নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামের পটিয়া, কর্ণফুলী, লোহাগাড়া উপজেলার নৗকা প্রতীকের প্রার্থী ৬টিতে পরাজিত হয়েছেন। বাকি যেসব ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন সেসব এলাকায় নৌকা প্রতীতের পক্ষে জোরপূর্বক ভোট গ্রহণ, কেন্দ্র দখল, জাল ভোট, কেন্দ্রের কেন্দ্রে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে পটিয়া ও কর্ণফুলীতে তিন প্রার্থী নির্বাচনে অনিয়ম ও বহিরাগতদের দিয়ে কেন্দ্র দখলের অভিযোগে ভোটও বর্জন করেন।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৪টিতে নৌকা নিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হয়েছে, তিনটি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নৌকার প্রার্থী চেয়ারম্যান আগে নির্বাচিত হয়েছে চারটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে পটিয়া উপজেলা ও কর্ণফুলীর সংশ্লিষ্ট রির্টানিং কর্মকর্তা নির্বাচিতদের ফলাফল ঘোষণা করেন।
পটিয়া উপজেলা নৌকার প্রার্থীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন ৪টি ইউনিয়নে চমশা প্রতীকে জঙ্গলখাইন ইউনিয়নে শাহাদাত হোসেন সবুজ (স্বতন্ত্র), কোলাগাঁও ইউনিয়নে টেলিফোন প্রতীকে মাহবুবুল হক চৌধুরী (স্বতন্ত্র), হাইদগাঁও ইউনিয়নে আনারস প্রতীকে বি.এম জসিম (স্বতন্ত্র) ও কুসুমপুরা ইউনিয়নে আনারস প্রতীকে জাকারিয়া ডালিম (স্বতন্ত্র)।
কুসুমপুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মোরশেদুল আলম বলেন, যে সব এলাকায় নৌকার প্রার্থী মনোনয়নে তৃণমূলের মতামতের প্রতিফলন হয়নি সেসব এলাকায় নৌকার প্রার্থী পরাজিত হয়েছে, নৌকা প্রতীকের সাথে লড়াই করে যারা বিজয় হয়েছে তারা এলাকায় জনপ্রিয় এবং গ্রহণ যোগ্য ব্যক্তি বলে জানান।
কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল করিম ফোরকানকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।
কর্ণফুলীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয় হওয়ার প্রসঙ্গে প্রার্থীর প্রস্তাবকারী আব্দুস ছাত্তার রণি বলেন, জাহাঙ্গীর আলম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি ও বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তার বিগত দিনের কর্মকান্ডে এলাকার লোকজন তার উপর সন্তুষ্ট তাকে দলীয় মনোনয়ন না দেয়ায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ছিল। এলাকাবাসীর ভোটের মাধ্যমে তার প্রমান দিয়েছে বলে তিনি জানান।
লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলানা হেলাল উদ্দিন (আনারস) প্রতীকে নৌকার প্রার্থী মাস্টার শফিকুর রহমানকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেন।