র অন্যতম শীর্ষ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দেশ হিসেবে পরিচিত। এ পরিচিতি এক সময়কার সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া দেশের শীর্ষস্থানের সাফল্যের সে সোনালি পলক সংযোজন করেছে তা অনন্যা। তবে বর্তমান বৈশি^ক অর্থনৈতিক মন্দার মুখে বাংলাদেশ। চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থ বছর সাড়ে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের সে লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল তা সম্ভব হবে কিনা বড় প্রশ্ন হয়ে উঠেছে। ডলারের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়েই পুরো অর্থনীতি প্রায় তছনছ হয়ে যাচ্ছে। আমদানি ব্যয় বেশি হওয়ায় বাণিজ্য ঘাটতিতে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের প্রকল্প বাস্তবায়ন ও বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। সামষ্টিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি বাধার মুখে পড়েছে। বিশ^ব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক চলতি বছর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির যে পূর্বাভাস দিয়েছে তা বিশ^বাস্তবতায় অন্তত দেড়শ দেশের চেয়ে ভালো। তবে সরকার বিশ^ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সতর্ক অবস্থানে আছে। তবে বাংলাদেশ সরকার দেশের যুব সমাজকে সেই ২০৪১ এর কারিগর হিসেবে দেখতে চায়। তারাই দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবে। এ লক্ষ্যে সরকার ১৯৯৬ সাল থেকে দেশের যুব সমাজকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করার উদ্যোগ নিয়ে প্রযুক্তি ও কম্পিউটার শেখার জন্য আইটি পার্ক প্রতিষ্ঠা করেছে। মোট কথায় সরকার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাশাপাশি গোটা বাংলাদেশের চেহারা বদলে দেবে। দেশের মানুষ পাবে সুখ, শান্তি ও স্বস্থি। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব যতদিন থাকবে, ততদিনই ভালো থাকবে বাংলাদেশ। সাধারন সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা স্মৃতি পরিষদ।

 

 

 

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla