ইসমাইল চৌধুরী
চট্টগ্রাম মহানগরীতে ‘ডিজেল বা গ্যাস চালিত যানবাহন’ নামক স্টিকার ছাড়াই চলছে সব ধরনের গণপরিবহন। কিন্তু এক্ষেত্রে আইন না থাকায় কিছুই করার নেই বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
সম্প্রতি ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধিতে কেবল ডিজেল চালিত গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি করে সরকার। সে সুযোগে গ্যাস চালিত গণপরিবহন গুলোও বেশি ভাড়া আদায় করতে শুরু করে। এরপর ডিজেল নাকি গ্যাসচালিত পরিবহন তা চিহ্নিত করতে গাড়িতে স্টিকার (গ্যাস বা ডিজেল চালিত যানবাহন) লাগানো বাধ্যতা মূলক করে সিএমপি। এক সপ্তাহের মধ্যে প্রায় সব গণপরিবহনে স্টিকার লাগানোর কাজ শেষ করে। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই সেই স্টিকার উধাও। এরপর ডিজেলের সাথে তাল মিলিয়ে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায়ের সুযোগ পাচ্ছেন গ্যাস চালিত গণপরিবহনগুলো।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, নগরীর চকবাজার, কোতোয়ালী, কর্ণফুলী ব্রীজ, বাকলিয়া, বহদ্দারহাট সহ এর আশে পাশের সব এলাকার গণপরিবহনে কোনো ধরণের স্টিকার নেই। গ্যাস চালিত গণপরিবহনও বাড়তি ভাড়া আদায় করছে।
স্টিকার না থাকার কারণ জানতে চাইলে ড্রাইভাররা জানান, স্টিকার আগে ছিলো, এখন নষ্ট হয়ে গেছে। পুলিশের চাপ আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে একজন রাইডারের ড্রাইভার বলেন, “কই, পুলিশতো কিছু বলেননি”।
পুলিশের উদাসীনতাকে দায়ী করে যাত্রীরা বলছেন, স্টিকার লাগিয়েই সিএমপির দায়িত্ব শেষ। তদারকির খবর নেই। এসব লোকদেখানো কার্যক্রমের সমালোচনাও করেন তাঁরা।
এ বিষয়ে সিএমপি’র (ট্রাফিক-দক্ষিণ) সহকারী কমিশনার শরিফুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি সাপ্তাহিক পূর্ব বাংলা’কে জানান, “ড্রাইভাররা ইচ্ছাকৃতভাবেই স্টিকার ছিড়ে ফেলে। এ ক্ষেত্রে আইন না থাকায় আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। তাই আমরা কিছুই করতে পারছিনা। তবে আমরা আগামীতে মালিককে দিয়েই গাড়িতে লেখানোর (গ্যাস বা ডিজেল চালিত) কথা ভাবছি। আশা করি তাতে মোটামুটি সফল হব।