রানা সাত্তার
ভারী বর্ষার পর যার আগমন ঘটে শুভ্র ঋতু শরতের।বাংলাদেশে ছয়টি ঋতু ঠিকমত দেখা না মিললেও কিন্তু দেখা মিলে শরতের।নীল আকাশের নীচে সারি সারি সাদা মেঘ উড়িয়ে বেড়ায় এলোমেলো কাশফুল। আকাশের মেঘ যেন পেঁজা তুলোর মতো নেমে আসে ধরণীতে। সাধারণত দেখা মিলে নদীর ধারে, জলাভূমি, চরাঞ্চল, শুকনো রুক্ষ এলাকায়, পাহাড়ে কিংবা গ্রামের কোনও উঁচু জায়গায় এই কাশের ঝাড় বেড়ে ওঠে। তবে নদীর তীরেই এদের বেশি জন্মাতে দেখা যায়। এর কারণ হল নদীর তীরে পলিমাটির আস্তর থাকে এবং এই মাটিতে কাশের মূল সহজে সম্প্রসারিত হতে পারে। বাংলাদেশের সব অঞ্চলেই কাশফুল দেখতে পাওয়া যায় পালকের মতো নরম সাদা কাশফুল।বেশ কিছু বছর ধরে সেই কাশফুল উপভোগ থেকে বঞ্চিত হয়নি চট্টগ্রামবাসীরাও। শরতের বিকেলে মনকে প্রফুল্ল করতে ঘুরে আসতে পারেন আপনিও কাশবন থেকে। কাশফুলের নরম ছোঁয়ায় এক স্নিগ্ধ বিকেল কাটাতে এবং নগরজীবনের ব্যস্ততার ফাঁকে একটু শান্তির খোঁজে যেতে পারেন চট্টগ্রামের অভ্যান্তরীন ও আশেপাশের কাশবনে। জেনে নিন চট্টগ্রামের ও এর আশেপাশে কোথায় কোথায় পাবেন কাশবনঃ- অনন্যা আবাসিকঃচট্টগ্রাম মহানগরের কাছেই অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়কে অনন্যা আবাসিক।প্রতিদিন কাশফুলের নরম ছোঁয়ায় এক স্নিগ্ধ বিকেল কাটাতে এবং নগরজীবনের ব্যস্ততার ফাঁকে একটু শান্তির খোঁজে হাজার হাজার ভ্রমন প্রিয়াসু মানুষ ভীর জমাচ্ছে এইখানে।কেও ফটোগ্রাফি, কেও টিকটিক আবার কেও শর্ট ফিল্ম তৈরীর কাজে মহা ব্যস্ত।এখানে রয়েছে চটপটি, ফুসকা,ঝালমুড়ির দোকান।শিশু-কিশোর থেকে বয়স্ক,নব দম্পতী,প্রেমিক-প্রেমিকারাও যেন খুজে পেয়েছে তাদের শরত বাবুর বাগান বাড়ি। আনোয়ারা কেইপিজেডঃচট্টগ্রাম শহরের খুব কাছাকাছি আনোয়ারা।পারকি বিচে যাওয়ার পথে যেন শরত বাবুর ভিটে বাড়ির উপর দিয়ে একবার যেতে পারলেই যেন শান্তি কারন এখানেও যে রাস্তার দু-পাশের প্রাকৃতিক পরিবাশের দুই পাশে পালকের মতো নরম সাদা কাশফুল।কে না চায় এই ছোয়া!এখানের প্রবেশদ্বার উন্মুক্ত না হলেও কাশ দেখা কিছুতেই যেন থামানো কষ্টকর হয়ে পরে ইপিজেড কতৃপক্ষের।