1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :

রাজনীতির মাঠ উত্তাপ, চলছে গভীর সমীকরণ

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১২৯ বার পড়া হয়েছে

    রিয়াজুর রহমান রিয়াজ
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশজুড়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তাপ ছড়াচ্ছে। সরকারবিরোধীদের মধ্যে প্রধান দল বিএনপি বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে। একই সঙ্গে তারা এসব কর্মসূচি পালনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারি দলের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে । এ পটভূমিতে সংসদ নির্বাচন ঘিরে সহিংসতার শঙ্কাও ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনটি যে অত্যন্ত বিতর্কিত ও অগ্রহণযোগ্য ছিল, তা ক্ষমতাসীন দলের মধ্যেও এ নিয়ে সংশয়ের অবকাশ নেই। যে নির্বাচনে বিনাভোটে সরকার গঠন করার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জিত হয়, তা কোনো সচেতন মানুষের কাছেই গ্রহণযোগ্যতা পায় না। এমন ইতিহাস বিশ্বের আর কোনো দেশে নেই। ইতিহাস নেই বলে যে হবে না, এমন গ্যারান্টি দেয়া যায় না। ‘সু’ অথবা ‘কু’ যেটাই হোক না কেন, ঘটনার মধ্য দিয়ে সে ইতিহাস সৃষ্টি হয়। আমাদের দেশে বিনাভোটে সরকার গঠন করার মতো নির্বাচন হয়ে একটি ‘কু’ ইতিহাস রচিত হয়েছে। এতে ক্ষমতাসীন দল বিন্দুমাত্র লজ্জিত হয়নি। বরং বিরোধীদলকে দমন করে পাঁচ বছর কাটিয়ে দেয়। ক্ষমতাসীন দলের অধীনে নির্বাচন করবে না বলে ২০১৪ সালের যে নির্বাচন বিরোধীদল বিএনপি ও তার জোট বর্জন করেছিল, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে সেই ক্ষমতাসীন দলের অধীনেই তারা অংশগ্রহণ করে। এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল পুনরায় জয়লাভ করার এমন কৌশল অবলম্বন করে যে, বিরোধীদল ঘুর্ণাক্ষরেও তা টের পায়নি। নির্বাচনের আগের রাতেই ব্যালটবক্স ভর্তি করে নিজের বিজয় সুনিশ্চিত করে ফেলে। পরদিন শুধু লোক দেখানো শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখিয়ে দেয়। এ নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা হলেও ক্ষমতাসীন দল তাতে কোন পাত্তা দেয়নি। এ দুটি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের কৌশল ছিল অভিনব ও চমকপ্রদ। প্রথমটি ছিল, জোরজবরদস্তি ও ক্ষমতার দাপটের। দ্বিতীয়টি ছিল, শান্তিপূর্ণ চালাকির। এতে ক্ষমতাসীন দল ক্ষমতা ধরে রাখতে পারলেও তার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে।
সংবিধানের বিধান অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে।  নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দল ও জোটের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের হিসাব-নিকাশ ও সমীকরণ শুরু হয়েছে। নতুন জোট গঠন, পুরনো জোটের নতুন কর্মকৌশল, মেরুকরণ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরে বাইরে চলছে আলোচনা-পর্যালোচনা।
এছাড়া গত বুধবার ( ১৪ সেপ্টেম্বর)  রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোডম্যাপে ১৪টি চ্যালেঞ্জ ও ১৯টি উত্তরণের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপে প্রতিটি ভোটকক্ষে সিসিটিভি স্থাপন এবং সারাদেশে ৩০০ আসনের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার হবে বলে ঘোষণা করা হয় । নির্বাচন কমিশন বলছে, তাদের এই রোডম্যাপের উদ্দেশ্য, ভোট করতে ইচ্ছুক নিবন্ধিত দলগুলোকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনা। এদিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এই রোডম্যাপকে স্বাগত জানালেও বিএনপি ও জাতীয় পার্টি বলছে, বর্তমান ইসির সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষমতা বা যোগ্যতা নেই। তারা সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে রোডম্যাপ করেছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ইসির রোডম্যাপ সংশোধন না করলে ২০১৪ ও ১৮ সালের মতোই নির্বাচন হবে। ক্ষমতাসীন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা (এমপি) পদত্যাগ না করেই নির্বাচনে যাওয়ার সুযোগ গ্রহণ করলে অন্যান্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার সমান ক্ষেত্র নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এটা লেভেল-প্লেইং ফিল্ডের অন্তরায়। যে কারণে সুষ্ঠু, অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন বাস্তবায়নের জন্য বিষয়টি রহিত করে আইনি সংস্কার গ্রহণ করা প্রয়োজন।
এই রোডম্যাপকে ‘আওয়ামী লীগ সরকারকে টিকিয়ে রাখার ষড়যন্ত্র’ বলে অভিহিত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন গণতন্ত্র চায় না। তারা এখন আওয়ামী লীগের মোসাহেবি করছে, গোলামি করছে। এই ইসিকে নিয়ে আমাদের কথা বলার কথা নয়। এদের নিয়ে আমাদের মাথা ব্যথা নেই। এই সরকারকে যেখানে আমরা মানি না, এই ইসিকে আমরা মানবো কেন?
সব মিলিয়ে বলা যায়, রাজনৈতির মাঠে এখন চরম উওেজনা বিরাজ করছে। তাই নির্বাচন কেমন হবে, কিভাবে হবে এবং আদৌ হবে কি না! এসব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। সরকার নির্বাচন করতে চাইবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে যদি তাদের ভরাডুবির আশঙ্কা তীব্রতর হয়ে উঠে তাহলে নির্বাচন হয়তো আদৌ হবে না। বিএনপিসহ  বিরোধী দলগুলো নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে নির্বাচনকালীন সরকার চাইছে। সেটা হোক তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আর দেশে কতটুকু গনতন্ত্রের চর্চা বিদ্যমান, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবুও আমাদের বলতে হয়  বাংলাদেশ একটি গনতান্ত্রিক দেশ। আর গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহ বোধ আগের মত তেমন একটা নাই বললেই চলে। যদিও বিরোধী দলের নির্বাচন বর্জনের কারণে গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। তার পরেও নির্বাচন বর্জনের মাধ্যমে হচ্ছে না  কোন সমস্যার সমাধান । এছাড়া দেশে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক ময়দানে যোগ-বিয়োগ পূরণ-ভাগ চলছে। বাংলাদেশের সমাজ শতধাবিভক্ত। এই বিভক্তির মাঝে ঐক্য সাধন বড়ই কঠিন কাজ। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর আদর্শের রাজনীতির স্থান দখল করে ক্ষমতার রাজনীতি। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যা ইচ্ছা বলা হয়। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যা ইচ্ছা করা হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের পরও এই সমীকরণ বদলায়নি এতটুকু।  ১৯৭১ সালের বিজয়ের পর জাতীয় স্বার্থে ‘জাতীয় সরকার’ গঠনের আহ্বান জানানো হয়। পৃথিবীর অন্যত্র মুক্তিযুদ্ধের পর জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে সরকার গঠিত হতে দেখা যায়। কিন্তু  বাংলাদেশে তা হয়নি।
১৯৮১ সালে দেশে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে। প্রেসিডেন্ট এরশাদ বন্দুকের মুখে ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটান। ১৯৯১ সালে এ দেশের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে জিয়াউর রহমানের আদর্শের দল বিএনপি জয়লাভ করে। ১৯৯৬ সালে ওই আদর্শের বিপরীত শক্তি আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে। ক্ষমতায় আসার পর তারা স্বরূপ ধারণ করে। পরবর্তীতে ফের ২০০১ সালে নির্বাচনে জিয়াউর রহমানের আদর্শে পুষ্ট, ইসলামী মূল্যবোধসমৃদ্ধ চারদলীয় জোট ক্ষমতায় ফিরে আসে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইসলামী মূল্যবোধ এবং ধর্মনিরপেক্ষ ধারার বিভাজন তীব্রতর হয়ে উঠে। উভয় আদর্শের সপক্ষে এবং বিপক্ষে রাজনৈতিক দল ও শক্তিগুলোর স্পষ্ট সমীকরণ ঘটে। ২০০৮ সালের নির্বাচন- পরবর্তীকালে এক দিকে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির মহাজোটের আত্মপ্রকাশ ঘটে। অপর দিকে ইসলামী ভাবধারার ২০টি দল একত্র হলো। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বৃহত্তর অর্থে ক্ষমতার ভিত্তি হিসেবে দু’টি জোটের বিপরীত অবস্থান বা সমীকরণ স্পষ্ট হয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনের প্রাক্কালে আবারো রাজনৈতিক সমীকরণের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ঘটে।  ২০ দলীয় জোটকে বহাল রেখে ঐক্যফ্রন্ট নামে মিশ্র জোটের আবির্ভাব ঘটে। এ সময়ে আওয়ামী কর্তৃত্ববাদী সরকারকে পরাজিত করার স্বার্থে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী নমনীয় শক্তির সাথে ইসলামী মূল্যবোধের দুর্বল সমীকরণ লক্ষ করা যায়। নিশীথ রাতের নির্বাচনে জয়লাভের পর কার্যত ঐক্যফ্রন্ট নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে।
এরূপ সমীকরণের পর আগামী ২০২৩ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যাচ্ছে। বিরোধী ডান ও বাম ধারা নির্বিশেষে সব রাজনৈতিক দল ও পক্ষ ক্ষমতাসীন শক্তিকে অপসারণের লক্ষ্যে নতুন অধ্যায় রচিত করতে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন জোটের বিপরীতে আরেকটি বড় ধরনের জোট কৌশলগতভাবে আত্মপ্রকাশ করছে না। ১৯৯০ সালে এরশাদ পতন আন্দোলনে তিনটি জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল। আদর্শিকভাবে চিহ্নিত করলে তিনটি ধারা দৃশ্যমান হয়। এগুলো ছিল ক্ষমতাশ্রয়ী আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট। দ্বিতীয়ত, জাতীয়তাবাদী জোট। তৃতীয়ত, বাম ধারার সাতদলীয় জোট। এরা আদর্শিকভাবে পরস্পর বিচ্ছিন্ন ও বিপরীত ধারা অনুসরণ করলেও এরশাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষেত্রে একমত ছিল। যুগপৎ আন্দোলন ছিল তাদের রণকৌশল। এদিকে  দীর্ঘ আন্দোলনের পর প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নতুন করে নতুন কৌশলে রাজনৈতিক সমীকরণ ঘটাতে তৎপর হয়েছে।
সরকারকে হঠাতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে ইতিমধ্যে  বিএনপি বিভিন্ন দলের সাথে  যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলন করতে তারা ডান-বামসহ বিভিন্ন ও বিপরীত মতের রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা এগিয়ে নিচ্ছে। সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী,   প্রতিটি রাজনৈতিক দল অভিন্ন লক্ষ্যে যুগপৎ আন্দোলন করতে সম্মতি জ্ঞাপন করেছে। বিএনপির রাজনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে  আলোচনা  শেষ হলে দাবিগুলো আরো সুনির্দিষ্ট করে একটি রূপরেখা ঘোষণা করা হবে। এর ভিত্তিতে সরকার পতন আন্দোলন পরিচালিত হবে।  বিএনপি জোটের বাইরে বিশেষত বাম-ধারার রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপকেও গুরুত্ব দিচ্ছে। এসব রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ভূমিকা না থাকলেও বুদ্ধিবৃত্তিক ও গণমাধ্যমভিত্তিক ভূমিকা রয়েছে। অপর দিকে, কৌশলগতভাবে ইসলামী শক্তির সাথেও বিএনপির সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে। কৌশলগত কারণে বিএনপি ইসলামিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগে সতর্কতা অবলম্বন করছে। বিশেষত প্রধান ইসলামিক দলটি নিয়ে বাম-ধারার বাধার সম্মুখীন হচ্ছে বিএনপি। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করে, ব্যক্তি নয় জনগণের সমর্থন যদি সম্পর্কের ভিত হয় তাহলে নির্বাচনী বাস্তবতা মেনে নিতে হবে। এদিকে আগমী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দলও তাদের সমীকরণ শুরু করেছে। তারা মহাজোটের মাধ্যমেই নির্বাচনী জোট করার চিন্তা ভাবনা করছে।  অপরদিকে আগামী নির্বাচনকে টার্গেট করে মাঠে নামতে বর্তমানে বেশ সক্রিয় বিএনপি। সে লক্ষে দলটি দুটি বিষয়কে সামনে রেখে এগোচ্ছে। প্রথমটি হচ্ছে বর্তমান সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় সে বিষয়ে ঐকমত্য গড়ে তোলা। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায়ে সরকারবিরোধী দলগুলোকে এক প্ল্যাটফর্মে আনা। চলতি বছরের শুরুর দিকে সরকারের বিরুদ্ধে থাকা দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন বিএনপি নেতারা। জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে বৃহত্তর আন্দোলনের লক্ষে প্রায় ৩০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিএনপির অনানুষ্ঠানিক বৈঠকও হয়। শুরুর দিকে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া দ্রুত এগোলেও ‘জাতীয় সরকার’ ইস্যুতে তা বাধাগ্রস্ত হয় সেটি।
 আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন  বিদ্যমান সংবিধান ও আইনের মধ্যে থেকে কতটা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করা যাবে— তা নিয়ে যেহেতু যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে এবং ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া যেহেতু একা নির্বাচন কমিশনের পক্ষে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সম্ভব নয়, ফলে সরকার বা সরকারি দল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে— সেটিও গুরুত্বপূর্ণ।
পরিশেষে বলবো, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়, সে বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলকে সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গিতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয়, জনগণ যদি ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়, তবে দেশ ও জাতির ধ্বংস অনিবার্য। কাজেই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ প্রদান করা খুবই জরুরি।
 (লেখক : সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক,
ব্যুরো প্রধান চট্টগ্রাম – দৈনিক বর্তমান )
শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla