নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানাধিন পশ্চিম ফরিদার পাড়া মিন্নাত আলী মুন্সি এলাকায় গরীব অসহায় একটি পরিবারের একটি ভবন জোর পূর্বক দখল হামলা ও ভাংচুরের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৩০ নভেম্বর রাতে কিশোর গ্যাং লিডার আহসান হাবিব তানভীরের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসী হামলায় নারী পুরুষ ৮/১০ জন আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এক কিশোর গ্যাং লিডার আহসানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কিশোর গ্যাং লিডার ও সন্ত্রাসী হামলায় আহতরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। কিশোর গ্যাং লিডার আহসান কবির তানভীর ছাত্র-জনতার উপর হামলাকারী সাবেক কাউন্সিলর যুবলীগ ক্যাডার এসরারুল হক এসরারের অনুসারী। কিশোর গ্যাং লিডার আহসান কবির তানভীর যুবলীগ ক্যাডার এসরাইলের প্রভাব খাটিয়ে চান্দগাঁও এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে সাথে জড়িত বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়।
কিশোর গ্যাং লিডারের হামলায় রোজি আকতার(৫২), আফরোজা রিমু(৩০), হুররাতুল আইন আফরিন(১৫), সাবিহা আফরোজ ইপশিতা(২১)। চান্দগাঁও থানার দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানায়, কিশোর গ্যাং লিডার আহসান কবির তানভীর(২৫), সুলতান কবির(৫৪), ছাত্রলীগ নেতা আদিত্য চৌধুরী(১৯), মোহাম্মদ ইয়াছিন(১৯), মোহাম্মদ আরমান(১৯), মো. মেহেদী(২০)কে আসামি করে নগরীর চান্দগাঁও থানায় গত ১ ডিসেম্বর মোহাম্মদ ইফতেখার আমিন বাদী হয়ে মামলা করেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী ইফতেখার আমিন বলেন, সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন কৌশলে আমার চাচার জায়গা এবং নির্মানাধিন ভবন দখলে নেয়ার বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেন। সন্ত্রাসী বাহিনী আমার চাচার ঘরে কোন ছেলে সন্তান না থাকায় তাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে ভিটে বাড়ি দখলের চেষ্টা করেন এতে বাঁধা দিলে তারা আমার চাচি এবং চাচাতো বোনদের উপর হামলা চালিয়ে রক্তাত্ব জখম করেন মারাত্মক আঘাত করেন। তারা বিভিন্ন কৌশলে চাঁদা দাবি করে আসছিল চাঁদা না পেয়ে তারা মূলত এ হামলা চালিয়েছে।
এ বিষয়ে চান্দগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আফতাব উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে, ঘটনায় জড়িতদেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। পুলিশ ইতোমধ্যে আসামিদের ধরার জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছে।