আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত এর চেয়ারম্যান আওলাদে রাসূল (দ:) পীরে কামেল আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী বলেছেন- ইসলামের সংবিধিবদ্ধ রীতিনীতি, বিধি-বিধান সম্বলিত ঐশীগ্রন্থ পবিত্র আল কোরআন হচ্ছে তাবৎ বিশ্ববাসীর জন্য পথ নির্দেশক। পবিত্র কোরআনের মধ্যেই নিহিত রয়েছে সাম্য ও শান্তির ফল্গুধারা। দীর্ঘ প্রায় ১৫০০ বছর যাবত ইসলামের আলোকোজ্জ্বল ভূমিকা নিয়ে অনেকেই আঙ্গুল তুলেছে কিন্তু সফল হতে পারেনি। এমনকি মহাপ্রলয় অবধি এ শ্বাশত আদর্শ অম্লান ও অক্ষয় থাকবে। কোরআন বিমূখতাই বিশ্বশান্তির অন্তরায় বলে তিনি মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত এর কো চেয়ারম্যান প্রথিতযশা আলেমেদ্বীন শায়খুল ইসলাম অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর সূরা আম্বিয়ার দরস দিতে গিয়ে বলেছেন -মানবজাতির ইহ ও পরকালীন শান্তি এবং মুক্তির একমাত্র গাইড পবিত্র ঐশীগ্রন্থ আলকোরআন। কোরআনের মর্মবাণীর মাহাত্ন্য- গুরুত্ব উপেক্ষিত হওয়ায় মুসলিম কমিউনিটিতে অনৈক্য-বিভক্তি ও বিভাজন বর্ধিঞ্চু। যার নেতিবাচক পরিণতিতে ধর্মানুরাগী মানুষের একটি অংশ একদিকে ক্রমশঃ ভ্রষ্টতার দিকে ধাবিত হচ্ছে, অপরদিকে কোরআনে পরিপূর্ণভাবে নিষিদ্ধ এমন কতিপয় গর্হিত কাজকে পূণ্য হিসেবে মনে করছে অনেকেই । পাশাপাশি সামাজিক জীবনে অভিশপ্ত জঙ্গিবাদসহ বিভিন্ন অবাঞ্ছিত ফেতনা বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এক্ষেত্রে মুসলিম মিল্লাত এর মধ্যে পবিত্র ঐশীগ্রন্থের সঠিক চর্চা ও অনুশীলনের মাধ্যমে জাতীয় জীবনে একটি সুন্দর ও মানবিক সমাজ বিনির্মানের দ্বীপ্তপ্রত্যয় নিয়ে সকলেরই এগিয়ে আসার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। আন্তর্জাতিক সেবাধর্মী সংস্থা আঞ্জুমানে খুদ্দামুল মুসলেমীন বাংলাদেশ এর উদ্যোগে ৪ জানুয়ারী’২5 শনিবার বিকেল ৩টায় ২২তম ঐতিহাসিক পবিত্র দরসুল কোরআন মাহফিলে বক্তারা উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
একেএমবি এর চেয়ারম্যান আল্লামা কাজী জসিম উদ্দিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত এর চেয়ারম্যান পীরে কামেল আল্লামা ছৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী। প্রধান মুফাসসির হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শায়খুল ইসলাম অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আওলাদে হযরত শাহ আমানত (রহ.) আলহাজ্ব শাহসূফি এনায়েত উল্লাহ খান। বিষয় ভিত্তিক দরস পেশ করেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আরবী বিভাগের অধ্যাপক ডঃ সাইয়্যিদ আব্দুল্লাহ আল মারুফ শাহ, জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ এর খতিব আল্লামা কারী আলাউদ্দিন মোহাম্মদ আবু তালেব, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আল্লামা এম এ অদুদ, অধ্যক্ষ আল্লামা রফিক উদ্দীন সিদ্দিকী, শাহজাদায়ে গাউসুল আযম শাহসুফি ডাঃ ছৈয়দ মিশকাতুন নুর আল মাইজভাণ্ডারী, পীরে তরিকত আল্লামা ছৈয়দ নাছেরুল হক চিশতী, পীরে তরিকত অধ্যক্ষ আল্লামা আবুল ফারাহ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন, অধ্যক্ষ আল্লামা এস এম ফরিদ উদ্দিন, পীরে তরিকত আল্লামা খাজা আরিফুর রহমান তাহেরী, পীরে তরিকত আল্লামা মোশাররফ হোসেন হেলালী, শায়খুল হাদিস আল্লামা মুফতি ইব্রাহীম হানাফি, শায়খুল হাদিস আল্লামা এনামুল হক সিকদার, অধ্যাপক ড. জাফর উল্লাহ, পীরে তরিকত আল্লামা মোদ্দাচ্ছের হাশেমী, পীরে তরিকত আল্লামা ছৈয়দ খসরু রেজভী তাওসীফি, অধ্যক্ষ আল্লামা হাসান রেজা আলকাদেরী,পীরে তরিকত আল্লামা সাইফুল ইসলাম বারী, মাওলানা সোলায়মান আলী রজভী, মাওলানা হাফেজ ইদ্রিস আলকাদেরী, মাওলানা মোহাম্মদ ফখর উদ্দীন আলকাদেরী, মাওলানা কাজী শফিউল আজম আলকাদেরী এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মাহফিলে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন-মাহফিল প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক স ম হামেদ হোসাইন, সচিব মাওলানা ওয়াহেদ মুরাদ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অধ্যক্ষ এম ইব্রাহীম আখতারী, আল্লামা ছালেহ আহমদ আনসারী, অধ্যাপক সৈয়দ হাফেজ আহমদ, মাওলানা সৈয়দ জসিম উদ্দিন তৈয়বী, স ম শহিদুল হক ফারুকী, মাওলানা জাকের আহমদ সিদ্দকী, অধ্যক্ষ মাওলানা কাজী আবদুল হান্নান, মাওলানা নাছির উদ্দিন আনোয়ারী, মুফতি মাওলানা হেলাল উদ্দীন আলকাদেরী, মুফতি মাওলানা নিজাম উদ্দীন নোমানী, মাওলানা সোহাইল উদ্দীন আনসারী, মাওলানা জয়নাল আবেদীন জেহাদী। উল্লেখ্য যে, বিকেল ৩টায় মাহফিল আরম্ভ হওয়ার কথা থাকলেও যোহরের পূর্বেই মাঠ কানায়- কানায় পূর্ণ হয়ে উঠে। চট্টগ্রাম এর প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মানুষের পদচারণায় জমিয়তুল ফালাহ ময়দানসহ আশপাশস্থ এলাকা মুখরিত হয়ে উঠে। অতঃপর দেশ- জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে ২ দিন ব্যাপী মাহফিলের সমাপ্তি ঘটে।