জাতীয় শ্রমিক লীগ চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা অদ্য ১৭ মার্চ ২০২১ইং তারিখ বিকাল ৪টায় সংগঠনের সভাপতি বখতেয়ার উদ্দিন খান এর সভাপতিত্বে দারুল ফজল মার্কেট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় জাতীয় শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় ক্রাফ্ট বিষয়ক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর শ্রমিকলীগের সভাপতি বখতেয়ার উদ্দিন খান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৪৮ ইং থেকে বাংলা ভাষা, আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ৬ দফা আন্দোলন, গণআন্দোলনের সূচনা করেছিলেন। তিনি বাংলার মানুষের অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার লক্ষে গণমানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য গ্রামে গ্রামে সভা, সমিতি করে মানুষকে উজ্জীবিত করেছিলেন। সকল চক্রান্ত উপেক্ষা করে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাঘরিষ্ঠতা লাভ করেছিলেন। অত:পর পাকিস্তানী শাসক চক্র বঙ্গবন্ধুর দাবি আদায়ে ষড়যন্ত্র করায় তিনি ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ ঐতিহাসিক সরওয়ার্দী উদ্যানের বিশাল জনসভা থেকে মূলত বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মো. মাহফুজুর রহমান খান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব টুঙ্গিপাড়ায় সম্ভ্রান্ত শেখ পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি গোপালগঞ্জেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক লেখাপড়া সমাপ্ত করেন। অত:পর তিনি কলিকাতায় লেখাপড়া শুরু করেন। তিনি কলিকাতা ইসলামিয়া কলেজের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। কলিকাতা থাকালীন সময়ে তিনি বাংলার নেতা ব্যারিস্টার সোহরাওয়ার্দী সাহেব এবং শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক সাহেবের সান্নিধ্যে এসে রাজনৈতিক কর্মকান্ড শুরু করেন। তাঁর নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল। ১৯৫৪ সালে যুক্ত ফ্রন্টের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট সরকার গঠনে তাঁর বিশেষ ভূমিকা ছিল। তিনি আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন। শিক্ষা কমিশন আন্দোলনে তিনি সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছিলেন। ১৯৬৪ সালে নির্বাচন, ৬ দফা আন্দোলন ও বাংলার স্বায়ত্বশাসন আন্দোলনের তিনি সূচনা করেছিলেন, সে আন্দোলনের সর্বশেষ রূপ ঐতিহাসিক সরওয়ার্দী উদ্যানে লক্ষ জনতার সভায় তিনি বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধ সূচনা করেছিলেন। যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কবি নাজিম উদ্দিন শ্যামল বলেন, বঙ্গন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু মহান আল্লাহর সহায় ও জনগণের তীব্র আন্দোলনের মুখে বঙ্গবন্ধু সকল চক্রান্ত প্রতিহত করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন।
জাতীয় শ্রমিক লীগ কালুরঘাট আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের সভাপতি আলী আকবর, জাতীয় শ্রমিক লীগ নাসিরাবাদ আঞ্চলিক শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল বশর মাস্টার, জাতীয় শ্রমিক লীগ, টিএন্ডটি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন চট্টগ্রাম অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. মুজিবুর রহমান ভূইয়া, সম্মিলিতি গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মো. আলাউদ্দিন, শ্যাম দুলাল, জহুর হকার্স মার্কেট দোকান কর্মচারী সমিতির সভাপতি এস.এম সাহাব উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ বড়ুয়া, জহুর হকার্স মার্কেট দর্জি শ্রমিক লীগের সভাপতি কাঞ্চন দাশ, বায়েজিদ থানা শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. দিদার, তামাকুমন্ডি লেইন দোকান কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সালাহ উদ্দিন, আমিন জুট মিল শ্রমিক লীগ নেতা মোরশেদ আলম, বন্দর থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সৈয়দ, মঞ্জুর আলম, সংবাদপত্র হকার্সলীগের সভাপতি সরোয়ার আলম। বক্তব্য রাখেন থানা শ্রমিক লীগের নেতা সর্বজনাব জিয়াউল হক সুমন, মো. রাশেদুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন, ফখরুল ইসলাম, মো. জাবেদ, নিয়াজ মোহাম্মদ, স্বপন কুমার সিংহ, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মাসুম, মো. মোরশেদ, মো. সোহেল হক, মো. জাহাঙ্গীর, হান্নান মাঝি, সুমন মাঝি, মো. সেলিম, মো. ইসমাইল সরকার প্রমুখ।