1. banglapostbd@gmail.com : admin :
  2. admin@purbobangla.net : purbobangla :
- পূর্ব বাংলা
রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:১৩ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
ক্ষমতার সামনে দাঁড়িয়ে সত্য বলার সাহস থাকাই হলো সাংবাদিকতা ক্ষমতার সামনে দাঁড়িয়ে সত্য বলার সাহস থাকাই হলো সাংবাদিকতা শহীদ সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর কবর জিয়ারত করলেন বিএনপি নেতা বিপ্লব মাওলানা শাহ সুফি মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন মমিন (রঃ) এবং কবরবাসী স্বরণে ১ম বার্ষিক দোয়া মাহফিল ইউনেস্কো ক্লাব এর উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন বায়েজিদ বোস্তামী ও মালেক শাহ (র.) ওরশ সম্পন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ফোরকানিয়া মাদরাসা শিক্ষক সমিতির কার্যকরী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত  আল্লামা আবুল খাইর ফাউন্ডেশন ২৬৫ জন রোগীর ছানি অপারেশন করালেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হলে রাজপথ ছাড়বো না: হান্নান মাসউদ

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

মূল্য ফেরত দিয়ে দায়মুক্ত হতে চাচ্ছ ফুলকলি কর্তৃপক্ষ

 

ভুক্তভোগীর করা পোস্ট হুবুহু তুলে ধরা হলো

আমি গত ১৫/০২/২০২৫ বিকাল ৪:০০ টার একটু পর করে ফুলকলি আগ্রাবাদ শাখা থেকে কিছু নাস্তা কিনি বাসার জন্য ।তারমধ্যে ১৫ পিস বাকরখানি নিয়েছিলাম সেদিন ই বাকরখানি গুলো খেয়ে আমার পরিবারের ৭ জন সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন খেয়াল করলাম ভালো বাকরখানি গুলোর মধ্যে ৫টি নষ্ট মেশানো ছিলো। খাওয়ার পর বাকি যেগুলো ছিলো তা আউটলেটে নিয়ে তাদেরকে দেখায়। শুরুতে আমি তাদের কাছে জবাবদিহিতা চাইলে তারা তা অস্বীকার করে এবং কৌশলে নষ্ট বাকরখানি গুলো লুকিয়ে ফেলার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে আমি ম্যানেজারকেও নষ্ট বাকরখানি গুলো দেখায় এবং তিনি বিষয়টি প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে নষ্ট গুলো পরিবর্তন করে দিতে সম্মত হোন।কিন্তু আমি বাকরখানি গুলো নিতে রাজি হই নি যেহেতু আমার পরিবারের সদস্যরা ওগুলো খেয়ে অসুস্থ হয়েছে। এক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন রকমের অজুহাত দেখান, একবার বলেন ফ্যাক্টরি থেকে নষ্ট পন্য এসেছে, আরেকবার বলে কাঁচা পন্য নষ্ট হয়ে যেতেই পারে। কিন্তু আমার চিন্তার বিষয় হচ্ছে পন্য নষ্ট হয়েছে সেটা তারা পর্যবেক্ষণ করলো না কেন??? এবং ভালো পন্যের সাথে সেগুলো কাস্টমারকে দেওয়া হলো কেন???যারা অসুস্থ হয়েছে তাদের এই ক্ষতির দায়ভার কে নিবে???এই বিষয় গুলো আমি তাদেরকে বললে তাদের কর্মচারী তর্কে জড়ানোর বহুবার চেষ্টা করে(ছবির লোকটি)। পরবর্তীতে ওই শাখার ম্যানেজার আমাকে ১৫টি বাকরখানির মূল্য ফেরত দেয়।

জনস্বার্থে বিষয়টি সবাইকে অবগত করলাম এবং এধরনের অনিয়মের জন্য তাদেরকে কি কোন বিচারের আওতায় আনা হবে না???
সংশ্লিষ্ট কোন কতৃপক্ষের নজরে বিষয়টি আনার উপায় থাকলে আমাকে জানাবেন কিংবা তাদের কাছে বিষয়টি পৌঁছে দিবেন।

পোস্টের উপর ভিত্তি করে যোগাযোগ করা হয় ভুক্তভোগীর সাথে। এবিষয়ে ভুক্তভোগী জানান তিনি এ পোস্ট করেছেন তার মত করে কেউ যেন এমন কোনো পরিস্থিতি তে না পরেন।
তাদের থেকে পন্য নিবেন পন্য ব্যবহার এর পর অসুস্থ হবেন আপনি যদি প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ করেন তাহলে রাগের মুখে পরতে হবে।
ভুক্তভোগী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী বলে জানা যায়।

এবিষয়ে ফুলকলির জি.এম এস.এম সবুর এর সাথে যোগাযোগ করা হয়।
বিষয় টা প্রথমে তিনি জানেন না বলে জানান, তিনি বিষয় টা জেনে জানাবেন বলে জানান!
তবে প্রশ্ন যখন হয় খাবারের মান নিয়ে তখন তিনি ফ্যাক্টরি থেকে খারাপ পন্য শো-রুমে দেয়া হয় না বলে জানান, আর কোনো কারণে মেয়াদ উত্তীর্ণ পন্য তাদের শো-রুমে গেলে তারা এসব কেন রাখবেন বলে তিনি এমন প্রশ্নই করেন। তবে তার ভাষ্য মতে ফেক্টরি থেকে ভালো পন্য যায় এখন পন্য যদি খারাপ হয় তার দ্বায় প্রথম শো-রুম কতৃপক্ষকে দিলেও পরে তিনি তার দ্বায়িত্ব থেকে সরে যেতে পারেন না বলেন।
পরে তার থেকে তাদের শাখাতে কর্মরত ম্যানেজারের ফোন নাম্বার চাওয়া হয়। তবে, তিনি এক পর্যায়ে গিয়ে তার সাথে কথা বলে শেষ করতে বলেন।

এবিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য না পাওয়ায় পুনরায় তার সাথে যোগাযোগ করা হয়!
তখন তিনি বলেন অভিযোগ এর বিষয় টা তিনি জানেন তবে তার শাখার ম্যানেজার এর সাথে না বললেও চলে তার থেকে বিষয় টা জানতে বলেন। পরে তিনি বলেন, যে কর্মচারী কাস্টমার এর তর্কে করেছেন তাকে চাকুরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তবে খাবারের মান বা তাদের খাবার খেয়ে কেউ অসুস্থ হলে তার দ্বায়ভার কার তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায় নি।

এবিষয়ে চট্টগ্রাম ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ যোগাযোগ করা হয়।
তিনি জানান ভুক্তভোগী যদি অভিযোগ দাখিল করে তাহলে তারা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

তবে ফুলকলি থেকে খাবার মান নিয়ে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায় নি।
তবে প্রশ্ন থেকে যায় তাদের ফেক্টরি তে তৈরি হওয়া খাবার এর জন্য যদি কেউ অসুস্থ হয় তাহলে তার দায়িত্ব কে নিবে?
ফুলকলির জি এম বলছেন শো-রুমের দোষ।
তবে উল্লেখযোগ্য যে কেউ যদি ফুলকলির শাখা নিতে চাই তাহলে তাকে ৩ লক্ষ টাকা পরিশোধ করে তাকে কোম্পানি থেকে শো-রুম নিতে হবে।
এবং ব্যবসার টাকা ভাগ হবে ৮০% কোম্পানির আর শো-রুম কতৃপক্ষ পাবে ২০%
এর মধ্যে শো-রুম কতৃপক্ষ যা খরচ আছে দোকান ভাড়া থেকে শুরু কর্মচারী বেতন সব শো-রুম কতৃপক্ষ বহন করবে।

তবে কোম্পানি আর শো-রুম টাকার ভাগ ঠিক রাখলেও সাধারণ জনগণের শরীরের চিন্তা কারো নেই।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla