1. banglapostbd@gmail.com : admin :
  2. admin@purbobangla.net : purbobangla :
নগর জীবন ও দায়িত্ব - পূর্ব বাংলা
সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৩২ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
ক্ষমতার সামনে দাঁড়িয়ে সত্য বলার সাহস থাকাই হলো সাংবাদিকতা ক্ষমতার সামনে দাঁড়িয়ে সত্য বলার সাহস থাকাই হলো সাংবাদিকতা শহীদ সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর কবর জিয়ারত করলেন বিএনপি নেতা বিপ্লব মাওলানা শাহ সুফি মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন মমিন (রঃ) এবং কবরবাসী স্বরণে ১ম বার্ষিক দোয়া মাহফিল ইউনেস্কো ক্লাব এর উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন বায়েজিদ বোস্তামী ও মালেক শাহ (র.) ওরশ সম্পন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ফোরকানিয়া মাদরাসা শিক্ষক সমিতির কার্যকরী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত  আল্লামা আবুল খাইর ফাউন্ডেশন ২৬৫ জন রোগীর ছানি অপারেশন করালেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হলে রাজপথ ছাড়বো না: হান্নান মাসউদ

নগর জীবন ও দায়িত্ব

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৪৩ বার পড়া হয়েছে

মাহমুদুল হক আনসারী
নগর জীবন ও দায়িত্ব। মানুষের প্রয়োজনে গ্রাম শহর হচ্ছে। প্রয়োজনের তাগাদায় মানুষ শহরে আসছে। গ্রামের মানুষের দৈনন্দিন অফিসিয়াল কাজে শহরে আসতে হচ্ছে। গ্রামের মানুষের প্রয়োজনে বড় বড় কর্মকাজ সম্পন্ন করতে শহরে আসতে হয়। এখানে সরকারী অফিস আদালত হাসপাতাল রয়েছে। লাখ লাখ কর্মজীবী মানুষ রয়েছে। যারা নিয়মিত ভাবে শহরে এসে তাদের কর্মকাজে যোগদান করেন। তাদের ঠিক সময়ে শহরে প্রবেশ করা লাগে। আবার দৈনিক কর্ম শেষ করে নির্দিষ্ট বাসা বাড়ীতে ফিরতে হয়। পোশাক কারখানার লাখ লাখ শ্রমজীবী মানুষ দৈনিক পরিবহন ব্যবহার করে কর্মস্থলে যাওয়া আসা করতে হয়। মালিক শ্রমিক সকলেই নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে আসা যাওয়া করতে হয়। সময় মতো কর্মস্থলে না পৌঁছাতে পারলে উৎপাদন কার্যক্রমের ব্যাঘাত হয়। কর্মজীবীদের জবাবদীহি অফিস টাইম রক্ষা করতে না পারলে চাকরী চলে যায়। জটিল ও মুর্মুর্ষ রোগীদের শহরের বড় চিকিৎসা কেন্দ্রে আনতে হয় চিকিৎসার জন্য। কথা হচ্ছে শহরে প্রবেশ কারো জন্যই নিরাপদ যাতায়াত হচ্ছে না। শহরের সবগুলো প্রবেশ মূখে কী সকাল কী বিকেল অফিস ও কর্ম টাইমে নিত্যদিন যানজটের নাকালে পড়তে হয় কর্মজীবী মানুষদের। ঘন্টার পর ঘন্টা কর্ম সময় গাড়ীতে রাস্তায় চলে যায়। শহর প্রশাসনের মালিক সিটি কর্পোরেশন। শহর শৃংখলার মালিক ট্রাফিক পুলিশ, আইন শৃংখলা বাহিনী। এসব জন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোনো ধরনের মতামত ও ভালোভাবে আইনের প্রয়োগ দেখা মিলছেনা। শহর জুড়েই ট্রাফিক পুলিশ আইন শৃংখলা বাহিনী রয়েছে। নির্দিষ্ট ষ্টপিজে তাদের দায়িত্ব। তাদের দায়িত্ব বলা আছে। কাজ কর্ম ডিউটি ঠিক করা আছে। কোথায় গাড়ী থামবে কোন স্পটে গাড়ী রাখবে। সব কিছু একটা নিয়ম থাকার পরও পরিবহন ও যান চলাচল ট্রাফিক শৃংখলা জনজীবনে পাওয়া যাচ্ছেনা। পরিবহন মালিক শ্রমিক নিত্যদিন রাস্তায় নানা জাতের গাড়ি নামাচ্ছে। গাড়ির সঠিক কাগজ পত্র অনেক গাড়ীর নেই। টুকেন দিয়ে মালিক শ্রমিকদের সাথে যৌথ বানিজ্যে রাস্তায় এ গাড়ী চলছে বলে জানা যায়। কোন রোড়ে কত পরিমান গাড়ী চলবে তার কোনো হিসাব মিলছেনা। রাস্তার চেয়ে গন পরিবহণ বেশী। সাথে এক একজন মানুষের জন্য একটা করে প্রাইভেট গাড়ী। ছাত্র ছাত্রীদের গার্ডিয়ানরা নিয়ে আসে স্কুল টাইমে একটা একটা প্রাইভেট গাড়ী করে। রাস্তায় কোনো পার্কিং এর অনুমতি না থাকলেও রাস্তায় এ পরিবহন গুলোর পার্কিং করে রাখা হয়। রাস্তার দু পাশেই বিশাল এলাকা জুড়ে এসব গাড়ীর পার্কিং। বাস, ট্রাক, টেম্পু, টেক্সী, রিক্সার পার্কিং সারা শহর জুড়েই চোখে পড়ে। রিকশা, ব্যাটারি রিকশা অনুমোদনহীন পরিবহনের ধাপটে নগরজীবন অতিষ্ঠ। অলিগলিতে সন্ত্রাসী কায়দায় চলছে ব্যাটারি রিকশা। ব্যাটারির বিদ্যুৎ ব্যবহার কীভাবে দিচ্ছে কী পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে সবকিছুর একটি হিসেব দরকার ছিল। এই রিকশা গুলোর বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান মাঝে মধ্যে রাস্তায় দেখা যায়। কথা হলো এই ব্যাটারি রিকশাগুলো পরিপূর্ণ ভাবে তৈরি হয়ে রাস্তায় কীভাবে আসে। ব্যাটরি রিকশার পার্টস সবগুলো প্রায় বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। কারা আমাদানি করছে, অনুমতি কারা দিচ্ছে, সবকিছু একটা পরিকল্পিত ভাবে আমদানি হয়। সেখানে রাষ্ট্র পক্ষের কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। যখন এই ব্যাটারি রিকশা রাস্তায় নামে চলাচল করে তখন শুরু হয় তাদের বিরুদ্ধে অভিযান। মামলা হয় গাড়ি আইন শৃঙ্খলা বাহিনি লকারে নিয়ে নেয়। এভাবে কয়টি মামলা আর কয়টি রিকশা ধরপাকড় করে নিতে পারবে। এভাবে তো ব্যাটারি চালিত রিকশা বন্ধ করা যাবে না। এই গাড়ির আমদানি বাজার জাত কীভাবে হয় সেটি নিয়ন্ত্রর করতে হবে।
যেভাবে ব্যাটারি চালিত রিকশা গুলো শহর নগর রাস্তা অলিগলি দখল করছে কোনো ভাবেই তাদের সন্ত্রাসী দাপট নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে না। এই সব গাড়ির ফলে শহর নগরে সর্বত্র যানজটের নতুন মাত্রা ভোগান্তির চরম সীমায় পৌঁছে গেছে। গত ৩১ অক্টোবর ছায়াপথ মানবাধিকার সংগঠন যানাজট মুক্ত নগর চাই শীর্ষক একটি আলোচনা সভা করেছিল সেখানে সংগঠনের পক্ষ থেকে সিটি কর্পোরেশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিআরটিকে আহবান জানিয়েছে নগর জীবনকে পরিচ্ছন্ন ও যানজট মুক্ত রাখতে। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় সামান্য সুফল মিললেও অনেক এলাকায় এবং শহরের গুরুত্ব পূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকা এখনো চরমভাবে যানযট থেকে জনগন মুক্তি পাচ্ছে না।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ট্রাফিক বিভাগ এখনো পুরোদমে সক্রিয় হয়ে রাস্তার পরিবহন শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছে। শ্রমিক মালিক পরিবহন সেক্টরের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ সহযোগিতা অনুপস্থিত বলে মনে হয়। নগরির দুরপাল্লার গণপরিবহন গুলো যত্রতত্র দাড়িয়ে স্টপিজ করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা ও রাস্তা যানজট মুক্ত রাখার সঠিক পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। এই সব বিষয়ে দেশের প্রতিটি শহর জেলাতে ব্যাপক ভাবে যানজট মুক্ত পরিবেশ শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সময়ের দাবি।
ফুতপাত অনেকটাই বেদখল। জন চলাচলের জন্য ফুটপাত পাওয়া যায়না। জনগন ফুটপাত ব্যবহার করার কোনো সুযোগ পচ্ছেনা। সারা শহরের ফুটপাত হকারদের দখলে। এসব হকারদের বসিয়েছে এক শ্রেনীর চাঁদাবাজ চক্র। তাদের সাথে আইন শৃংখলা বাহিনীর সাথে যোগাযোগ। প্রতিদিন একজন হকার থেকে নেয়া হয় ২০-১০০ টাকা পর্যন্ত। ফুটপাত যেই দখল করে বসবে তাকে নির্দিষ্ট হারে চাঁদা দিয়ে বসতে হবে। চাঁদা ছাড়া কোনো হকার ফুটপাত রাস্তায় বসতে পারেনা। এ ফুটপাত কারা নিয়ন্ত্রণ করে। কাদের হাতে রাস্তার দোকান আর ফুটপাতের ক্ষমতা। এ বিষয় সমাজ প্রশাসন অবগত আছেন কিন্তু এর সুরাহা কী জনভোগান্তির সমাধান কী হবে সেটা কেউ গুরুত্ব দিচ্ছেনা। ঘন্টার পর ঘন্টা কর্ম সময় শহরগামী মানুষের নষ্ট হচ্ছে সেটার কোনো গুরুত্ব আর সমাধান মিলছেনা শহরগামী মানুষের। নগর জীবন শৃংখলার জন্য সিটি কর্পোরেশন প্রশাসন রয়েছে। রয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। মেট্রোপলিটন পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ। এত সব বিভাগ থাকার পরও জন জীবনে শহরমূখী মানুষের ভোগান্তির সীমা থাকছে না। তাহলে শহর রক্ষার দায়িত্ব কার? শহরমূখী মানুষের জীবন জীবিকা নিয়মিত ভাবে গ্যাস পাচ্ছে না। চুলা জ্বলছেনা। রান্না বান্না হচ্ছেনা, কর্মজীবী মানুষ ঠিকভাবে পেটে আহার দিতে পারছেনা। ছাত্র ছাত্রীদের সঠিক সময়ে অভিভাবকগণ আহার দিতে বেগ পেতে হচ্ছে। কোনো কোনো এলাকায় সপ্তাহে কয়েকদিন পানি মিলছেনা। বিদ্যুৎ থাকেনা বহু বানিজ্যিক এলাকায়। গ্যাস নাই। বিদ্যুৎ নাই। পানি নাই। নিত্য পণ্যের লাগামহীন মূল্য, সব মিলিয়ে নগর জীবন এক অস্বস্থিকর অবস্থায় ফেলছে নগরবাসীকে। কে নেবেন এর দায়িত্ব। প্রতিদিন চোখ দেখা এসব সমস্যা জনভোগান্তি প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তাদের নজরে আসলেও সুরাহার কোনো সমাধান দেখছেনা নগরবাসী। পরিবহন শৃংখলা, মালিক শ্রমিক শৃংখলা যাত্রী সাধারণের জীবনের নিরাপত্তা ও রাস্তার যানজট মুক্ত করতে প্রশাসনকেই উদ্যোগী হতে হবে। ফুটপাতের জায়গা দখল ও চাঁদাবাজী বন্ধ রাখতে হবে। ফুটপাত জন চলাচলের জন্য মুক্ত রাখতে হবে। অবৈধ গনপরিবহণ নিয়ন্ত্রণ ও সব ধরনের চাঁদাবাজী ক্যাডার পুনর্বাসন নিয়ন্ত্রন চাই। রাস্তা ও ফুটপাত জনগনের চলাচলের জন্য মুক্ত রাখতে হবে। মাননীয় জেলা প্রশাসনকে শহরবাসীর ভোগান্তি লাগবে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ফুটপাতমুক্ত রাখার দাবী রাখে জনগন। রাস্তার ফুটপাত দোকান হকার থেকে চাঁদাবাজের উৎখাত চায় নগরবাসী। যান চলাচল ও জন চলাচলের ফুটপাত জনগনের জন্য উম্মুক্ত রাখা চায়। শহরের শৃংখলা রক্ষায় সবধরনের পরিবহনকে শৃংখলার আওতায় আনতে হবে। ক্যাডার, চাঁদাবাজ, রাস্তা ও ফুটপাত দখলকারী সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জনগনের স্বার্থে শহর প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে। রাস্তার শৃংখলা রক্ষা হলে কারো জন্য যানজট হবেনা। সিটি মেয়র নতুন ভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। আশা করা যায় তিনি নগরীর নালা খাল রাস্তাগুলো আবর্জনা মুক্ত রাখবেন। এখন শুষ্ক মৌষম। এই সময়ে নগরীর নালা গুলোকে পরিষ্কার করলে নগরবাসির উপকার হবে। মশা মাছির উপদ্রব কমবে। স্বাস্থ্যগত সমস্যা দূর হবে। নগরীর চকবাজার বাকলিয়া বহদ্দারহাট ষোলশহর দুই নম্বর গেইট সহ সবগুলো নালা ময়লায় ভরপুর। সেখান থেকে পোকা মাকড় তৈরি হয়ে বাসা বাড়িতে ঢুকছে। স্বাস্থ্যগত নানা রোগের জন্ম হচ্ছে নগরবাসির। ময়লার গাড়ি গুলো ময়লা পরিবহনে কোনো সুরক্ষা দেখা যায়না। ফলে মারাত্মক দূর্গন্ধে শিশু মহিলা অসুস্থ মানুষগুলোর কষ্ট হচ্ছে। নগরীর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা জনভোগান্তি স্বাস্থ্য সুরক্ষায় একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহন করা দরকার। পরিকল্পিত নগরীর সেবা পেতে যানজট মুক্ত নগর বাস্তবায়ন সময়ের দাবি। মূল্যবান শ্রম সময় বাচাতে ব্যাটারি রিকশা নিয়ন্ত্রণ জন চলাচলের জন্য ফুটপাত মুক্ত করার প্রত্যাশা করছে নগরবাসি।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla