ভাষা আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ামত। ভাষা জানা ও বুঝা একটা শক্তি। ভাষা না জানলে না বুঝলে মনে চরম অসহায়। ভাষা না জানার কারনে মধ্যপ্রাচ্যে প্রবাসী বাংলাদেশীরা যথোপযুক্ত পরিশ্রমের পারিশ্রমিক পাচ্ছে না। এতে দেশের রেমিট্যান্স গতিতে ভাটা পড়ছে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে অনুধাবন করতে প্রয়োজন। বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগ। তথ্যপ্রযুক্তি এর যুগে সবকিছু হওয়ার কথা সহজপ্রাপ্য। হীনমন্যতা, সংকীর্ণতা ও অপরিক্কতা আমাদের করেছে দুষ্প্রাপ্য ও দূরত্ব। শুধু তা নয়, করে রেখেছে অনেক পিছিয়ে। পরিবর্তনশীল এ বিশ্বে প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে। প্রযুক্তির কারণে পরিবর্তনের গতিও হয়েছে অনেক দ্রুত। দ্রুত পরিবর্তনশীল এ বিশ্বের সঙ্গে আমাদের খাপ খাইয়ে নেয়ার কোনো বিকল্প নেই। চ্যালেঞ্জ ও সাম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে টেকসই ও কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। এজন্য দরকার জ্ঞান, দক্ষতা, মূল্যবোধ ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন দূরদর্শী, মানবিক, বৈশ্বিক এবং দেশপ্রেমিক নাগরিক। চট্টগ্রাম দেশের বানিজ্যিক রাজধানী। যার কদর গুরুত্ব শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও ছড়িয়ে রয়েছে যথেষ্ট গুরুত্ব। গুরুত্ব নেই দেশের শাসন যন্ত্রের কাছে। অযত্ন অবহেলায় দায়সারা ভাব নিয়ে বরাবরই চট্টগ্রামকে রাখা হয়েছে বহুগুণে পিছিয়ে। বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণের তালিকায় মধ্যপ্রাচ্য তৃতীয় অবস্থানে। মধ্যপ্রাচ্যের ভাষা হলো আরবি। বিদেশি ভাষা শেখার অনেক ল্যাঙ্গুয়েজ লার্নিং সেন্টার রয়েছে। তবে আরবি ভাষা শেখার কোন লার্নিং সেন্টার নেই। যারা জীবিকার তাগিদে বিদেশ যায়, তাদের সরকারি অর্থায়নে বিনামূল্যে পেশাগত দক্ষতার উপর প্রশিক্ষণ ও ভাষা শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন। উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয় মাস ব্যাপী আরবি ভাষার সার্টিফিকেট কোর্স করা হয়। তবে পরিতাপের বিষয় হল চট্টগ্রামে হয় না। ঢাকা, গাজীপুর ও কুষ্টিয়া এ তিন জেলায় চারটি স্টাডি সেন্টার রয়েছে। ইংরেজিরও কোনো স্টাডি সেন্টার নেই। শুধু মাত্র ঢাকাতেই একটি স্টাডি সেন্টারে করা হয়। তাই উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে আরবি ও ইংরেজি ভাষার সার্টিফিকেট কোর্স চালু করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে আশু পদক্ষেপ নেয়।
মুহাম্মদ মনছুর
সহকারি শিক্ষক (ইসলাম শিক্ষা)
রাবেয়া বসরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
হালিশহর, চট্টগ্রাম