আপনি হইলেন, বর্তমান বিপ্লবী সরকার আমলের প্রধান নির্বাচন কমিশনার। শুনিয়াছি, শিক্ষাজীবনে আপনি মেধার স্বাক্ষর রাখিয়াছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৭৭ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করিয়াছেন আপনি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করিয়া স্নাতক ডিগ্রি লাভ ও একই বিষয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করিয়া স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করিয়াছিলেন। স্নাতকে অসামান্য ফলাফলের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্বর্ণপদক লাভ করিয়াছেন আপনি। উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় কুমিল্লা বোর্ডে ১৮তম স্থানসহ প্রথম বিভাগ এবং মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় কুমিল্লা বোর্ডে ৩য় স্থানসহ প্রথম বিভাগ অর্জন করা মেধাবী সন্তান আপনি।
আপনি সরকারি বিভিন্ন সভা সেমিনার ও প্রশিক্ষণে যোগদানের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইনস, চায়না, মঙ্গোলিয়া, হংকং, সিংগাপুর, থাইল্যান্ড, শ্রীলংকা, ভারত, নেপাল, সৌদী আরব, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জার্মানি, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, রাশিয়া, ডেনমার্ক, অষ্ট্রেলিয়া, মেক্সিকো, উজবেকিস্তান, সেনেগাল, ইন্দোনেশিয়া ও মায়ানমারসহ বিভিন্ন দেশ সফর করিয়া প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতায় নিজেকে পাকাপোক্ত করিয়াছেন। যাহা দেশের কল্যাণে কাজে লাগাইবার উত্তম সময় আসিয়াছে এখন।
বাংলাদেশের দক্ষিণ চট্টগ্রামে কিছু রোহিঙ্গাদের কারণে হালনাগাদ নতুন ভোটার ও অভিভাবকগণ নানান হয়রাণীর শিকার হইতেছে বলিয়া অভিযোগ পাইতেছি। ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ ভোটার প্রত্যয়ন পত্র নিতে একেক রকম অর্থ নিতেছে। জীবনে একবারই মাত্র এই সনদ কাজে লাগিবে, এইরকম একটি সনদ নতুন ভোটারদেরকে ফ্রিতে দেওয়া যায় না ? আপনার দপ্তর থেকে একটি নির্দেশ দিলে সাধারণ নাগরিকগণ স্বস্থি পাইবে বলিয়া অভিজ্ঞ লোকেরা বলিতেছে। একজন নতুন ভোটার হতে সকল কাগজ পত্র জোগার করিতে অপ্রত্যাশিত রকম টাকা খরছ হইতেছে। এইসব কেন ? বরং নতুন ভোটারদেরকে স্বাগত জানিয়ে নিজের ও দেশের কল্যাণে কাজ করিবার জন্য উৎসাহমূলক প্রকল্প প্রণয়ন করা যাইতে পারে।বিষয়টি আপনি ভাবিয়া দেখিবেন।
দেশজুড়িয়া রাজনৈতিক দলগুলো দুইভাগে শুধুমাত্র ‘ইমো’ রক্ষার্থে ভাগ হইয়া গিয়াছে। বিএনপি বলিতেছে আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আর জামায়াতে ইসলাম বলিতেছে আগে স্থানীয় নির্বাচন। দেশের সাধারণ জনগণ এখন বিভ্রান্তিতে পড়িয়াছে ও মাঠে ময়দানে দুই গ্রুপে রুপ নিতেছে। অভিক্ষ রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলিতেছে, ইচ্ছা করিলে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন একই দিনেও করা সম্ভব। একজন ভোটার মেম্বার পদে ১ জন, মহিলা মেম্বার পদে ১জন, চেয়ারম্যান পদে ১জন, উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ১জন, মহিলা/পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১জন ও এমপি পদে ১ জনকে ভোট দিবেন। এই ফর্মূলায় বারবার নির্বাচন থেকে জাতি বাঁচিবে ও নির্বাচনী ব্যয়ও কমিয়া আসিবে তবে এইরকম করিলে জনবল বেশী নিয়োগ দিতে হইবে নির্বাচনী কাজে। ৪ প্রদেশে ৪দিন ভোট করিলে বাংলাদেশ নির্বাচন সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করিতে পারিবে।এইক্ষেত্রে সকল প্রতিনিধির মেয়াদ হইবে সমান। ফর্মূলা কাজে লাগানো যায় কিনা ভাবিয়া দেখিবেন ।
আজ আর না , আপনার মঙ্গল ও সুস্বাস্থ্য কামনায় আপনারই গ্রাম বাংলা অখ্যাত ঠাণ্ডা মিয়া ম.আ.হ
আগামী সংখ্যায় জাতীয় নাগরিক পার্টি আহবায়ক নাহিদ ইসলাম সমীপে ঠান্ডা মিয়ার গরম কথা (৩৪৫) সম্প্রচার হইবে। গত সংখ্যায় বিএনপির চেয়ারপারসন তারেক জিয়া ঠান্ডা মিয়া গরম কথা (৩৪৩) প্রকাশিত হইয়াছে।